ডেভিড গিলমোর
ডেভিড জন গিলমোর (/ˈɡɪlmɔːr/ GHIL-mor; জন্ম ৬ মার্চ ১৯৪৬) একজন ইংরেজ সঙ্গীতশিল্পী, যিনি প্রোগ্রেসিভ রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের সদস্য ছিলেন। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সিড ব্যারেটের ব্যান্ড ত্যাগের কিছু আগে গিটারবাদক এবং সহ-নেতৃত্বের কণ্ঠশিল্পী হিসাবে ব্যান্ডে যোগ দেন।[১] পিংক ফ্লয়েড দ্য ডার্ক সাইড অব দ্য মুন (১৯৭৩), উইশ ইউ ওয়্যার হেয়ার (১৯৭৫), অ্যানিম্যাল্স (১৯৭৭) এবং দ্য ওয়াল (১৯৭৯) ধারণা অ্যালবাম নিয়ে আন্তর্জাতিক সাফল্য অর্জন করে। ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে, তারা সঙ্গীত ইতিহাসের সর্বাধিক বিক্রিত এবং সর্বাধিক প্রশংসিত ব্যান্ড হয়ে ওঠে; ২০১২ সালের হিসেবে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ মিলিয়ন সহ বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়নেরও অধিক রেকর্ড বিক্রি করেছিল।[২] ১৯৮৫ সালে রজার ওয়াটার্সের প্রস্থানের পরে, পিংক ফ্লয়েড গিলমোরের নেতৃত্বে অব্যাহত রেখেছিলেন এবং পরবর্তীতে আরও তিনটি স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেন।
ডেভিড গিলমোর | |
---|---|
জন্ম | ডেভিড জন গিলমোর ৬ মার্চ ১৯৪৬ ক্যামব্রিজ, ক্যামব্রিজশায়ার, ইংল্যান্ড |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৬৩–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী |
|
সন্তান | ৮ |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | |
বাদ্যযন্ত্র |
|
লেবেল | |
ওয়েবসাইট | davidgilmour |
গিলমোর বিভিন্ন শিল্পী তৈরি করেছেন, যেমন ড্রিম অ্যাকাডেমি, এবং চারটি একক স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন: ডেভিড গিলমোর, অ্যাবাউট ফেইস, অন অ্যান আইল্যান্ড, এবং রেটল দ্যাট লক। গায়ক-গীতিকার কেট বুশকে জনগণের নজরে আনার কৃতিত্বও তার। পিংক ফ্লয়েডের সদস্য হিসাবে, ১৯৯৬ সালে তিনি ইউএস রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেইম এবং ২০০৫ সালে ইউকে মিউজিক হল অব ফেমের অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালে, গিলমোরকে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (সিবিই) সম্মান দেয়া হয়। ২০০৮ সালে কিউ পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি অসামান্য অবদানের খেতাব লাভ করেন।.[৩] ২০১১ সালে, রোলিং স্টোন সাময়িকী তাদের সর্বকালের সেরা গিটারবাদকের তালিকায় তাকে ১৪ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করে।[৪] ২০০৯ সালে প্ল্যানেট রক শ্রোতাদের ভোটে মহান রক শিল্পী হিসেবে তিনি ৩৬ নম্বরেও ছিলেন।[৫]
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাডেভিড জন গিলমোর, ৬ মার্চ ১৯৪৬ সালে ক্যামব্রিজ, ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন।[৬] তার পিতা, ডগলাস গিলমোর ছিলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞানের প্রবীণ অধ্যাপক এবং মাতা সিলভিয়া (নী উইলসন) ছিলেন শিক্ষক এবং চলচ্চিত্র সম্পাদক; পরবর্তীতে যিনি বিবিসি'র হয়েও কাজ করেন। গিলমোরের জন্মের সময় তারা ট্রামপিঙ্গটন, কেমব্রীজশায়ারে বসবাস করতেন, তবে ১৯৫৬ সালে এই দম্পতি গ্রান্টচেস্টার মিডোসে স্থানান্তরিত হন।[৭][n ১]
গিলমোরের বাবা সংগীতে তার আগ্রহ উত্সাহিত করতেন এবং ১৯৫৪ সালে তিনি তার প্রথম একক অ্যালবাম বিল হালেই-এর "রক অ্যারাউন্ড দ্যা ক্লক" কেনেন।[৯] এরপর সংগীতের প্রতি তার উদ্দীপনা আন্দোলিত হয়েছে এলভিস প্রেসলির "হার্টব্রেক হোটেল"এবং পরবর্তিতে দ্যা এভ্রিলি ব্রাদার্সের "বাই বাই লাভ" হানের মাধ্যমে।
পিংক ফ্লয়েড
সম্পাদনাবাদ্যযন্ত্র শৈলী
সম্পাদনাএকক প্রকল্প
সম্পাদনাসরঞ্জাম
সম্পাদনাইফেক্ট প্যাডেল
সম্পাদনা
১৯৭২–৭৫সম্পাদনা
১৯৭৯–৮১সম্পাদনা
|
২০১৫ (র্যাটল দ্যাট লক)সম্পাদনা
|
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাগিলমোরের প্রথম বিয়ে হয় ৭ই জুলাই ১৯৭৫ সালে, আমেরিকান-জন্মগ্রহণকারী মডেল এবং শিল্পী জিঞ্জার গিলমোর সাথে।[১৪] এই দম্পতির চার সন্তান ছিল: এলিস (জন্ম ১৯৭৬), ক্লেয়ার (জন্ম ১৯৭৯), সারা (জন্ম ১৯৮৩) এবং ম্যাথু (জন্ম ১৯৮৬)।[১৫] তারা মূলত একটি ওয়ালডোর্ফ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, তবে গিলমোর তাদের সেই শিক্ষাকে "ভয়ঙ্কর" বলে আখ্যায়িত করেন।[১৬] ১৯৯৪ সালে তিনি সাংবাদিক পলি স্যামসনকে বিয়ে করেন। তার নিতবর ছিলো কিশোর বন্ধু এবং পিঙ্ক ফ্লয়েড অ্যালবাম আর্টওয়ার্ক ডিজাইনার স্ট্রম থ্রগসন।[১৭] এই দম্পতির চার সন্তান: চার্লি (জন্ম ১৯৯১) (স্যামসন এর পুত্রের সঙ্গে হেথ হিথকোট উইলিয়ামস যাকে গিলমোর দত্তক গ্রহণ করেন), জো (জন্ম ১৯৯৫), গ্যাব্রিয়েল (জন্ম ১৯৯৭), এবং রোমানি (জন্ম ২০০২)।[১৮] দ্যা ডিভিশন বেল অ্যালবামের "হাই হোপস" গানের শেষাংশে চার্লিকে টেলিফোনে কথা বলতে শোনা যায় স্টিভ ও'রোয়ারকির সাথে।[১৯]
ডিস্কোগ্রাফি
সম্পাদনা- স্টুডিও অ্যালবাম
- ডেভিড গিলমোর (১৯৭৮)
- অ্যাবাউট ফেস (১৯৮৪)
- অন এন আইসল্যান্ড (২০০৬)
- র্যটল দ্যাট লক (২০১৫)
ট্যুর
সম্পাদনা- অ্যাবাউট ফেস ট্যুর (১৯৮৪)
- অন এন আইসল্যান্ড ট্যুর (২০০৬)
- র্যটল দ্যাট লক ট্যুর (২০১৫–১৬)
টিকা
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Gilmour, David" । Encyclopedia of Popular Music। Oxford Music Online। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৪।[অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ২৫০ মিলিয়ন বিক্রির রেকর্ড দেখুন: "Pink Floyd Reunion Tops Fans' Wish List in Music Choice Survey"। Bloomberg Television। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৭। ১২ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১২।; ৭৪.৫ মিলিয়ন বিক্রির আরআইএএ প্রত্যয়িত ইউনিট রেকর্ড দেখুন: "Top Selling Artists"। RIAA। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১২।
- ↑ "Gilmour dedicates his award to late colleague"। Q Awards। ১০ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১১।
- ↑ "David Gilmour – 100 Greatest Guitarists – Rolling Stone"। রোলিং স্টোন। ৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Robert Plant voted rock's greatest voice"। MusicRadar। ৪ জানুয়ারি ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ ফিচ্ ২০০৫।
- ↑ ব্লেক ২০০৮: ট্রামপিঙ্গটন; ম্যানিং ২০০৬.
- ↑ ব্লেক ২০০৮।
- ↑ Manning 2006, পৃ. 10–11।
- ↑ "Dark Side of the Moon 1972-75"। Gilmourish। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Inc., Equipboard। "David Gilmour's Equipboard"। Equipboard। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "The Wall 1979-81"। Gilmourish। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ "Rattle That Lock 2015"। Gilmourish। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Gilmour, Ginger। "Ginger Art"। ১৪ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১১।
- ↑ Fitch ২০০৫, পৃ. ১১৬।
- ↑ "Daily Telegraph Article: "We Don't Need No Steiner Education""। Waldorfcritics.org। ২০ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০০৯।
- ↑ Samson, Polly (১৮ এপ্রিল ২০১৩)। "Best man at our wedding"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ Blake 2008, পৃ. 371: Romany, Fitch 2005, পৃ. 116: Charlie, Joe and Gabriel.
- ↑ Fitch 2005, পৃ. 115।
উৎস
সম্পাদনা- ব্লেক, মার্ক (২০০৮)। Comfortably Numb: The Inside Story of Pink Floyd [কমফোর্টেবলি নাম্ব: দ্য বনিসাইড স্টোরি অব পিংক ফ্লয়েড] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য কপো প্রেস। আইএসবিএন 978-0-306-81752-6।
- ফিচ, ভারনন (২০০৫)। The Pink Floyd Encyclopedia [দ্য পিংক ফ্লয়েড এনসাইক্লোপিডিয়া] (ইংরেজি ভাষায়) (তৃতীয় সংস্করণ)। কালেক্টর্স গাইড পাবলিশিং। আইএসবিএন 978-1-894959-24-7।
- ফিচ, ভারনন; মাহন, রিচার্ড (২০০৬)। Comfortably Numb: A History of "The Wall", Pink Floyd, 1978–1981 [কমফোর্টেবলি নাম্ব: অ্যা হিস্ট্রি অব "দ্য ওয়াল"] (ইংরেজি ভাষায়) (১ম সংস্করণ)। পিএফএ পাবলিশিং, ইন্ক.। আইএসবিএন 978-0-9777366-0-7।
- ম্যাবেট, অ্যান্ডি (২০১০)। পিংক ফ্লয়েড: দ্য মিউজিক অ্যান্ড দ্য মিস্ট্রি (ইংরেজি ভাষায়)। লন্ডন: অমনিবাস প্রেস। আইএসবিএন 9781849383707।
- ম্যানিং, টবি (২০০৬)। "দ্য আর্লি ইয়ার্স"। দ্য রাফ গাইড টু পিংক ফ্লয়েড (ইংরেজি ভাষায়) (প্রথম সংস্করণ)। লন্ডন: রাফ গাইড। আইএসবিএন 978-1-84353-575-1।
- মেইসন, নিক (২০০৫) [২০০৪]। ডড, ফিলিপ, সম্পাদক। Inside Out: A Personal History of Pink Floyd (ইংরেজি ভাষায়) (পেপারব্যাক সংস্করণ)। ফিনিক্স। আইএসবিএন 978-0-7538-1906-7।
- পোভেই, গ্লেন (২০০৮) [২০০৭]। Echoes: The Complete History of Pink Floyd [ইকোস: দ্য কমপ্লিট হিস্ট্রি অব পিংক ফ্লয়েড] (ইংরেজি ভাষায়)। মাইন্ড হেড পাবলিশিং। আইএসবিএন 978-0-9554624-1-2।
- পোভেই, গ্ল্যান; রাসেল, ইয়ান (১৯৯৭)। পিংক ফ্লয়েড: ইন দ্য ফ্লেশ: দ্য কমপ্লিট পারফরমেন্স হিস্ট্রি (প্রথম ইউএস পেপারব্যাক সংস্করণ)। সেন্ট মার্টিন প্রেস। আইএসবিএন 978-0-9554624-0-5।
- শ্যাফনার, নিকোলাস (১৯৯১)। সোসারফুল অব সিক্রেট্স: দ্য পিংক ফ্লয়েড ওডিসি (ইংরেজি ভাষায়) (প্রথম সংস্করণ)। সিডগউইক ও জ্যাকসন। আইএসবিএন 978-0-283-06127-1।
- Wenner, Jann, সম্পাদক (৮ ডিসেম্বর ২০১১)। "Rolling Stone: The 100 Greatest Guitarists of All Time"। রোলিং স্টোন (১১৪৫)।
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Di Perna, Alan (২০০২)। Guitar World Presents Pink Floyd। Hal Leonard Corporation। আইএসবিএন 978-0-634-03286-8।
- Fitch, Vernon (২০০১)। Pink Floyd: The Press Reports 1966–1983। Collector's Guide Publishing Inc। আইএসবিএন 978-1-896522-72-2।
- Fricke, David (ডিসেম্বর ২০০৯)। "Roger Waters: Welcome to My Nightmare ... Behind The Wall"। Mojo। Emap Metro। ১৯৩: পৃ. ৬৮–৮৪।
- Harris, John (২০০৫)। The Dark Side of the Moon: The Making of the Pink Floyd Masterpiece। Da Capo। আইএসবিএন 978-0-306-81342-9। ৩ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- Hiatt, Brian (সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Back to The Wall"। Rolling Stone। 1114: পৃ. ৫০–৫৭।
- MacDonald, Bruno (১৯৯৭)। Pink Floyd: through the eyes of ... the band, its fans, friends, and foes। Da Capo Press। আইএসবিএন 978-0-306-80780-0। ১৬ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- Mabbett, Andy (১৯৯৫)। The Complete Guide to the Music of Pink Floyd (1st UK paperback সংস্করণ)। Omnibus Press। আইএসবিএন 978-0-7119-4301-8।
- Miles, Barry (১৯৮২)। Pink Floyd: A Visual Documentary by Miles। New York: Putnam Publishing Group। আইএসবিএন 978-0-399-41001-7।
- Scarfe, Gerald (২০১০)। The Making of Pink Floyd: The Wall (1st US paperback সংস্করণ)। Da Capo Press। আইএসবিএন 978-0-306-81997-1।
- Simmons, Sylvie (ডিসেম্বর ১৯৯৯)। "Pink Floyd: The Making of The Wall"। Mojo। London: Emap Metro। ৭৩: পৃ. ৭৬–৯৫।
- Watkinson, Mike; Anderson, Pete (১৯৯১)। Crazy Diamond: Syd Barrett & the Dawn of Pink Floyd (1st UK paperback সংস্করণ)। Omnibus Press। আইএসবিএন 978-1-84609-739-3।