ভেদরগঞ্জ উপজেলা
ভেদরগঞ্জ বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
ভেদরগঞ্জ | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে ভেদরগঞ্জ উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১২′১৩″ উত্তর ৯০°২৬′২৩″ পূর্ব / ২৩.২০৩৬১° উত্তর ৯০.৪৩৯৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | ঢাকা বিভাগ |
জেলা | শরীয়তপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৬৭.২৮ বর্গকিমি (১০৩.২০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩,০৩,৫৩৫ |
• জনঘনত্ব | ১,১০০/বর্গকিমি (২,৯০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৮০.৪১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮০৩০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৩০ ৮৬ ১৪ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তরে মুন্সীগঞ্জ জেলার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ও চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলা, দক্ষিণে ডামুড্যা উপজেলা ও গোসাইরহাট উপজেলা, পূর্বে চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর উপজেলা ও মেঘনা নদী এবং পশ্চিমে নড়িয়া উপজেলা ও শরীয়তপুর সদর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাভেদরগঞ্জ উপজেলা ১৩টি ইউনিয়ন ১টি পৌরসভা ও ২টি প্রশাসনিক থানা নিয়ে ঘটিত।
পৌরসভা
ইউনিয়ন সমূহঃ-
ইতিহাস
সম্পাদনাভেদরগঞ্জ এর নামকরণ নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত রয়েছে, প্রথমত, ভেদরগঞ্জ এলাকা ছিল ভেদার উদ্দিন জমিদারীর অংশবিশেষ।ভেদার উদ্দিন ১৯২৪ ক্ষ্রিস্টাব্দে এই এলাকার সফরে আসেন এবং এই প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্য বিক্রম্পুর পরগনার জমিদার সৈয়দ ভেদার উদ্দিন শাহের প্রয়াসে ভেদরগঞ্জ থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।তার নামানুসারেই ভেদরগঞ্জ এর নামকরণ করা হয়। দ্বিতীয়ত, ভেদরগঞ্জের নামকরণ নিয়ে আরও একটি প্রবাদ আছে।এই প্রবাদ কাদা প্রবাদ নামে পরিচিত ।‘ভেদার’ শব্দের অর্থ কাদা।একসময় এই এলাকায় প্রচুর কাদা ছিল।কাদার জন্য মানুষের হাটা চলার ব্যঘাত ঘটত।তাই এই এলাকার নাম একে একে জনমুখে ভেদরগঞ্জ নামের পরিচিতি লাভ করে। তৃতীয়ত, অনেকের মতে, এই এলাকায় প্রচুর বেদে ছিল।নদীর পাড়ে সবসময় অসংখ্য বেদে বহর থাকত। তাই এই এলাকার নাম ভেদরগঞ্জ হয়েছে। চতুর্থত, আধুনিক গবেষণায় প্রবাদ দুটি নিছক প্রবাদ বলে প্রতিয়মান হয়েছে।মুলত ভে৪দার শাহ এর নাম হতে ভেদরগঞ্জ নামের উৎপত্তি।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাসর্বশেষ আদমশুমারি মতে ভেদরগঞ্জ এর মোট জনসংখ্যা ২,৩৭,৭৮০ জন।এর মধ্যে পুরুষ ও মহিলা যথাক্রমে ১২০৯৬০ ও ১১৬৮২০ জন।
শিক্ষা
সম্পাদনাভেদরগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার হার ৪০.৪৭ ভাগ।এখানে ২৩টি উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রায় এক শত প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। জেলার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এই উপজেলার মধুপুর গ্রামে অবস্থিত।
অর্থনীতি
সম্পাদনাআধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ এবং ব্যাবসার সংগে জড়িত।
ঐতিহাসিক স্থান
সম্পাদনা- ছয়গাঁও জমিদার বাড়ি
- মহীষার দীগম্বরী দীঘি
- রাম সাধুর আশ্রম
- কোকোলা মসজিদ
- জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি
- বাবুল খাঁর দীঘি
- লাকার্তা জামে মসজিদ
উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্ব
সম্পাদনা- সিরাজ সিকদার (পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা);
- শামীম সিকদার (ভাস্কর);
- আবদুর রাজ্জাক (ভাস্কর, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এর জামাতা);
- আবিদুর রেজা খান (মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবিদ);
- এম আজিজুল হক (সাবেক আইজিপি);
- শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার;
- প্রফেসর ফারজানা ইসলাম (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি);
- এম এ রেজা;
- এনামুল হক শামীম (উপমন্ত্রী, সাবেক ছাত্রলীগ প্রেসিডেন্ট);
- হান্নান সরকার (সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার)।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ভেদরগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |