আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই

মনের ভেতর ২০০৯ সালে প্রকাশিত বাংলা ভাষায় রচিত চলচ্চিত্র সংগীত। এই সংগীত বা গানটি আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই শিরোনামে সর্বাধিক প্রচারিত এবং জনপ্রিয়। গানটি ২০১৫ সালে মুক্তি প্রাপ্ত এইতো প্রেম চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা হয়। প্রণয়ধর্মী এই গানের গীতিকার সোহেল আরমান। তিনি একই সাথে ঐ চলচ্চিত্রের পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও নৃত্য নির্দেশক ছিলেন। হাবিব ওয়াহিদের সংগীত পরিচালনায় এই গানে কণ্ঠ দেন হাবিব ওয়াহিদ ও নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি।

"আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই"
এইতো প্রেম অ্যালবাম থেকে
হাবিব ওয়াহিদ ও নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি কর্তৃক সঙ্গীত
ভাষা	বাংলা
মুক্তিপ্রাপ্ত	অডিওঃ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভিডিওঃ নভেম্বর, ২০১৭
বিন্যাস	কম্প্যাক্ট ডিস্ক
রেকর্ডকৃত	২০০৯
ধারা	চলচ্চিত্র সংগীত
দৈর্ঘ্য	০৫:৩৯
লেবেল	অডিওঃ সঙ্গীতা মিউজিক ভিডিওঃ জি-সিরিজ
লেখক	সোহেল আরমান
সুরকার	হাবিব ওয়াহিদ
প্রযোজক	হাবিব ওয়াহিদ
সঙ্গীত ভিডিও
ইউটিউবে "মনের ভেতর"

গীতি ও সুরারোপ

সোহেল আরমান এই গানের সংগীত আয়োজনের জন্য হাবিব ওয়াহিদের সাথে চুক্তিবদ্ধ  হওয়ার পর চিত্রনাট্য অনুযায়ী গীতি লিখেছিলেন। তিনি সাধারণত রাত জেগে গান লিখতেন। এই গানের খসড়া গীতি চলচ্চিত্রের উপযুক্ত নয় ভেবে সোহেল আরমান ফেলে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তার মা সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী এই গানের খসড়াতে লেখা প্রথম দুই লাইন ‘আমি তোমার মনের ভেতর একবার ঘুরে আসতে চাই/ আমায় কতোটা ভালোবাসো সেকথা জানতে চাই।’ পড়ে পছন্দ করেন এবং সোহেল আরমানকে এই গানের পূর্ণাঙ্গ গীতি লিখতে উৎসাহ দেন। এইতো প্রেম চলচ্চিত্রের জন্য সোহেল আরমানের সাতটি গান লিখেছিলেন তবে এই গানটি লিখতে চার মাস সময় লেগে যায়। সুরকার হাবীব এই গীতির উপর দুই সংস্করণে সুর আরোপ করেছিলেন। অপর সুরটি ছিল মন্থর গতির। সোহেল আরমান দুইটি সংস্করণ তার চলচ্চিত্রে রেখেছিলেন।

গানের দৃশ্যায়ন

গানের চিত্রগ্রহণ করা হয় মানিকগঞ্জের বালিয়াটি প্রাসাদ ও কৈরী গ্রামের সর্ষেক্ষেতে। শাকিব খান ও আফসানা আরা বিন্দু গানের দৃশ্যায়নে অভিনয় করেন। সর্ষে ক্ষেতে চিত্র ধারণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত দর্শনার্থীর কারণে সর্ষে নষ্ট হওয়ায় পরিচালক সোহেল আরমানকে জরিমানা দিতে হয়েছিল।

মুক্তিলাভ ও প্রতিক্রিয়া

সেপ্টেম্বর, ২০০৯-এ এই গানটি এইতো প্রেম চলচ্চিত্রের অডিও এ্যালবামে সঙ্গীতা মিউজিক-এর ব্যানারে মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার পর এই অভাবনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করে। চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। এই গানটি চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ তৈরী করতে প্রভাবকের ভূমিকা রাখে। ন্যান্সি ও হাবীব তাদের কনসার্টে এই গান বহুবার পরিবেশন করেছেন। সংগীত বিষয়ক আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠানে এই গান পরিবেশন করার উদাহরণ রয়েছে। ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ তে জি-সিরিজ তাদের ইউটিউব চ্যানেলে গানটির ভিডিও প্রকাশ করে।

আরও দেখুন

• হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস
• অনন্ত প্রেম তুমি দাও আমাকে
• হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ
• ওরে নীল দরিয়া আমায় দে রে দে ছাড়িয়া
• ডাকে পাখি খোল আঁখি দেখ সোনালি আকাশ
• আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার