গর্ডন রোর্ক
গর্ডন ফ্রেডরিক রোর্ক (ইংরেজি: Gordon Rorke; জন্ম: ২৭ জুন, ১৯৩৮) নিউ সাউথ ওয়েলস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের শেষার্ধ্বে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গর্ডন ফ্রেডরিক রোর্ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৭ জুন, ১৯৩৮ নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | লোথাইর, ব্লন্ড জায়েন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি (১.৯৬ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২১৩) | ৩০ জানুয়ারি ১৯৫৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৫৯ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৭/৫৮ - ১৯৬৩/৬৪ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ জুন ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘লোথাইর’ ডাকনামে পরিচিত গর্ডন রোর্ক।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৫৭-৫৮ মৌসুম থেকে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুম পর্যন্ত গর্ডন রোর্কের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
দীর্ঘ ছয় ফুট পাঁচ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী গর্ডন রোর্ক ‘ব্লন্ড জায়েন্ট’ ডাকনামে পরিচিতি পেয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলারের মর্যাদা লাভ করেছিলেন। তবে, ইংরেজ গণমাধ্যমে বল ঢিল ছোড়ার বিষয়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। বোলিংকালে নিজেকে বেশ সামনের দিকে নিয়ে যেতেন। বলকে ডেলিভারি দেয়ার পর ব্যাটসম্যানের কাছে আঠারো গজ দূরত্বে নিজেকে নিয়ে যেতেন। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে রান সংগ্রহ করা বেশ দুষ্কর ছিল।[১][২][৩]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন গর্ডন রোর্ক। ৩০ জানুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে অ্যাডিলেডে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
জানুয়ারি, ১৯৫৯ সালে অ্যাডিলেডে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় গর্ডন রোর্কের। সূচনাটি বেশ ভালোভাবে সম্পন্ন হয় তার। প্রথম ইনিংসে আট-বল নিয়ে গড়া ১৮.১ ওভারে ৩/২৩ পান। তন্মধ্যে, কলিন কাউড্রেকে ৮৪ এবং টম গ্রেভেনি ও উইলি ওয়াটসন তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪ ওভার বোলিং করে ২/৭০ লাভ করেছিলেন।
এ টেস্টের এক পক্ষকাল পর মেলবোর্নে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে তিনি আরও তিন উইকেট পান। ফলশ্রুতিতে, পরের বছর পাকিস্তান ও ভারত গমনার্থে তাকে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ফ্রেড ট্রুম্যানকে ক্রিজের কয়েক ইঞ্চি সামনে নিয়ে যাওয়ায় নো বলের শিকার হন ও পরবর্তীকালে উল্লেখ করেছিলেন যে, প্রকৃতই দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম যে, একই আম্পায়ার কীভাবে গর্ডন রোর্ককে বোলিংয়ের অনুমতি দিয়েছেন।[৪] একটি চিত্রে দেখা যায় যে, তিনি তার পিছনের পাকে বোলিং ক্রিজে টেনে আনছেন।[২] কলিন কাউড্রে তামাশা করে বলেছিলেন যে, আমি ভীত ছিলাম যে তিনি হয়তোবা আমার পায়ের পাতা মাড়িয়ে যাচ্ছেন।[৫]
উপমহাদেশ গমন
সম্পাদনা১৯৫৯-৬০ মৌসুমে পাকিস্তান গমন করেন। তিন-টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজের কোনটিতেই তাকে খেলানো হয়নি। তবে, দিল্লিতে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে রে লিন্ডওয়াল নাম প্রত্যাহার করে নিলে তার খেলার সুযোগ হয়। কানপুরে অনুষ্ঠিত পরবর্তী টেস্টে খুব কমই ভূমিকা রাখেন। গুরুতর অসুস্থ বোধ করায় জোরপূর্বক মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন। মাত্র দুই ওভার বোলিং করেছিলেন তিনি।
শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটায় চিকিৎসার্থে তাকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরৎ পাঠানো হয়। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটেও ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। এক পর্যায়ে ১৯৬৪ সালে শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের বাইরে রাখা হয়। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে তাকে তিনবার হাঁটুর অস্ত্রোপাচার করতে হয়েছিল।
১৯৬৪ সালে ২৫ বছর বয়সে হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হন ও তিনি মাটিতে পড়ে যান। এভাবেই তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের সমাপ্তি ঘটে। এরপর তিনি ত্রিশ বছর বয়স পর্যন্ত ম্যানলি ও মোসম্যানের পক্ষে গ্রেড ক্রিকেট খেলেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার চার সন্তান ও এগারোজন নাতি-নাতনি রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে গর্ডন রোর্ক (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে গর্ডন রোর্ক (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Brown, A. (1988) The Pictorial History of Cricket, Bison Books: London. আইএসবিএন ৯৭৮০৮৬১২৪৪৪৪৭
- Frith, D. (1987) Pageant of Cricket, The MacMillan Company of Australia: South Melbourne. আইএসবিএন ৯৭৮০৩৩৩৪৫১৭৭৯.
- Trueman, F. (2005) As It Was, Pan Books: London. আইএসবিএন ৯৭৮০৩৩০৪২৭০৫০.
- Tyson, F. (1982) The Cricketer Who Laughed, Stanley Paul: London. আইএসবিএন ৯৭৮০০৯১৩৭৭৯০৮.
- Willis, B. & Murphy, P. (1986) Starting with Grace, Stanley Paul: London. আইএসবিএন ৯৭৮০০৯১৬৬১০০৭