দিল্লি মেট্রো
দিল্লি মেট্রো (হিন্দি: दिल्ली मेट्रो) ভারতের রাজধানী দিল্লি ও তার পার্শ্ববর্তী গুরগাঁও ও নয়ডা অঞ্চলের দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা। দিল্লি মেট্রো নেটওয়ার্কের পাঁচটি লাইনের সম্মিলিত দৈর্ঘ্য ৩২৭.০০ কিলোমিটার (২০৩ মাইল)। দিল্লি মেট্রোর স্টেশনের সংখ্যা ২৩৬টি; এর মধ্যে ৬৮টি ভূগর্ভস্থ। এই মেট্রোয় উড়াল, ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ – তিন প্রকার লাইনই রয়েছে এবং ব্রড গেজ ও স্ট্যান্ডার্ড গেজ – উভয় প্রকার রোলিং স্টকই ব্যবহৃত হয়।
দিল্লি মেট্রো दिल्ली मेट्रो | |
---|---|
| |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
অবস্থান | দিল্লি, ভারত |
পরিবহনের ধরন | দ্রুত পরিবহন |
লাইনের (চক্রপথের) সংখ্যা | ৮ |
বিরতিস্থলের (স্টেশন) সংখ্যা | ২৩৬[১] |
দৈনিক যাত্রীসংখ্যা | ২.৭৬ মিলিয়ন[২] |
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা | ই. শ্রীধরন |
প্রধান কার্যালয় | মেট্রো ভবন, বারাখাম্বা রোড, নয়াদিল্লি |
ওয়েবসাইট | http://www.delhimetrorail.com |
চলাচল | |
চালুর তারিখ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০০২[৩] |
পরিচালক সংস্থা | দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি) |
একক গাড়ির সংখ্যা | ৩০০ টি ট্রেন[৪] |
রেলগাড়ির দৈর্ঘ্য | ৪/৬/৮ টি কোচ[৫] |
কারিগরি তথ্য | |
মোট রেলপথের দৈর্ঘ্য | ৩২৭.০ কিমি (২০৩.২ মা)[১] |
রেলপথের গেজ | ১৬৭৬ ব্রড গেজ ১৪৩৫ standard gauge |
বিদ্যুতায়ন | 25 kV, 50 Hz AC through overhead catenary |
দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি) দিল্লি মেট্রো নেটওয়ার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী, ডিএমআরসি সকাল ৬টা থেকে রাত্রি ১১টার মধ্যে ৩ থেকে ৪.৫ মিনিট ব্যবধানে দৈনিক ১০০টি ট্রেন চালিয়ে থাকে।[৪] ট্রেনগুলিতে চার থেকে ছয়টি কোচ থাকে।[৫] ওভারহেড ক্যাটেনারির মাধ্যমে ২৫ কিলোওয়াট ৫০ হার্টজ এসি বিদ্যুৎ ট্রেনগুলিতে সরবরাহ করা হয়। দিল্লি মেট্রোর দৈনিক গড় যাত্রীসংখ্যা ১০ লক্ষ।[২] উদ্বোধনের পর সাত বছরে দিল্লি মেট্রো ১০০ কোটিরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে।[৬]
১৯৮৪ সালে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ও আরবান আর্টস কমিশন দিল্লি শহরের জন্য একটি বহুমুখী পরিবহন ব্যবস্থার প্রস্তাব রাখলে দিল্লি মেট্রোর পরিকল্পনা প্রথম গৃহীত হয়। ১৯৯৫ সালে ভারত সরকার ও দিল্লি সরকার যৌথ উদ্যোগে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন (ডিএমআরসি) স্থাপন করে। ১৯৯৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০০২ সালে দিল্লি মেট্রোর প্রথম অংশ রেড লাইন চালু হয়। এরপর ২০০৪ সালে ইয়োলো লাইন; ২০০৫ সালে ব্লু লাইন, ২০০৯ সালে ব্লু লাইনের একটি শাখা এবং ২০১০ সালে গ্রিন লাইন চালু হয়। প্রকল্পের দ্বিতীয় ভাগে এই লাইনগুলির সম্প্রসারণ এবং নতুন লাইনের নির্মানকাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি এয়ারপোর্ট মেট্রো এক্সপ্রেস ও ভায়োলেট লাইন, যার কাজ ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা।
পাদটীকা
সম্পাদনা- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;Mundka
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ "Delhi Metro sets new record with 1.1 million passengers"। The Economic Times। ২০১০-০৪-২২। ২০১০-০৪-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-০৪।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;first
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ "By year-end, Metro to add 100 new trains"। The Times of India। ২০১০-০৫-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-০৯।
- ↑ ক খ "Delhi Metro to add extra coaches"। Business Standard। ২০১০-০১-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-০৬।
- ↑ "Delhi Metro crosses billion mark"। ২০০৯-১১-২৮। ২০১০-০২-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৫।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- Siemiatycki, Matti (২০০৬)। "Message in a Metro: Building Urban Rail Infrastructure and Image in Delhi, India" (পিডিএফ)। International Journal of Urban and Regional Research। 30 (2): 259–277। ২০০৯-০৮-২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৯-১৭। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
অতিরিক্ত পাঠ
সম্পাদনা- Trenchless Digging - Article in the Tribune (Chandigarh) by D. S. Dhillon. Dated Thursday, January 29, 2004
- A dream revisited: an archival journey into the making of the Delhi Metro Rail, Delhi Metro Rail Corporation, ২০০৩, ওসিএলসি 54073649
- A journey to remember, Delhi Metro Rail Corporation, ২০০৮, পৃষ্ঠা 94, ওসিএলসি 300027063