দিগার মহিষখালী ইউনিয়ন

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়ন

দিগার মহিষখালী ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন[][]

দিগার মহিষখালী
ইউনিয়ন
দিগার মহিষখালী ইউনিয়ন পরিষদ
দিগার মহিষখালী ঢাকা বিভাগ-এ অবস্থিত
দিগার মহিষখালী
দিগার মহিষখালী
দিগার মহিষখালী বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
দিগার মহিষখালী
দিগার মহিষখালী
বাংলাদেশে দিগার মহিষখালী ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°১০′৪″ উত্তর ৯০°২৭′১০″ পূর্ব / ২৩.১৬৭৭৮° উত্তর ৯০.৪৫২৭৮° পূর্ব / 23.16778; 90.45278 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগঢাকা বিভাগ
জেলাশরীয়তপুর জেলা
উপজেলাভেদরগঞ্জ উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

অবস্থান ও সীমানা

সম্পাদনা

ইতিহাস

সম্পাদনা

চরাঞ্চলের সবচেয়ে পুরাতন কয়েকটি এলাকার মধ্যে এটি অন্যতম। দিঘর মহিষখালী সংক্ষিপ্ত আকারে ডি.এম খালী মুলত একটি মৌজা। ১৯০৫ সনে এই এলাকা কবুলিয়ত হয়। বৃটিশ আমলে সি.এস জরীপ শুরু হলে ১৯০৬-১৯১০ সনের মধ্যে এই এলাকায় জরীপ সম্পন্ন হয়। শ্রী শ্যামা সুন্দরী দেবী নামের এক জমিদার এই এলাকার জোত সমুহের মালিক বলে কাগজপত্রে দেখা যায়। জমিদারদের খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে কাচারি তথা তহশীল অফিস স্থাপিত হয়। সেই কাচারি ঘিরে আস্তে আস্তে দোকান-পাট গড়ে উঠে এবং বাজার মিলে যায়। তখন পুরো চরাঞ্চলে ৩ টি বাজার ছিল সখিপুর বাজার, ডি.এম খালী বাজার এবং কোদালপুর বাজার। বাজারের পাশেই চরভয়রা এম ই স্কুল স্থানান্তরিত হয়ে আসে মরহুম হাজী মোহর আলী মাঝি সাহেবের দান করা জমিতে। বাজার ঘিরে মসজিদ স্থাপিত হয়, মাদ্রাসা স্থাপিত হয়, মাইনর স্কুল থেকে জুনিয়র স্কুল, জুনিয়র স্কুল থেকে উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে যায়। বর্তমান ডি.এম খালী ইউনিয়নের সাথে বৃহত্তর চরকুমারীয়া ইউনিয়ন একত্রে ছিল এবং দক্ষিণ চরকুমারীয়া মৌজাও এই ইউনিয়নভুক্ত ছিল। ১৯৫৭ সালে বৃহত্তর চরকুমারীয়া ইউনিয়ন আলাদা হয়।

প্রশাসনিক এলাকা

সম্পাদনা

৫ টি মৌজা নিয়ে অত্র ইউনিয়ন গঠিত। দিঘর মহিষখালি, চরচান্দা, চর পাইয়াতলী, ৬৮ পাইয়াতলী, চর সাজনপুর। ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন দিঘর মহিষখালি মৌজায় বাজারের পাশেই অবস্থিত। ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে অত্র ইউনিয়নের এলাকা ভাগ করা হয়েছে।

১ নং ওয়ার্ড ৩ টি গ্রামে বিভক্ত - ওহাব ঢালী কান্দি, ইয়াকুব বেপারী কান্দি, আঃ কাদির সরকার কান্দি। এই ওয়ার্ডে ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

২ নং ওয়ার্ড অনেক গুলো গ্রামে বিভক্ত - হাজী কান্দি, মোল্লা কান্দি, হাওলাদার কান্দি, উকিল কান্দি, মুন্সী কান্দি, মিলন বেপারী কান্দি, রাজাই বেপারী কান্দি, আফির উদ্দিন মাদবর কান্দি।

আয়তন ও জনসংখ্যা

সম্পাদনা

শিক্ষা

সম্পাদনা

শিক্ষার হার:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সম্পাদনা
কলেজ
  • শহীদ সিরাজ সিকদার ডিগ্রী কলেজ; স্থাপিত: ১৯৯৫ সাল
মাধ্যমিক বিদ্যালয়
  • চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয়; স্থাপিত: ১৯১২ সাল
  • চরচান্দা উচ্চ বিদ্যালয়; স্থাপিত: ১৯৭০ সাল
  • ইউরো বাংলা ফাউন্ডেশন মডেল স্কুল
  • মনোয়ারা সিকদার বালিকা বিদ্যালয়
মাদ্রাসা
  • চরকুমারিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা; স্থাপিত: ১৯৩০ সাল
  • জামিয়া মোহসেনিয়া কওমি মাদ্রাসা; স্থাপিত: ১৯৬২ সাল
  • দারুস সাহাবা দাখিল মাদ্রাসা

দর্শনীয় স্থান

সম্পাদনা

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব

সম্পাদনা
  • শহীদ আলী মাস্টার - প্রথম প্রেসিডেন্ট, ডি.এম খালী ইউনিয়ন বোর্ড ; প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক চরভয়রা করোনেশন এম.এ স্কুল।
  • ছায়েদুর রহমান হাওলাদার - ২য় প্রেসিডেন্ট, ডি.এম খালী ইউনিয়ন বোর্ড
  • মমিনুল হক মাষ্টার - সাবেক প্রেসিডেন্ট, ডি.এম খালী ইউনিয়ন বোর্ড ; সাবেক চেয়ারম্যান ঋণ সালিশী বোর্ড।
  • মোহর আলী মাঝি - চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি দাতা।
  • জোনাব আলী মাঝি - সাবেক প্রেসিডেন্ট, ডি.এম খালী ইউনিয়ন বোর্ড ; সাবেক সভাপতি - চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয়।
  • আঃ রাজ্জাক মাদবর - সাবেক সভাপতি, চরভয়রা উচ্চ বিদ্যালয়, মোহসেনিয়া মাদ্রাসা; সদস্য - ইউনিয়ন বোর্ড।
  • আলী হোসেন সরদার - সাবেক চেয়ারম্যান
  • সিরাজুল হক সরকার - সাবেক চেয়ারম্যান
  • ছুনু মিয়া হাওলাদার - সাবেক চেয়ারম্যান
  • আবিদুর রেজা খান - সাবেক সংসদ সদস্য, ফরিদপুর-১৮। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
  • লুতফুর রহমান সরকার - বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ
  • সৈয়দ আমির খসরু - বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও শিক্ষানুরাগী।
  • আমজাদ হোসেন সরদার - সাবেক চেয়ারম্যান

জনপ্রতিনিধি

সম্পাদনা

১৯২০ সালে ইউনিয়ন বোর্ড গঠিত হয়। ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন -

১. মরহুম শহীদ আলী মাস্টার

২. মরহুম ছায়েদুর রহমান হাওলাদার

৩. মরহুম মমিনুল হক মাষ্টার

৪. মরহুম জোনাব আলী মাঝি

১৯৫৭ সালে ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠিত হয়। ৩ টি ওয়ার্ড থেকে ৩ জন করে ৯ জন সদস্য মিলে ইউনিয়ন কাউন্সিল গঠিত হত। ৯ জনের মধ্য থেকে ১ জন ইউনিয়ন কাউন্সিলর চেয়ারম্যান হিসেবে ৪ বছর দায়িত্ব পালন করতেন।

১. মরহুম জোনাব আলী মাঝি ঃ ১৯৫৭-১৯৬১

২. মরহুম আলী হোসেন সরদার ঃ ১৯৬১-১৯৬৫

৩. মরহুম সিরাজুল হক সরকার ঃ ১৯৬৫-১৯৬৯

৪. মরহুম ছুনু মিয়া হাওলাদার ঃ ১৯৬৯-১৯৭১

৫. মরহুম আঃ কাদির মাল ঃ ১৯৭২-১৯৭৩ ( রিলিফ কমিটির সেক্রেটারি)

বর্তমান চেয়ারম্যান-

চেয়ারম্যানগণের তালিকা
ক্রমিক নাম মেয়াদ
০১ আমজাদ হোসেন সরদার ১৯৭৩-১৯৭৭
০২ আমজাদ হোসেন সরদার ১৯৭৭-১৯৮৩
০৩ দেলোয়ার হোসেন মাঝি ১৯৮৩-১৯৮৮
০৪ হাবিবুর রহমান সরকার ১৯৮৮-১৯৯২
০৫ দেলোয়ার হোসেন মাঝি ১৯৯২-১৯৯৭
০৬ আজহারুল ইসলাম মাদবর ১৯৯৭-২০০২
০৭ সেলিম সরদার ২০০২-২০০৯
০৮ দেলোয়ার হাওলাদার (ভারপ্রাপ্ত) ২০০৯-২০১১
০৯ রফিকুল ইসলাম সরদার ২০১১-২০১৬
১০ জসিম উদ্দিন মাদবর ২০১৬-২০২০
১১ মহসিন হক আবু বেপারী ২০২০-২০২৪

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "দিগার মহিষখালী ইউনিয়ন"বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২০ 
  2. "ভেদরগঞ্জ উপজেলা"বাংলাপিডিয়া। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ এপ্রিল ২০২০