আবুল হাসনাত আমিনী
আবুল হাসনাত আমিনী (জন্ম: ১০ ডিসেম্বর ১৯৮০) একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান[১] ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশ ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সদস্য। তিনি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে।
আবুল হাসনাত আমিনী | |
---|---|
আমীর, ইসলামী ঐক্যজোট | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ৩১ জানুয়ারি ২০২১ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ১০ ডিসেম্বর ১৯৮০
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
রাজনৈতিক দল | ইসলামী ঐক্যজোট |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
পিতামাতা |
|
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
এর শিষ্য | শায়খে চরমোনাই |
জীবনীসম্পাদনা
তিনি ১৯৮০ সালে ১০ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার কাজী পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ফজলুল হক আমিনী, দাদা ওয়েজ উদ্দিন, নানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী। কুরআনের হেফজ সমাপ্তির পর তিনি ২০০৮ সালে জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ হতে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন। তিনি বর্তমানে জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসার মজলিশে শু’রা (পরিচালনা কমিটি)-র অন্যতম সদস্য ও জামিয়া হুসাইনিয়া আশরাফুল উলুম বড়কাটরা মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লী ও ভাইস প্রিন্সিপাল এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়া কাজীপাড়ায় পিতা ফজলুল হক আমিনীর প্রতিষ্ঠিত জামিয়া কোরআনিয়া সৈয়দা সৈয়দুন্নেছা ও কারিগরি শিক্ষালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি তিনি দলের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০২০ সালের ১১ মে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামীর মৃত্যুর পরদিন ১২ মে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন দলটির তিনি। পাশাপাশি তিনি দেশের সম্মিলিত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আল হাইয়াতুল উলিয়া ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সদস্যও নির্বাচিত হন।[২]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "মাওলানা আবুল হাসানাত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান নির্বাচিত"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ শ্বেতপত্র: বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন। মহাখালী, ঢাকা-১২১২: মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন। ফেব্রুয়ারি ২০২২। পৃষ্ঠা ১৬২–১৬৩।