মোর (সাউন্ডট্র্যাক)
মোর ব্রিটিশ রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের প্রথম সাউন্ডট্র্যাক এবং তৃতীয় স্টুডিও অ্যালবাম। এটি ১৯৬৯ সালের ১৩ জুন ইএমআই কলাম্বিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে এবং ৯ আগস্ট টাওয়ার রেকর্ডস থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত হয়।[৫] এটি ১৯৬৯ সালের একই নামের চলচ্চিত্রের জন্য নির্মিত সাউন্ডট্র্যাক, যেটি প্রাথমিকভাবে ইবিজায় ধারণকৃত বারবেট শ্রোডারের পরিচালনায় অভিষেক চলচ্চিত্র। এটি ছিল প্রাক্তন ব্যান্ড নেতা সিড ব্যারেটের কোন প্রকার সাহচার্য ব্যাতীত ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম।
মোর | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক স্টুডিও অ্যালবাম / সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ১৩ জুন ১৯৬৯[১] | |||
শব্দধারণের সময় | ১ ফেব্রুয়ারি – ৩১ মে ১৯৬৯ | |||
স্টুডিও | পায়ে, লন্ডন | |||
ঘরানা | ||||
দৈর্ঘ্য | ৪৫:০০ | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | ||||
প্রযোজক | পিংক ফ্লয়েড | |||
পিংক ফ্লয়েড কালক্রম | ||||
|
অ্যালবামটি যুক্তরাজ্যের শীর্ষ দশটি হিট অ্যালবামের একটি ছিল, তবে এটি মিশ্র পর্যালোচনা লাভ করেছিল। যদিও পরবর্তী বছরগুলিতেএর বেশকিছু গান সরাসরি পরিবেশনায় জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
পটভূমি
সম্পাদনাপিংক ফ্লয়েড এই অ্যালবামের আগে বেশকয়েকটি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত রেকর্ড করেছিল। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বরে, তারা বিবিসি'র টুমরো'স ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়, একটি লাইট শোতে পরিবেশন করেছিল এবং পরের বছর দ্য কমিটি চলচ্চিত্রের জন্য কিছু যন্ত্রসঙ্গীত রেকর্ড করে।[৬]
মোর চলচ্চিত্রটিতে ইবিজার একজন তরুণ হিচহাইকারকে দেখানো হয়েছে যে পার্টির দৃশ্যসমূহ এবং মাদক গ্রহণের সাথে হেরোইন অপব্যবহারে মাধ্যমে আত্মহত্যা করেছিল। পরিচালক বারবেট শ্রোডার পিংক ফ্লয়েডের একজন অনুরাগী ছিলেন, এবং তাদের সাথে কাজ করার জন্য লন্ডনে চলচ্চিত্রের একটি মোটামুটি কাট নিয়ে উপস্থিত হন।[৬][৭] সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের পরিবর্তে, শ্রোডার চেয়েছিলেন যে গানগুলি চলচ্চিত্রে দেখানো হোক, যেমন একটি পার্টিতে রেকর্ড বাজানো হচ্ছে এমন। তবে পিংক ফ্লয়েড অনুমান করেছিল যে তারা যদি তাদের রেকর্ডিং এবং ট্যুরিং ক্যারিয়ারে কাজ না করে তবে তারা চলচ্চিত্রের কম্পোজার হিসেবে ক্যারিয়ারে শাখা তৈরি করতে পারে।[৬] ড্রামার নিক মেইসন পরে বলেছিলেন যে চলচ্চিত্রটি "আমরা নিয়মিতভাবে উৎপাদিত কিছু রম্বলিং, স্কুইকস এবং সাউন্ড টেক্সচারের জন্য আদর্শভাবে উপযুক্ত"।[৭]
মুক্তি এবং সংবর্ধনা
সম্পাদনাপেশাদারী মূল্যায়ন | |
---|---|
পর্যালোচনা স্কোর | |
উৎস | মূল্যায়ন |
অলমিউজিক | [৮] |
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ | [৯] |
জনপ্রিয় সঙ্গীতের বিশ্বকোষ | [১০] |
মিউজিকহাউন্ড | ১/৫[১১] |
দ্য রোলিং স্টোন অ্যালবাম গাইড | [১২] |
ট্র্যাক তালিকা
সম্পাদনাপ্রথম পাশ | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | রচয়িতা | দৈর্ঘ্য |
১. | "সিরাস মাইনর" | ওয়াটার্স | ৫:১৮ |
২. | "দ্য নাইল সং" | ওয়াটার্স | ৩:২৬ |
৩. | "ক্রায়িং সং" | ওয়াটার্স | ৩:৩৩ |
৪. | "আপ দ্য খাইবার" (ইনস্ট্রুমেন্টাল) | মেইসন, রাইট | ২:১২ |
৫. | "গ্রিন ইজ দ্য কালার" | ওয়াটার্স | ২:৫৮ |
৬. | "সিম্বালাইন" | ওয়াটার্স | ৪:৫০ |
৭. | "পার্টি সিকোয়েন্স" (ইনস্ট্রুমেন্টাল) | ওয়াটার্স, রাইট, গিলমোর, মেইসন | ১:০৭ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ২৩:২৪ |
দ্বিতীয় পাশ | |||
---|---|---|---|
নং. | শিরোনাম | রচয়িতা | দৈর্ঘ্য |
১. | "মেইন থিম" (ইনস্ট্রুমেন্টাল) | ওয়াটার্স, রাইট, গিলমোর, মেইসন | ৫:২৭ |
২. | "ইবিজা বার" | ওয়াটার্স, রাইট, গিলমোর, মেইসন | ৩:১৯ |
৩. | "মোর ব্লুস" (ইনস্ট্রুমেন্টাল) | ওয়াটার্স, রাইট, গিলমোর, মেইসন | ২:১২ |
৪. | "কুইকসিলভার" (ইনস্ট্রুমেন্টাল) | ওয়াটার্স, রাইট, গিলমোর, মেইসন | ৭:১৩ |
৫. | "অ্যা স্প্যানিশ পিস" | গিলমোর | ১:০৫ |
৬. | "ড্রামাটিক থিম" (ইনস্ট্রুমেন্টাল) | ওয়াটার্স, রাইট, গিলমোর, মেইসন | ২:১৫ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ২১:৩২ |
কর্মিবৃন্দ
সম্পাদনাঅলমিউজিক এবং মার্টিন পপফ থেকে নেওয়া:[১৩][১৪]
- রজার ওয়াটার্স – বেস গিটার (১-৬, ৮-১০, ১৩), টেপ এফেক্ট, পার্কাশন, কণ্ঠ
- রিচার্ড রাইট – ফারফিস অর্গান (১, ৪-৬, ৮-৯, ১১, ১৩), পিয়ানো (৪-৬, ৯), বিব্র্যাফোন (৩, ১১), হাম্মন্ড অর্গান (1), নেপথ্য কণ্ঠ
- ডেভিড গিলমোর – ইলেকট্রিক গিটার (২, ৯, ১০, ১৩), স্লাইড গিটার (৩, ৮, ১১), একোস্টিক গিটার (১, ৫), ক্লাসিকাল গিটার (৩, ৬), ফ্লামেনকো গিটার (১২), পার্কাশন (১২), প্রধান কণ্ঠ
- নিক মেইসন – ড্রাম (২-৪, ৮-১০, ১৩), বঙ্গ (৬-৭), পার্কাশন (১১)
- অতিরিক্ত কর্মিবৃন্দ
- লিন্ডি মেইসন – টিনের বাঁশি (৫, ৭)
- ব্রেইন হামফ্রিজ – প্রকৌশল
- হিপনোসিস – স্লীভ নকশা
- জেমস গুথ্রি – রি-মাস্টারিং সুপারভিশন
- দৌগ সেক্স – রি-মাস্টারিং
চার্ট
সম্পাদনাচার্ট (১৯৬৯) | শীর্ষ অবস্থান |
---|---|
ডাচ অ্যালবাম (মেগাচার্টস)[১৫] | ১৪ |
ইউকে অ্যালবাম (ওসিসি)[১৬] | ৯ |
চার্ট (১৯৭৩) | শীর্ষ অবস্থান |
ইউএস বিলবোর্ড ২০০[১৭] | ১৫২ |
চার্ট (২০১১) | শীর্ষ অবস্থান |
ফরাসি অ্যালবাম (এসএনইপি)[১৮] | ১২৮ |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাউদ্ধৃতিসমূহ
- ↑ "১৯৬৯" (ইংরেজি ভাষায়)। পিংক ফ্লয়েড। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৭।
- ↑ স্পেন্সর ২০১৪, পৃ. ৩১৫।
- ↑ সোয়ানসন, ডেভ (৯ আগস্ট ২০১৫)। "How Pink Floyd Moved on from Syd Barrett with 'More'"। আলটিমেট ক্লাসিক রক।
- ↑ "Ranking: Every Pink Floyd Album from Worst to Best"। Consequence (publication)। ২৯ মে ২০১৭।
- ↑ পোভেই ২০০৮, পৃ. ১১০,৩৪৩।
- ↑ ক খ গ ব্লেক ২০১১, পৃ. ১৩২।
- ↑ ক খ মেইসন ২০০৪, পৃ. ১২৬।
- ↑ আন্টেরবার্জার, রিচি. অলমিউজিকে Album review. Retrieved 3 July 2011.
- ↑ ম্যাক্রোমিক, নিল (২০ মে ২০১৪)। "Pink Floyd's 14 studio albums rated"। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। লন্ডন। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ লার্কিন, কলিন (২০১১)। জনপ্রিয় সঙ্গীতের বিশ্বকোষ (ইংরেজি ভাষায়)। অমনিবাস প্রেস। আইএসবিএন 9780857125958। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৯।
- ↑ গ্রাফ, গ্যারি; দুরছলজ, ড্যানিয়েল (সম্পা.) (১৯৯৯)। MusicHound Rock: The Essential Album Guide। ফার্মিংটন হিলস, মিশিগান: ভিসিবলে ইন্ক্ প্রেস। পৃষ্ঠা ৮৭২। আইএসবিএন 1-57859-061-2।
- ↑ শেফিল্ড, রব (২ নভেম্বর ২০০৪)। "পিংক ফ্লয়েড: অ্যালবাম গাইড"। রোলিং স্টোন। ওয়েনার মিডিয়া, ফায়ারসাইড বুক্স। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ "More – Credits"। অলমিউজিক। ৭ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ Popoff 2018, পৃ. 36।
- ↑ "Pink Floyd – More" (ডাচ ভাষায়)। Dutchcharts.nl. হাং মেডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ 9 June 2016.
- ↑ "Pink Floyd | Artist | Official Charts". ইউকে অ্যালবাম চার্ট সংগ্রহের তারিখ 9 June 2016.
- ↑ "Pink Floyd Album & Song Chart History" বিলবোর্ড ২০০ for Pink Floyd. সংগ্রহের তারিখ 9 June 2016.
- ↑ "Pink Floyd – More". Lescharts.com. হাং মেডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ 9 June 2016.
উৎস
- ব্লেক, মার্ক (২০১১) [2007]। Pigs Might Fly : The Inside Story of Pink Floyd। Arum Press। আইএসবিএন 978-1-781-31519-4।
- DeRogatis, J (২০০৩)। Turn On Your Mind: Four Decades of Great Psychedelic Rock। Hal Leonard। আইএসবিএন 0-634-05548-8।
- Graff, Gary; Durchholz, Daniel (১৯৯৯)। MusicHound Rock: The Essential Album Guide । Farmington Hills, MI: Visible Ink Press। আইএসবিএন 1-57859-061-2।
- Guesdon, Jean=Michel; Margotin, Philippe (২০১৭)। Pink Floyd All the Songs: The Story Behind Every Track। Hachette UK। আইএসবিএন 978-0-316-43923-7।
- ম্যাবেট, অ্যান্ডি (২০১০)। পিংক ফ্লয়েড: দ্য মিউজিক অ্যান্ড দ্য মিস্ট্রি (ইংরেজি ভাষায়)। লন্ডন: অমনিবাস প্রেস। আইএসবিএন 9781849383707।
- মেইসন, নিক (২০০৪) [২০০৪]। ডড, ফিলিপ, সম্পাদক। Inside Out: A Personal History of Pink Floyd (ইংরেজি ভাষায়) (পেপারব্যাক সংস্করণ)। ফিনিক্স। আইএসবিএন 978-0-7538-1906-7।
- ম্যানিং, টবি (২০০৬)। দ্য রাফ গাইড টু পিংক ফ্লয়েড (ইংরেজি ভাষায়) (প্রথম সংস্করণ)। লন্ডন: রাফ গাইড। আইএসবিএন 978-1-84353-575-1।
- Popoff, Martin (২০১৮)। Pink Floyd: Album by Album। Voyageur Press। আইএসবিএন 978-0-760-36062-0।
- পোভেই, গ্লেন (২০০৮) [২০০৭]। Echoes: The Complete History of Pink Floyd [ইকোস: দ্য কমপ্লিট হিস্ট্রি অব পিংক ফ্লয়েড] (ইংরেজি ভাষায়)। মাইন্ড হেড পাবলিশিং। আইএসবিএন 978-0-9554624-1-2।
- Wild, Andrew (২০১৭)। Pink Floyd: Song by Song। Fonthill Media। আইএসবিএন 978-1-781-55599-6।
- স্পেন্সর, ক্রিস্টোফার (২০১৪)। Film and Television Scores, 1950-1979: A Critical Survey by Genre। McFarland। আইএসবিএন 978-0-7864-5228-6।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- অলমিউজিকে মোর
- মোর (সাউন্ডট্র্যাক) - ডিস্কোগ্স (প্রকাশের তালিকা)