আবিদুর রেজা খান

বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

আবিদুর রেজা খান (২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৭-৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫) বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার রাজনীতিবিদ, সাবেক জাতীয় পরিষদ, সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আইনজীবী ছিলেন।[১][২][৩]

আবিদুর রেজা খান
ফরিদপুর-১৮ (ভেদরগঞ্জ-গোসাইরহাট) আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
১৯৭৩ – ১৯৭৫
কাজের মেয়াদ
১৯৮১ – ১৯৮২
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৭
ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর
মৃত্যু৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫
শমরিতা হাসপাতাল, ঢাকা
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
রাজনৈতিক দলআওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
দাম্পত্য সঙ্গীমনোয়ারা বেগম
সন্তানচার ছেলে ও এক মেয়ে
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

আবিদুর রেজা খান ২২ সেপ্টেম্বর ১৯২৭ সালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের দিগর মহিষখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল হাকিম খান। রেজা মাদারীপুর জেলার কালকিনির গোপালপুর কাজি পরিবারের মনোয়ারা বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের চার ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছেন।[৪][৫]

তিনি নিজ গ্রামের মক্তবে ও চরভয়রা মাইনর স্কুলে এবং সরকারি ডামুড্যা মুসলিম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে থেকে ১৯৪৪ সালে ম্যাট্রিক পাশ করে পরে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ হতে তিনি আইএ ও বিএ পাশ করেন। এর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন শাস্ত্রে এলএলবি ডিগ্রী নেন।[৫]

রাজনৈতিক ও কর্মজীবন সম্পাদনা

আবিদুর রেজা খান ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৬ সালে তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মুসলিম ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬০ সালে আইন পেশায় যোগদেন। একই সালে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করে বিভিন্ন আন্দোলনে ভুমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সংগঠক হিসেবে ভুমিকা রাখেন। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নেও তিনি ভুমিকা রাখেন। তিনি আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা মুসলিম ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।[৩]

১৯৭০ সালের পাকিস্তান জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি ভেদরগঞ্জ-গোসাইরহাট জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬] স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৎকালীন ফরিদপুর-১৮ (বর্তমানে বিলুপ্ত) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৭] ১৯৭৫ সালে তিনি ছিলেন অবিভক্ত মাদারীপুর জেলার সাবেক গভর্নর। ১৯৭৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগ (মিজান) এর জাতীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন।

১৯৮২ সালে তিনি আওয়ামীলীগে কয়েক মেয়াদে আমৃত্যু শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৫]

মৃত্যু সম্পাদনা

আবিদুর রেজা খান ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫ সালে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।[৫][৮]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "আবিদুর রেজা খান"দৈনিক প্রথম আলো। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩। ৩০ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২০ 
  2. "আবিদুর রেজা খান"দৈনিক যুগান্তর। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২০ 
  3. "আবিদুর রেজা খানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২০ 
  4. "Ex AL MP Abidur Reza dead"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৫। 
  5. "আবিদুর রেজা খান"শরীয়তপুর পোর্টাল। ২ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২০ 
  6. "মুক্তিযুদ্ধে নড়িয়া"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২০ 
  7. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  8. "মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবিদুর রেজা খানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ"দৈনিক সমকাল। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ১৮ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২০