উমাগুমা (ইংরেজি: Ummagumma) ব্রিটিশ প্রোগ্রেসিভ রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের চতুর্থ স্টুডিও অ্যালবাম। এটি ডাবল অ্যালবাম হিসাবে ৭ নভেম্বর ১৯৬৯ সালে হার্ভেস্ট রেকর্ডস কর্তৃক যুক্তরাজ্যে মুক্তিপ্রাপ্ত।[৪] প্রথম ডিস্কটিতে বার্মিংহামের মাদার্স ক্লাব এবং ম্যানচেস্টারের কলেজ অব কমার্সের কনসার্টের সরাসরি রেকর্ডিং রয়েছে যা তাদের সময়ের সাধারণ সেট তালিকার একটি অংশ ধারণ করে, অন্য অংশে রয়েছে অ্যাবে রোড স্টুডিওসে রেকর্ডকৃত ব্যান্ডের প্রতিটি সদস্যের একক রচনা।[৫][৬] অ্যালবামের প্রচ্ছদ এবং শিল্পকর্ম নকশা করেছে নিয়মিত ফ্লয়েড সহযোগী হিপগনোসিস, এবং একটি ড্রস্ট এফেক্ট আনার জন্য ব্যান্ড সদস্যদের বেশ কয়েকটি আলোকচিত্র সমন্বিত করা হয়েছে। এটি ব্যান্ডের চিত্রায়নবিশিষ্ঠ সর্বশেষ অ্যালবাম প্রচ্ছদ।

উমাগুমা
কর্তৃক স্টুডিও অ্যালবাম / সরাসরি অ্যালবাম
মুক্তির তারিখ৭ নভেম্বর ১৯৬৯ (1969-11-07)
শব্দধারণের সময়২৭ এপ্রিল এবং ২ মে ১৯৬৯ (সরাসরি অ্যালবাম)
স্থান
স্টুডিওঅ্যাবি রোড স্টুডিওস, লন্ডন
ঘরানা
দৈর্ঘ্য'"`UNIQ--templatestyles-০০০০০০০৯-QINU`"'
  • ৮৬:২১ (সবমিলিয়ে)
  • ৩৯:৩৬ (সরাসরি অ্যালবাম)
  • ৪৬:৫৬ (স্টুডিও অ্যালবাম)
সঙ্গীত প্রকাশনীহার্ভেস্ট
প্রযোজক
পিংক ফ্লয়েড কালক্রম
মোর
(১৯৬৯)
উমাগুমা
(১৯৬৯)
অ্যাটম হার্ট মাদার
(১৯৭০)
পিংক ফ্লয়েড সরাসরি অ্যালবাম কালক্রম
উমাগুমা
(১৯৬৯)
ডেলিকেট সাউন্ড অব থান্ডার
(১৯৮৮)

যদিও মুক্তির সময় অ্যালবামটি শ্রোতামহলে ভালভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং যুক্তরাজ্যের অ্যালবাম তালিকায় শীর্ষ পাঁচটি হিট তালিকাভুক্ত হয়েছিল। এরপর অ্যালবামটি ব্যান্ডের চোখে বিরূপ ভাবে দেখা হতো, যারা তাদের সাক্ষাৎকারে এটি সম্পর্কে নেতিবাচক মতামত প্রকাশ করেছিল। যদিও, অ্যালবামটি তাদের ক্যাটালগের বাকি অংশগুলি সহ একাধিকবার সিডিতে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে।

শিরোনাম সম্পাদনা

অ্যালবামের শিরোনামটি তথাকথিত যৌনতার ক্যামব্রিজ অপবাদ থেকে এসেছে,[৭][৮] যাা সাধারণত পিংক ফ্লয়েড বন্ধু এবং মাঝে মধ্যে রোডি আইয়েন "ইমো" মুর ব্যবহার করতেন, যিনি বলেছিলেন "আমি কিছু উমাগুমার জন্য ঘরে ফিরে যাচ্ছি"। মুরের মতে শব্দটি তার নিজের তৈরি।[৯]

ট্র্যাকের তালিকা সম্পাদনা

ডাবল-এলপি সংস্করণ সম্পাদনা

রেকর্ড এক - সরাসরি অ্যালবাম
পাশ এক
নং.শিরোনামরচয়িতাদৈর্ঘ্য
১."অ্যাস্ট্রোনমি ডোমিন"সিড ব্যারেট৮:৩২
২."কেয়ারফুল উইথ দ্যাট এক্স, ইউজিন"৮:৪৯
মোট দৈর্ঘ্য:১৭:২১
পাশ দুই
নং.শিরোনামরচয়িতাদৈর্ঘ্য
১."সেট দ্য কন্ট্রোল্‌স ফর দ্য হার্ট অব দ্য সান"ওয়াটার্স৯:২৭
২."অ্যা সোসারফুল অব সিক্রেট্‌স"
  • ওয়াটার্স
  • রাইট
  • মেইসন
  • গিলমোর
১২:৪৮
মোট দৈর্ঘ্য:২২:১৫
রেকর্ড দুই – স্টুডিও অ্যালবাম
পাশ তিন
নং.শিরোনামরচয়িতাদৈর্ঘ্য
১."সিসিফাস (অংশ ১–৪)"রাইট১৩:২৮
২."Grantchester Meadows"ওয়াটার্স৭:২৬
৩."Several Species of Small Furry Animals Gathered Together in a Cave and Grooving with a Pict"ওয়াটার্স৪:৫৯
মোট দৈর্ঘ্য:২৫:৫৩
পাশ চার
নং.শিরোনামরচয়িতাদৈর্ঘ্য
১."দ্য ন্যারো ওয়ে (অংশ ১–৩)"গিলমোর১২:১৭
২."The Grand Vizier's Garden Party (Part 1: Entrance; Part 2: Entertainment; Part 3: Exit)"মেইসন৮:৪৬
মোট দৈর্ঘ্য:২১:০৩

অভ্যর্থন সম্পাদনা

পেশাদারী মূল্যায়ন
পর্যালোচনা স্কোর
উৎসমূল্যায়ন
অলমিউজিক     [১০]
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ     [১]
দ্য গ্রেট রক ডিস্কোগ্রাফি৭/১০[১১]
অ্যানসাইক্লোপিডিয়া অব পপুলার মিউজিক     [১২]
মিউজিক হাউন্ড২.৫/৫[১৩]
পেস্ট৫.০/১০[১৪]
দ্য রোলিং স্টোন অ্যালবাম গাইড২.৫/৫[১৫]
স্পুটনিকমিউজিক৪/৫[১৬]
ভার্জিন অ্যানসাইক্লোপিডিয়া অব পপুলার মিউজিক     [১১]

রবার্ট ক্রিস্টগা মন্তব্য করেছেন যে অ্যালবামের "সম্মোহনীয় সুর" একে "ঘুমিয়ে যাওয়ার প্রশংসনীয় রেকর্ড" বানিয়েছে।[১৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. McCormick, Neil (২০ মে ২০১৪)। "Pink Floyd's 14 studio albums rated"The Daily Telegraph। London। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. Doyle Greene (১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। Rock, Counterculture and the Avant-Garde, 1966-1970: How the Beatles, Frank Zappa and the Velvet Underground Defined an Era। McFarland। পৃষ্ঠা 159। আইএসবিএন 978-1-4766-6214-5 
  3. Toby Manning (২০০৬)। The Rough Guide to Pink Floyd। Rough Guides। পৃষ্ঠা 160। আইএসবিএন 978-1-84353-575-1 
  4. পোভেই ২০০৭, পৃ. ১১৫।
  5. পোভেই ২০০৭, পৃ. ৭৪।
  6. Alistair Lawrence (২০১২)। Abbey Road: The Best Studio in the World। A&C Black। পৃষ্ঠা 14। 
  7. Schaffner, Nicholas (২০০৫)। Saucerful of Secrets: The Pink Floyd Odyssey (New সংস্করণ)। London: Helter Skelter। পৃষ্ঠা 157। আইএসবিএন 1-905139-09-8 
  8. Manning, Toby (২০০৬)। The Rough Guide to Pink Floyd (1st সংস্করণ)। London: Rough Guides। পৃষ্ঠা 160আইএসবিএন 1-84353-575-0 
  9. Blake, Mark। Comfortably Numb: The Inside Story of Pink Floyd। Da Capo Press Inc। পৃষ্ঠা 137। আইএসবিএন 978-0306817526। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  10. Eder, Bruce। "Ummagumma – Pink Floyd: Songs, Reviews, Credits, Awards: AllMusic"AllMusic। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১২ 
  11. "Pink Floyd Ummagumma"Acclaimed Music। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  12. Larkin, Colin (২০১১)। The Encyclopedia of Popular Music (ইংরেজি ভাষায়)। Omnibus Press। আইএসবিএন 9780857125958। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৯ 
  13. Graff, Gary; Durchholz, Daniel (eds) (১৯৯৯)। MusicHound Rock: The Essential Album Guide। Farmington Hills, MI: Visible Ink Press। পৃষ্ঠা 872আইএসবিএন 1-57859-061-2 
  14. Deusner, Stephen (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Pink Floyd: Ummagumma ("Why Pink Floyd?" Reissue) :: Music :: Reviews :: Paste"Paste। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০১২ 
  15. Sheffield, Rob (২ নভেম্বর ২০০৪)। "Pink Floyd: Album Guide"Rolling StoneWenner Media, Fireside Books। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  16. Campbell, Hernan। "Pink Floyd Ummagumma"Sputnikmusic। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৫ 
  17. Christgau, Robert। "Pink Floyd: Atom Heart Mother"Consumer Guide। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৩ 

সূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা