আলী ইয়াভার জঙ্গ

ভারতীয় কূটনীতিক
(আলী ইয়াভার জং থেকে পুনর্নির্দেশিত)

নবাব আলী ইয়াভার জং বাহাদুর (ফেব্রুয়ারি ১৯০৬ - ১১ ডিসেম্বর ১৯৭৬) একজন ভারতীয় কূটনীতিক ছিলেন। তিনি আর্জেন্টিনা, মিশর, যুগোস্লাভিয়া এবং গ্রীস, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন।

তিনি ১৯৭১ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন। তিনি যথাক্রমে ১৯৫৯ এবং ১৯৭৭ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন।

প্রাথমিক জীবন

সম্পাদনা

তিনি হায়দ্রাবাদে পণ্ডিত, প্রশাসক এবং শিক্ষাবিদদের একটি বিশিষ্ট হায়দ্রাবাদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং অক্সফোর্ডের কুইন্স কলেজে পড়াশোনা করেন, সেখানে তিনি ইতিহাসে ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন

সম্পাদনা

নওয়াব আলী ইয়াভার জং ১৯৪৫ থেকে ১৯৪৬ এবং ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।[] তিনি এএমইউতে ধর্মীয় ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছিলেন।[] ১৯৪৬-৪৭ সালে তিনি নিজামের গভর্নরেটের সাংবিধানিক বিষয়ক, স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৪৭ সালে এই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

তিনি আর্জেন্টিনা (১৯৫২-৫৪), মিশর (১৯৫৪-৫৮), যুগোস্লাভিয়া এবং গ্রীস (১৯৫৮-৬১), ফ্রান্স (১৯৬১-৬৫), এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (১৯৬৮-৭০) ভারতের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। জুয়ান পেরন, গামাল আবদেল নাসের, জোসিপ ব্রোজ টিটো, চার্লস ডি গল এবং লিন্ডন বি জনসনের সাথে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভারতের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়া এবং উপলব্ধিতে যথেষ্ট অবদান রেখেছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তিনি ১৯৭১ সালে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল নিযুক্ত হন এবং ১৯৭৬ সালের ডিসেম্বরে মুম্বাইয়ের রাজভবনে রাজ্যপাল হিসাবে তার মেয়াদকালে মারা যান।[]

তিনি যথাক্রমে ১৯৫৯ এবং ১৯৭৭ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণে ভূষিত হন।[] মুম্বাইয়ের ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ে [] এবং সেখানে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর দ্য হিয়ারিং হ্যান্ডিক্যাপড [] তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

তিনি একজন ফরাসি ভদ্রমহিলা অ্যালিস ইফফ্রিগকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। ইফফ্রিগের সাথে তার মেয়ে ছিলেন বিলকিস আই. লতিফ। বিলকিসের স্বামী ও তার জামাতা ছিলেন ভারতীয় বিমান বাহিনীর দশম প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ইদ্রিস হাসান লতিফ।[] পরে তিনি জেহরা আলী ইয়াভার জং নামে একজন সমাজকর্মীকে বিয়ে করেন।

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Proceedings of the Meghalaya Legislative Assembly assembled after the First General Election"Meghalaya Legislative Assembly। ১০ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০২-১৬ 
  2. "Aligarh Muslim University: 50% quota for Muslims creates a storm, UPA govt in tight spot" 
  3. "Previous Governors List"। Raj Bhavan, Maharashtra State। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০০৮ 
  4. "List of Padma Vibhushan Awardees" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০০৮ 
  5. Chacko, Benita (১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭)। "Western Express Highway: Few know this arterial road honours a former diplomat"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৯ 
  6. Qureshi, M. U. (২০০৬)। Encyclopaedia of Social Problems and Social Welfare। Anmol Publications PVT. LTD.। পৃষ্ঠা 203। আইএসবিএন 81-261-2584-5 
  7. "A Life of service honoured with the Padma Shri award" (পিডিএফ)। You and I — eMag। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬