বাকা জিলানী
মোহাম্মদ বাকা খান জিলানী (মারাঠি: बाका जिलानी; জন্ম: ২০ জুলাই, ১৯১১ - মৃত্যু: ২ জুলাই, ১৯৪১) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ বাকা খান জিলানী | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২০ জুলাই, ১৯১১ জলন্ধর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২ জুলাই, ১৯৪১ পাঞ্জাব, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম পেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ২৬) | ১৫ আগস্ট ১৯৩৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে উত্তর ভারত ও মুসলিম দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন বাকা জিলানী।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯৩৪-৩৫ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত বাকা জিলানী’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার ও নিচেরসারির কার্যকর ব্যাটসম্যান ছিলেন বাকা জিলানী।
ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলার ও নিচেরসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের অভিষেক খেলাতেই বারো উইকেট লাভ করেছিলেন। রঞ্জী ট্রফিতে প্রথম হ্যাট্রিক করার কৃতিত্ব দেখান। ১৯৩৪-৩৫ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফির প্রথম আসরে সেমি-ফাইনালে উত্তর ভারতের সদস্যরূপে দক্ষিণ পাঞ্জাবের বিপক্ষে এ সাফল্য পান।[১] এক পর্যায়ে ২৫ বলে ৭ রান খরচায় ৫ উইকেট লাভ করেন। খেলায় দক্ষিণ পাঞ্জাব মাত্র ২২ রানে গুটিয়ে যায় ও ৭৬ বছর ধরে প্রতিযোগিতার সর্বনিম্ন রান তুলে।[২][৩]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন বাকা জিলানী। ১৫ আগস্ট, ১৯৩৬ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
১৯৩৬ সালে ভারত দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। এ সফরে তিনি তার একমাত্র টেস্টে অংশ নেন। দলে অধিনায়ক ভিজ্জি ডাকনামে পরিচিত বিজিয়ানাগ্রামের মহারাজকুমার ও সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সি. কে. নায়ডু’র মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। জিলানী প্রথম অংশে ছিলেন। বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, কেবলমাত্র বিজিয়ানাগ্রামের মহারাজকুমারের একনিষ্ঠ সমর্থকের কারণে তাকে দলে রাখা হয়েছিল।
ওভালে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরুর কিছুদিন পূর্বে জিলানী জনসমক্ষে নায়ড়ুকে প্রাতঃরাশ শেষে অপদস্থ করেন। টেস্ট অভিষেকে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। সবশেষে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ৪ ও ১২ রান তুলেন এবং বোলিংয়ে প্রশংসা কুড়োলেও পনেরো ওভার বোলিং করে শূন্য হাতে ফিরেন। এ সফর সম্পর্কে কোটা রামস্বামী জানান যে, জিলানী উচ্চ রক্তচাপ, নিদ্রাহীনতা, ঘুমের ঘোরে হাটতেন ও উগ্র আচরণ করতেন। কেউ বলতে পারতো না কখন তিনি স্বাভাবিক ও কখন অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় চলে আসবেন। এ সফরে নিয়মিতভাবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।[৪]
তিন দিনের খেলাগুলোয় অংশ নিয়ে ১৮.৫২ গড়ে রান তুলেন। তন্মধ্যে, লিচেস্টারে ১১৩ রানের উল্লেখযোগ্য ইনিংস ছিল। এ সফরে তিন দিনের খেলাগুলোয় অংশ নিয়ে ৪০.৭২ গড়ে মাত্র আট উইকেট পেয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাজলন্ধরের অতিরিক্ত সহকারী কমিশনারের দায়িত্ব পালন করতেন। নিজস্ব ত্রিশতম জন্মদিনের আটাশ দিন পূর্বে তার দেহাবসান ঘটে। এ সময় তিনি অমর সিংয়ের পর দ্বিতীয় ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে ইহলোক ত্যাগ করেন। তিনি মৃগীরোগে ভুগছিলেন। জলন্ধরের নিজ বাড়ীর বারান্দা থেকে পরে যান ও তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন।[৫]
২ জুলাই, ১৯৪১ তারিখে মাত্র ২৯ বছর বয়সে পাঞ্জাবের জলন্ধর এলাকায় বাকা জিলানী’র দেহাবসান ঘটে। মজিদ খান, জাভেদ বার্কি ও পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরিবারের সাথে বৈবাহিক যোগসূত্র রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Hat-Tricks in Ranji Trophy" । Cricket Archive। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ Cricket Archive
- ↑ "Lowest teams totals in first class cricket"। ১৯ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ C. Ramaswami, Personalities of the 1936 tour of England (My reminiscences - IV), Indian Express, 9 August 1964 (accessed 9 September 2013)
- ↑ Indian Express, 5 July 1941
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে বাকা জিলানী (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে বাকা জিলানী (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Mihir Bose, A History of Indian Cricket
- Richard Cashman, Patrons, Players and the Crowd