রোনাল্ড ভিক্টর কোর্টনি বডলি এমসি (ইংরেজি: Ronald Victor Courtenay Bodley; ৩ মার্চ, ১৮৯২ –২৬ মে, ১৯৭০) ছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একজন অফিসার, লেখক ও সাংবাদিক। প্যারিসে বসবাসকারী এক ইংরেজ পরিবারে জাত বডলি নয় বছর বয়স পর্যন্ত ফ্রান্সেই ছিলেন। এরপর তিনি ইটন কলেজে পড়াশোনা করতে আসেন এবং স্নাতক হন রয়্যাল মিলিটারি কলেজ, স্যান্ডহার্স্ট থেকে। তিনি নিযুক্ত হন কিং’স রয়্যাল রাইফেল কর্পসে এবং এই সংস্থার হয়েই প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। যুদ্ধের পরে তিনি সাহারা মরুভূমিতে সাত বছর অতিবাহিত করেন এবং তারপর এশিয়া পর্যটন করেন। নিজের ভ্রমণের বৃত্তান্ত বডলি একাধিক গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছিলেন। বডলিকে সাহারা পর্যটনকারী বিশিষ্টতম ব্রিটিশ লেখকদের এবং দক্ষিণ সাগর ম্যান্ডেট-সংক্রান্ত তথ্যের প্রধান পাশ্চাত্য উৎসসূত্রের অন্যতম মনে করা হয়।

আর. ভি. সি. বডলি
A black and white portrait photo of R. V. C. Bodley in military uniform
আর. ভি. সি. বডলি, আনুমানিক ১৯১৪
জন্ম নামরোনাল্ড ভিক্টর কোর্টনি বডলি
জন্ম(১৮৯২-০৩-০৩)৩ মার্চ ১৮৯২
প্যারিস, ফ্রান্স
মৃত্যু২৬ মে ১৯৭০(1970-05-26) (বয়স ৭৮)
ব্রামলি, সারে, ইংল্যান্ড
আনুগত্যযুক্তরাজ্য
সেবা/শাখাযুক্তরাজ্য
কার্যকাল১৯১১–১৯
১৯৩৯–৪৩
পদমর্যাদামেজর
যুদ্ধ/সংগ্রামপ্রথম বিশ্বযুদ্ধ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
পুরস্কারমিলিটারি ক্রস
লেজিওঁ দনর (ফ্রান্স)
অর্ডার অফ দ্য ব্ল্যাক স্টার (ফ্রান্স)
অর্ডার অফ দ্য ক্রাউন (রোমানিয়া)
অর্ডার অফ ওয়েন-হু (চীন)
সম্পর্কজন এডওয়ার্ড কোর্টনি বডলি (পিতা)
অন্য কাজলেখক, চিত্রনাট্যকার

১৯৩৫ সালে বডলি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন এবং সেখানে চিত্রনাট্যকারের কাজ নেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে পুনরায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক প্যারিসে তথ্য মন্ত্রকের হয়ে কাজ করার জন্য প্রেরিত হন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য চলে আসেন। সেখানেই তিনি লেখক হিসেবে কাজ চালিয়ে যান এবং ইউনাইটেড স্টেটস অফিস অফ ওয়ার ইনফরমেশনের উপদেষ্টারও কাজ করেন।

প্রথম জীবন ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সম্পাদনা

সিভিল সার্ভেন্ট ও লেখক জন এডওয়ার্ড কোর্টনি বডলি ও ইভিলিন ফ্র্যান্সেস বডলির (বিবাহপূর্বে বেল) তিন সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ রোনাল্ড ভিক্টর কোর্টনি বডলির জন্ম ১৮৯২ সালের ৩ মার্চ। রোনাল্ডের ভ্রাতা জোসেলিন ও ভগিনী আভার জন্ম যথাক্রমে ১৮৯৩ ও ১৮৯৬ সালে।[১] ১৯০৮ সালে রোনাল্ডের পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। পিতার দিক থেকে রোনাল্ড ছিলেন কূটনীতিবিদ, গবেষক ও বডলিয়ান গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠাতা স্যার টমাস বডলির বংশধর[২] এবং মাতার দিক থেকে লেখক, পুরাতত্ত্ববিদ ও আল-হাশিম রাজবংশ প্রতিষ্ঠায় সাহায্যকারী গারট্রুড বেলের জ্ঞাতিভ্রাতা।[৩] নয় বছর বয়স পর্যন্ত রোনাল্ড পিতামাতার সঙ্গে ফ্রান্সেই বসবাস করেন।[২] ছেলেবেলায় প্রায়শই তিনি আলজিয়ার্সে পিতামহের মালিকানাধীন একটি তুর্কি প্রাসাদে বেড়াতে যেতেন।[৪]

প্যারিসে একটি লিসেতে শিক্ষালাভের পরে[৫] বডলিকে পাঠানো হয় প্রথমে ইটন কলেজ ও পরে রয়্যাল মিলিটারি কলেজ, স্যান্ডহার্স্টে। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি লেখালিখিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এটনে তিনি কবিতা লিখতেন। স্যান্ডহার্স্টেও একটি ক্যাডেট ম্যাগাজিনের জন্য লেখালিখি করেন।[১] স্যান্ডহার্স্ট থেকে ১৯১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট হিসেবে বডলিকে নিয়োগ করা হয় কিং’স রয়্যাল রাইফেল কর্পসে[৩][৬] ব্রিটিশ ভারতের একটি রেজিমেন্টে তিনি তিন বছর চাকরি করেন এবং সেখানেই তিনি নাটক লিখে মঞ্চস্থ করতে শুরু করেন। বডলির কম্যান্ডিং অফিসার একবার মন্তব্য করেছিলেন, “নাটকগুলি মজাদার। তোমার জন্য রেজিমেন্টেরও সুনাম বৃদ্ধি হচ্ছে, কিন্তু তুমি সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছ সৈনিক হতে, না কমেডিয়ান হতে?” এর অল্পকাল পরেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ঘোষিত হয়[৭] এবং বডলিকে চার বছরের জন্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে প্রেরণ করা হয়।[৮] এই যুদ্ধে তিনি বহুবার আহত হন,[৪] তার মধ্যে একবার আহত হয়েছিল বিষাক্ত গ্যাসের দ্বারা।[১] ২৬ বছর বয়সে তিনি লেফট্যানেন্ট কর্নেলের পদমর্যাদা ও একটি ব্যাটেলিয়নের কম্যান্ড প্রাপ্ত হন।[৫] ১৯১৮ সালের ১৫ অগস্ট[৯] প্যারিসে তিনি সহকারী মিলিটারি আতাশে নিযক্ত হন[৩] এবং ১৯১৯ সালের প্যারিস শান্তি সম্মেলনে যোগ দেন। জানা যায় যে, সেই সম্মেলনের আলাপ-আলোচনা শুনে তিনি মনে করেন যে তিনি ও লক্ষ লক্ষ অন্যান্য সৈন্য নিরর্থকই যুদ্ধ করেছেন।[৩] পরে তিনি লিখেছিলেন, “স্বার্থপর রাজনীতিবিদেরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভিত্তিভূমি প্রস্তুত করছিলেন – প্রতিটি দেশই নিজের জন্য যতটা পারছিল কেড়ে নিচ্ছিল, ফলে জাতীয় সক্রিয় বিরোধিতা সৃষ্টি হচ্ছিল এবং গোপন ষড়যন্ত্রগুলির পুনরায় জেগে উঠছিল।” [১০] সামরিক বাহিনীর প্রতি মোহভঙ্গ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জের পরামর্শে[৪] বডলি রাজনীতিতে যোগ দেবেন বলে স্থির করেন।[৩]

গারট্রুড বেল বডলির সঙ্গে টি. ই. লরেন্সের পরিচয় করিয়ে দেন।[৩] প্যারিস শান্তি সম্মেলনের বাইরে একদিন বডলির সঙ্গে লরেন্সের দেখা হয়। বডলি রাজনীতির জগতে পদার্পনের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। লরেন্স তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান এবং বডলিকে মূঢ় ও বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দেন। বডলি জানান যে, যুদ্ধ শেষ যাওয়ায় তিনি অন্য কোনও উপায় দেখতে পাচ্ছেন না এবং এমতাবস্থায় কী করা উচিত জিজ্ঞাসা করায় লরেন্স পরামর্শ দেন “গিয়ে আরবদের সঙ্গে থাকুন”।[৩] বডলি বলেছিলেন যে, লরেন্সের সঙ্গে “২০০ সেকেন্ডেরও কম সময়ের” সেই কথোপথকনটিই জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছিল।[১০] তিনি যথাসময়ে নিজের কাজকর্ম গুছিয়ে নেন। ৩০০ পাউন্ড সঙ্গে নিয়ে আর অধিক উপার্জনের কোনও উপায় ছাড়াই[১১] সাহারায় বসবাসের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বডলির হতবুদ্ধি বন্ধুরা একটি বিদায় সম্বর্ধনার আয়োজন করে। তারা সকলেই ভেবেছিল যে তিনি ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ফিরে আসবেন; কিন্তু বডলি সাহারায় থেকে যান সাত বছর।[৩]

সাহারা ও এশিয়া ভ্রমণ সম্পাদনা

বডলি সাত বছর সাহারা মরুভূমিতে একটি যাযাবর বেদুইন উপজাতির সঙ্গে অতিবাহিত করেন। তিনি এক পাল ভেড়া ও ছাগল কিনে সেগুলিকে উপার্জনের উপায় হিসেবে ব্যবহার করেন এবং সেগুলির দেখভালের জন্য ১০ জন মেষপালকও ভাড়া করেন।[৪] তিনি আরব পোশাক পরিধান করতেন, আরবি ভাষায় কথা বলতেন, ইসলাম ধর্ম অনুশীলন করতেন এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকতেন।[৪] সাহারা ছেড়ে চলে আসার পরেও বডলি মদ্যপান করতেন না।[৭] শেষে উক্ত উপজাতির দলপতি বডলিকে বলেন যে আরব সেজে থেকে কোনও লাভ নেই, তাই বডলিও সে উপজাতিটিকে পরিত্যাগ করে চলে আসেন।[৪] ১৯২৭ সালে প্রকাশক মাইকেল জোসেফ কর্তৃক উৎসাহিত হয়ে তিনি রচনা করেন আলজেরিয়া ফ্রম উইথইন[১] ফরাসি আলজেরিয়ায় বসবাসের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি বইটি লিখেছিলেন।[১২][১৩] তিনি যতটা আশা করেছিলেন, বইটি তার চেয়েও বেশি সাফল্য অর্জন করে। তাই তিনিও লেখালিখির ব্যাপারে আরও উৎসাহী হয়ে ওঠেন।[১] বডলির প্রথম উপন্যাস ইয়াসমিনা সেই বছরই পরের দিকে প্রকাশিত হয়। বইটি ভালোই বিক্রি হয় এবং পুনর্মুদ্রিতও হয়। পরের বছর প্রকাশিত হয় পরবর্তী উপন্যাস ওপাল ফায়ার। এই বইটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যর্থ হলেও বডলি লেখালিখির ব্যাপারে নিরুৎসাহ হননি।[১] সাহারায় কাটানো বছরগুলিকে তিনি জীবনের “সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ও সন্তোষজনক সময়” মনে করতেন।[২] বডলিকে সাহারা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্রিটিশ লেখকদের অন্যতম গণ্য করা হয়।[১৪]

"আরবদের সঙ্গে থাকার সময় আমার যে জোরালো ধারণাগুলি সৃষ্টি হয়েছিল, তার মধ্যে একটি ছিল ঈশ্বরের ‘দৈনন্দিন-তা’। তিনি তাদের খাওয়াদাওয়া, তাদের ভ্রমণ, তাদের ব্যবসা ও তাদের প্রেমের অধিপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন তাদের প্রতি ঘণ্টার চিন্তা, তাদের নিকটতম বন্ধু, যাদের কাছে ঈশ্বর আনুষ্ঠানিক পূজার রীতিনীতি দ্বারা পৃথক তাদের কাছে [এমন ঈশ্বরের ধারণা] অসম্ভব।"

রোনাল্ড বডলি, সাহারায় জীবন প্রসঙ্গে [১৫]

সাহারা ছেড়ে আসার পর বডলি তিন মাস জাভাতে চা চাষের কাজ করেন। তারপর চীন ও জাপান ভ্রমণে যান।[৭] আলজেরিয়া ফ্রম উইথইন বইটির সাফল্যের ফলে তিনি সহজেই এশিয়াতে সাংবাদিকতার কাজ জুটিয়ে নিতে পেরেছিলেন। তিনি লন্ডনের দ্য স্ফিয়ার ও অস্ট্রেলিয়ার দি অ্যাডভারটাইজার পত্রিকার বিদেশি সংবাদদাতার কাজ করেন।[১] ১৯৩০-এর দশকে জাপান যে ক’জন পাশ্চাত্যবাসীকে দক্ষিণ সাগর ম্যান্ডেটের প্রবেশাধিকার দিয়েছিল, তাদের অন্যতম ছিলেন বডলি।[১৬] তিনিও সেই যুগে এই এলাকার প্রধান তথ্যউৎসদের অন্যতম হিসেবে পরিগণিত হন।[১৭] সাউথ সিজ ম্যান্ডেট গড়ে উঠেছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জাপান কর্তৃক অধিকৃত হওয়ার আগে পর্যন্ত উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের জার্মান ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য-ভুক্ত দ্বীপগুলিকে নিয়ে। জাপান এই দ্বীপগুলি শাসন করত একটি লিগ অফ নেশনস ম্যান্ডেটের অধীনে। এই অঞ্চলে প্রবেশাধিকার-প্রাপ্ত অন্যান্য পাশ্চাত্যবাসীদের মতো বডলিও জানিয়েছিলেন যে জাপান কর্তৃক এই এলাকায় সামরিক বাহিনী মোতায়েনের কোনও প্রমাণ নেই। বডলির গতিবিধি জাপানের বিদেশ মন্ত্রক কর্তৃক “সতর্কভাবে প্রণীত” হয়েছিল।[১] নিজের অভিজ্ঞতা ও আবিষ্কার প্রসঙ্গে ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত দ্য ড্রামা ইন দ্য প্যাসিফিক বইটিতে তিনি লেখেন যে, “কার্যত প্রতিটি দ্বীপ ঘুরে দেখেই… আমি নিশ্চিত হয়েছি যে কোনও এলাকাকে নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে রূপান্তরিত করার মতো কোনও কাজই করা হয়নি”।[১৭] মার্ক পেটি ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত নান’ইয়ো: দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ দ্য জাপানিজ ইন মাইক্রোনেশিয়া, ১৮৮৫-১৯৪৫ গ্রন্থে বলেন যে, বডলি ও অন্যান্য লেখকদের বিরুদ্ধে অর্বাচীনতা প্রসূত কাঁচা কাজের অভিযোগ আনা সহজ হলেও, এই অঞ্চলের সামরিকীকরণ ছিল একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং তা বেশ কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়েছিল। বডলি ছিলেন শিজুওকা মারু জাহাজের যাত্রী। ১৯৩৩ সালের এপ্রিল মাসে জাহাজটি ইয়াপের উত্তরে একটি শৈলশিরায় ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। জাহাজটিকে আর খুঁজে পাওয়া না গেলেও, কেউ হতাহত হননি।[১৮] বডলিকে কেইও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষকতার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি নয় মাস সেই কাজটি করেন। এই অভিজ্ঞতার কথা তিনি লিখেছেন ১৯৩৩ সালে প্রকাশিত আ জাপানিজ ওমেলেট বইটিতে।[১] বডলি ও কেইও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এইশিরো হোরি আর্থার কোনান ডয়েল রচিত রাউন্ড দ্য রেড ল্যাম্প গ্রন্থের ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত জাপানি পাঠ্যপুস্তক সংস্করণের বিপুলায়তন টীকাটি প্রস্তুত করেন।[১] ১৯৩৫ সালে বডলি টোগো হেইহাচিরোর একটি জীবনীও প্রকাশ করেন।[৭]

পরবর্তী জীবন সম্পাদনা

১৯৩৫ সালে চিচিবু মারু জাহাজে চড়ে[১] বডলি জাপান ছেড়ে চলে আসেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং চিত্রনাট্যকারের কাজ গ্রহণ করেন।[৭] ১৯৩৬ শালের অক্টোবর মাসে ডেভিড লেসলি মারের উপন্যাস রিজেন্সি অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চার্লি চ্যাপলিন বডলিকে ভাড়া করেন।[১৯] চ্যাপলিন ইতিপূর্বে নিজেই চিত্রনাট্য রচনা করতেন; সেই প্রথম তিনি অপর কাউকে চিত্রনাট্য রচনার জন্য ভাড়া করেন।[১৯] ১৯৩৬ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে বডলি একটি সাধারণ খসড়া প্রস্তুত করে ফেলেন।[২০] মার্চের মধ্যে তিনি কাজটি শেষও করেন। কিন্তু মে মাসের শেষ দিকে চিত্রনাট্যটি চ্যাপলিন কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়।[২১] কারণ তিনি তখন অন্য একটি ছবির কাজে হাত দিয়েছিলেন।[২২] এছাড়া বডলি ১৯৩৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আ ইয়াংক অ্যাট অক্সফোর্ড নামে একটি ছবিরও চিত্রনাট্যের কাজ করেন।[৭][২৩] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধুবান্ধবেরা বডলিকে ‘রনি’ নামে ডাকত এবং গণমাধ্যমে প্রায়শই তিনি উল্লিখিত হতেন আরবের বডলি নামে।[১]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে বডলি অবিলম্বে কিং’স রয়্যাল রাইফেল কর্পসে পুনরায় যোগ দেন এবং মেজর পদমর্যাদা প্রাপ্ত হন।[৭] তবে পদাতিক বাহিনীতে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণের পক্ষে বয়স অনেকটা বেশি হওয়ায়[৮][১] তিনি প্যারিসে তথ্য মন্ত্রকের হয়ে কাজ করার জন্য প্রেরিত হন।[৭] ১৯৪০ সালের মে মাসে যখন জার্মান বাহিনী অনুপ্রবেশ করে তখন তিনি প্যারিসেই ছিলেন।[৪] দ্য সাউন্ডলেস সাহারা গ্রন্থের পৃষ্ঠ প্রচ্ছদে উল্লিখিত হয়েছে যে, প্যারিসের পতনের পরেও গেস্টাপোর সন্দেহ উদ্রেকের পূর্বাবধি তিনি জার্মান লাইনের পিছনে কাজ করে গিয়েছিলেন এবং তারপর পায়ে হেঁটে পিরিনীয় পর্বতমালা পার হয়ে পালিয়ে যান।[৫] ২০১৩ সালে কেইও বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলিয়াম স্নেলের লেখা বডলি সংক্রান্ত জীবনীমূলক পত্রিকা নিবন্ধটিতে এই কাজ বা পলায়নের কোনও উল্লেখ নেই, বরং তিনি বলেন যে অনুপ্রবেশের পরেও বেওনির কাছে নিজের মা ও সৎ-পিতার সঙ্গে ছিলেন বডলি। স্নেলের মতে, বডলির মা ও সৎ-পিতা ফ্রান্স ছেড়ে যেতে অস্বীকার করলে মাদ্রিদের ব্রিটিশ দূতাবাসে কর্মরত এক বন্ধুর সাহায্যে বডলি ও অপর তিন ব্রিটন মোটরগাড়িতে চড়ে স্পেনে প্রবেশ করেন। নিবন্ধের শেষে স্নেল মন্তব্য করেন যে বডলির জীবন অ্যাডভেঞ্চারে পরিপূর্ণ ছিল, তবে তিনি কখনও কখনও সেটিকে নাট্যায়িত করতে চাইতেন না।[১] পর্তুগাল হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন বডলি।[৪] ফেরার পর তিনি লেখালিখি আর বক্তৃতার কাজে মনোনিবেশ করেন।[১] বই লেখার জন্য বডলি সম্পূর্ণ নিভৃতাবাসে চলে যেতেন, সেখানে প্রায় দশ সপ্তাহ অতিবাহিত করে বই সমাপ্ত করতেন।[৭] ইয়র্ক হারবার, মেইনে বসে তিনি বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন।[২৪] যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় বডলি প্রায়শই বক্তৃতা দিতেন।[২৫] প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই তিনি বক্তৃতা দিয়েছিলেন এবং নিজেকে ‘কর্নেল’ বা ‘মেজর’ বলে উল্লেখ করতেন।[১] অবসরের আবশ্যিক বয়সে পৌঁছে ১৯৪৩ সালের ৩ মার্চ তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন তিনি।[২৬] ১৯৪৪ সালের মধ্যেই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং ইউএস অফিস অফ ওয়ার ইনফরমেশনের আরবি ডেস্কের এক উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হন।[৭]

১৯৪৪ সালে বডলি প্রকাশ করেন উইন্ড ইন দ্য সাহারা বইটি।[২৭] ১৯৪৯ সালের মধ্যে বইটির সাতটি সংস্করণ প্রকাশিত হয় এবং আটটি আলাদা আলাদা ভাষায় অনূদিত হয়।[২৮] ১৯৪৫ সালে তিনি দ্য গে ডেসার্টারস নামে একটি ব্যঙ্গাত্মক উপন্যাস রচনা করেন। উপন্যাসটি অনুপ্রাণিত হয়েছিল জার্মান সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে বডলির পালিয়ে আসার ঘটনা থেকে।[৮] বইটি অনুকূল প্রতিক্রিয়া পায়নি।[১] স্যাটারডে রিভিউ পত্রিকার রবার্ট পিক লিখেছিলেন যে, “এটি আদৌ হাস্যরসাত্মক নয়"।[২৯] বডলি পরে বলেছিলেন যে তিনি গদ্য রচনাতেই পারদর্শী এবং সেই সঙ্গে আরও বলেন “অনেকগুলি উপন্যাস (…) এবং বেশ কয়েকটি নাটক [তিনি] লিখেছিলেন, চারটি প্রকাশিত ও দু’টি প্রযোজিত হয়েছে, এবং সব ক’টিই আগ্রহ উৎপাদনে ব্যর্থ হয়েছে।”[৩০] তিনি আই লিভড ইন দ্য গার্ডেন অফ আল্লাহ্ নামে একটি প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন, যেটি ১৯৪৮ সালে ডেল কার্নেগির আত্ম-সহায়ক গ্রন্থ হাও টু স্টপ ওরিং অ্যান্ড স্টার্ট লিভিং-এর অন্তর্ভুক্ত হয়।[৩১] ১৯৫৩ সালে তিনি চার্লস ডে ফকোল্ডের জীবনী দ্য ওয়ারিয়র সেন্ট রচনা করেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার জন কগলি বলেন যে, বডলি ফকোল্ডের জীবনের “এক পরিচ্ছন্ন, কাব্যিক ও অকপট প্রশংসাময় বিবরণ” লিপিবদ্ধ করেছেন।[৩২] ১৯৫৫ সালে তিনি রচনা করে আংশিক-আত্মজীবনীমূলক[২৮] আত্ম-সহায়ক গ্রন্থ ইন সার্চ অফ সেরেনিটিদি ইনডেক্স-জার্নাল-এর এলসি রবিনসন ও টিপটন ট্রিবিউন-এর ফিলিস ব্যাটালে বইটির ইতিবাচক সমালোচনা লেখেন। রবিনসন বলেছিলেন, এটি “প্রত্যেক পীড়িত আত্মার অবশ্যপাঠ্য"।[৩৩][৩৪] বডলির পরবর্তী ও শেষ বই দ্য সাউন্ডলেস সাহারা প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে। এই বইটির পৃষ্ঠ প্রচ্ছদ থেকে জানা যায় যে, তিনি জীবনের কিছু অংশ ম্যাসাচুসেটস ও অবশিষ্টাংশ ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে অতিবাহিত করেছলেন।[৫] ফিলিপ নাইটলি ও কলিন সিম্পসন রচিত দ্য সিক্রেট লাইভস অফ লরেন্স অফ আরাবিয়া গ্রন্থের তথ্য তিনি সরবরাহ করেন। বইটি ১৯৬৯ সালে টমাস নেলসন কর্তৃক প্রকাশিত হয়।[৩৫] ১৯৭০ সালের ২৬ মে সারের ব্রামলিতে[৩৬] একটি নার্সিং হোমে তিনি মারা যান।[১]

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

১৯১৭ সালের ৩০ এপ্রিল বডলি বিবাহ করেন রুথ মেরি এলিজাবেথ স্টেপলটন-ব্রেদারটনকে।[৩৭] সেই সময় বডলি দীর্ঘ ছুটিতে ছিলেন।[৭] উভয়ের একমাত্র পুত্র মার্ক কোর্টনি বডলির জন্ম হয় ১৯১৮ সালের ২২ মে। বডলির বিরুদ্ধে ব্যভিচার ও মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের অভিযোগে রুথ বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। বডলি মামলাটি লড়েননি এবং ১৯২৬ সালের ৮ জুন বিবাহবিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়ে যায়। ১৯৩১ সালে প্রকাশিত স্মৃতিকথা ইনডিস্ক্রিশন অফ আ ইয়াং ম্যান-এ তিনি বিবাহটিকে একটি “দুর্ভাগ্যজনিত কাজ” বলে বর্ণনা করেন এবং বলেন যে “পিতামাতার উপদেশ অগ্রাহ্য করলে প্রত্যেক যুবক যে ভুল করে” তা এই বিবাহ থেকে প্রমাণিত হয়।[১] ১৯২৭ সালে তিনি বিয়াট্রিশ ক্লেয়ার ল্যাম্ব নামে এক অস্ট্রেলীয়কে বিবাহ করেন। বিয়াট্রিশের সঙ্গে বডলির আলাপ হয়েছিল উত্তর আফ্রিকা ভ্রমণের সময়। বিয়াট্রিশও ১৯৩৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন। বডলির পুত্র রয়্যাল আর্মার্ড কর্পসে একজন লেফট্যানেন্ট হয়েছিলেন। ১৯৪২ সালে লিবিয়া অভিযানের সময় তিনি নিহত হন। উইন্ড ইন দ্য সাহারা বইটি বডলি পুত্রকেই উৎসর্গ করেছিলেন। ১৯৪৯ সালের নভেম্বর মাসে বডলি মার্কিন বিবাহবিচ্ছিন্না হ্যারিয়ট মোসলিকে বিবাহ করেন।[১] ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত দ্য সাউন্ডলেস সাহারা গ্রন্থের তথ্য অনুযায়ী, তখনও দু’জনের বিয়ে টিকে ছিল।[৫] উইলিয়াম স্নেলের মতে, বডলির শেষ বছরগুলি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই পাওয়া যায়। কিন্তু তিনি মনে করেন মোসলির সঙ্গে ব্রডলির বিবাহবিচ্ছেদ ১৯৬৯ সালের আগে ঘটেনি।[১]

পুরস্কার সম্পাদনা

১৯১৬ বার্থডে অনার্সে বডলিকে মিলিটারি ক্রস দিয়ে সম্মানিত করা হয়।[৩৮] ১৯১৯ সালে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি বডলিকে লেজিওঁ দনরের ক্রোক্স ডে শেভালিয়ার প্রদান করেন।[৩৯] ১৯২০ সালে তিনি অর্ডার অফ দ্য ব্ল্যাক স্টারের অফিসার নিযক্ত হন।[৪০] ১৯২০ সালে রোমানিয়ার ফার্দিনান্দ বডলিকে অর্ডার অফ দ্য ক্রাউনের নাইট অফিসার মর্যাদা প্রদান করেন।[৪১] ১৯২১ সালে চীন প্রজাতন্ত্র বডলিকে অর্ডার অফ ওয়েন-হু (চতুর্থ শ্রেণি) প্রদান করে।[৪২]

প্রকাশনা সম্পাদনা

কর্মজীবনে বডলি ১৮টি গ্রন্থ প্রকাশ করেন:[১]

  • আলজেরিয়া ফ্রম উইথইন (১৯২৭)
  • ইয়াসমিনা: আ স্টোরি অফ আলজেরিয়া (১৯২৭)
  • ওপাল ফায়ার (১৯২৮)
  • ইনডিস্ক্রেশনস অফ আ ইয়াং ম্যান (১৯৩১)
  • দ্য লাইলাক ট্রোল (১৯৩২)
  • আ জাপানিজ ওমেলেট (১৯৩৩)
  • ইনডিস্ক্রিট ট্রাভেলস ইস্ট (জাভা, চায়না অ্যান্ড জাপান) (১৯৩৪)
  • দ্য ড্রামা অফ দ্য প্যাসিফিক (১৯৩৪)
  • অ্যাডমিরাল টোগো (১৯৩৫)
  • গারট্রুড বেল (১৯৪০, লোর্না হার্স্টের সঙ্গে)
  • ফ্লাইট ইনটু পর্তুগাল (১৯৪১)
  • উইন্ড ইন দ্য সাহারা (১৯৪৪)
  • দ্য গে ডেসার্টারস (১৯৪৫)
  • দ্য ম্যাসেঞ্জার (১৯৪৬)
  • দ্য কোয়েস্ট (১৯৪৭)
  • দ্য ওয়ারিয়র সেইন্ট (১৯৫৩)
  • ইন সার্চ অফ সেরেনিটি (১৯৫৫)
  • দ্য সাউন্ডলেস সাহারা (১৯৬৮)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. স্নেল, উইলিয়াম (২০১৩)। "আর. ভি. সি. বডলি ("বডলি অফ আরাবিয়া") অ্যাট কেইয়ো ইউনিভার্সিটি, ১৯৩৩" [কেইয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ে আর. ভি. সি. বডলি (“আরবের বডলি”), ১৯৩৩] (পিডিএফ)দ্য হিয়োশি রিভিউ অফ ইংলিশ স্টাডিজকেইয়ো বিশ্ববিদ্যালয় (৬৩): ১৭–৪৯। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  2. কার্নেগি ১৯৮১, পৃ. ২৮০।
  3. "ইংলিশম্যান ইন দ্য গার্ডেন অফ আল্লাহ্" [আল্লাহের উদ্যানে এক ইংরেজ]। দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। ৯ অগস্ট ১৯৪৭। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১০  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. ফ্লেনার, জ্যানেট; মেলোনি, রাসেল; কিংকিড, ইউজিন (২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩)। "বডলি অফ আরাবিয়া" [আরবের বডলি]। দ্য নিউ ইয়র্কার। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫  (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  5. বডলি ১৯৬৮
  6. "নং. 28532"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯১১। 
  7. ম্যাককলো, ট্রুডি (২৩ জুলাই ১৯৪৪)। "রাইটার বডলি লাভস হিজ কোয়াইটিচিউড"। অ্যাবিলেন রিপোর্টার-নিউজ। পৃষ্ঠা ৫০। 
  8. বডলি ১৯৪৫
  9. ডাটন ২০০১, পৃ. ১৬৪।
  10. কার্নেগি ১৯৮১, পৃ. ২৮১।
  11. বডলি ১৯৫৫, পৃ. ১৪৯।
  12. পন্ড, আলোঞ্জো (মার্চ ১৯২৮)। "আলজেরিয়া ফ্রম উইথইন, আর. ভি. সি. বডলি রচিত"। আমেরিকান জার্নাল অফ সোশিওলজি৩৩ (৫): ৮৪৪–৮৪৫। ডিওআই:10.1086/214565 
  13. পি., ডব্লিউ. সি.; বডলি, আর. সি. (অক্টোবর ১৯২৭)। "আলজেরিয়া ফ্রম উইথইন – আর. সি. বডলি"। দ্য জিওগ্রাফিক্যাল জার্নালদ্য রয়্যাল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি৭০ (৪): ৩৯৮–৩৯৯। জেস্টোর 1782074ডিওআই:10.2307/1782074 
  14. স্পিক ২০০৩, পৃ. ৮৮৬।
  15. ক্র্যানস্টন ১৯৪৯, পৃ. ১৭১।
  16. পেটি ১৯৯২, পৃ. ২৪৫।
  17. পেটি ১৯৯২, পৃ. ২৪৬।
  18. পেটি ১৯৯২, পৃ. ৩৩৩–৩৩৪।
  19. "নিউজ অ্যান্ড কমেন্ট অফ স্টেজ অ্যান্ড স্ক্রিন" [মঞ্চ ও পর্দার সংবাদ ও মন্তব্য]। ফিচবারগ্র সেন্টিনেল। ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩৬। পৃষ্ঠা ১০। 
  20. গ্রাহাম, শেইলা (২৬ জানুয়ারি ১৯৩৭)। "নাথিং টু হার্লো, টেলর রোম্যান্সিং"লিংকন ইভনিং জার্নাল  (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  21. ফোম ১৯৯৭, পৃ. ১১৮।
  22. রবিনসন ১৯৯২, পৃ. ৪৮২–৪৮৩।
  23. গ্ল্যান্সি ১৯৯৯, পৃ. ২২০।
  24. নিকারসন, রো. ডব্লিউ (১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮)। "ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলার, অথর টু স্পিক টুনাইট অ্যাট বোডোইন কলেজ" [ভূপর্যটক, লেখক আজ রাতে বোডোইন কলেজে বক্তব্য রাখবেন]। পোর্টল্যান্ড সানডে টেলিগ্রাম। পোর্টল্যান্ড, মেইন। পৃষ্ঠা ৫২। 
  25. "নিউজ অফ দ্য ইয়র্কস"। পোর্টল্যান্ড সানডে টেলিগ্রাম। পোর্টল্যান্ড, মেইন। ৫ ডিসেম্বর ১৯৪৮। পৃষ্ঠা ৩৮। 
  26. "নং. 35926"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ২ মার্চ ১৯৪৩। 
  27. বেইলি ১৯৬৩, পৃ. ৩২৬।
  28. "নোমাড কনট্র্যাক্টস টু পাবলিশ বুক অ্যাবাউট সেরেনিটি"। কিংসপোর্ট টাইমস-নিউজ। ২৪ এপ্রিল ১৯৪৯। পৃষ্ঠা ২৭। 
  29. পিক, রবার্ট (২৪ নভেম্বর ১৯৪৫)। "'টেমপেস্ট টোস্ট' গেস্টস অফ ইউ.এস.এ.: দ্য গে ডেজার্টারস বাই আর. ভি. সি. বডলি"। স্যাটারডে রিভিউ। পৃষ্ঠা ৩২। 
  30. বডলি ১৯৫৫, পৃ. ৬৬।
  31. কর্নেগি ১৯৮১, পৃ. ২৮০।
  32. কগলি, জন (১০ মে ১৯৫৩)। "দ্য সেন্ট অফ দ্য সাহারা"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস  (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  33. রবিনসন, এলসি (২১ জুন ১৯৫৫)। "লিসেন, ওয়ার্ল্ড!"। দি ইনডেক্স-জার্নাল। গ্রিনউড, সাউথ ক্যারোলিনা। পৃষ্ঠা ২। 
  34. বাটালে, ফিলিস (১৫ এপ্রিল ১৯৫৫)। "অ্যাসাইনমেন্ট আমেরিকা"। টিপটন ট্রিবিউন। টিপটন, ইন্ডিয়ানা। পৃষ্ঠা ২। 
  35. নাইটলি ১৯৬৯, পৃ. সাত।
  36. "নং. 45238"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ নভেম্বর ১৯৭০। 
  37. "ম্যারেজেস"দ্য ট্যাবলেট। ৫ মে ১৯১৭। পৃষ্ঠা ২৪। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  38. "নং. 29608"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ২ জুন ১৯১৬। 
  39. "নং. 31222"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ মার্চ ১৯১৯। 
  40. "নং. 31812"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ মার্চ ১৯২০। 
  41. "নং. 31812"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ মার্চ ১৯২০। 
  42. "নং. 32268"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ মার্চ ১৯২১। 

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা