৪র্থ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)
৪র্থ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য প্রদত্ত ৪র্থ আয়োজন; যা ১৯৭৯ সালে দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে প্রতি বছর এটি দেয়া হচ্ছে। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একটি জাতীয় প্যানেল বিজয়ীদের নির্বাচন করে থাকে।
৪র্থ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | ||||
---|---|---|---|---|
পুরস্কার দেওয়া হয় | ১৯৭৮ সালে চলচ্চিত্রশিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের জন্য | |||
পুরস্কার প্রদান করে | বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি | |||
আয়োজক | তথ্য মন্ত্রণালয় | |||
ঘোষণা | ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯ | |||
প্রদান | ১৪ নভেম্বর, ১৯৭৯ | |||
স্থান | রাষ্ট্রপতি ভবন, ঢাকা, বাংলাদেশ | |||
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | |||
আলোকপাত | ||||
শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | গোলাপী এখন ট্রেনে | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | রাজ্জাক ও বুলবুল আহমেদ অশিক্ষিত ও বধূ বিদায় | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | কবরী সারেং বৌ | |||
সর্বাধিক পুরস্কার | গোলাপী এখন ট্রেনে (৮) | |||
|
এই বছর ১৭টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়।[১] ৩টি শাখায় কোন পুরস্কার দেয়া হয়নি।[২] আমজাদ হোসেনের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ সর্বোচ্চ ১০ টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে। আমজাদ হোসেন এই ছবির জন্য ৫ টি পুরস্কার অর্জন করেন। ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯ সালে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ১৪ নভেম্বর, ১৯৭৯ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান উপ-রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিজয়ীদের তালিকা
সম্পাদনামেধা পুরস্কার
সম্পাদনাপুরস্কারের নাম | বিজয়ী | চলচ্চিত্র |
---|---|---|
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | আমজাদ হোসেন (প্রযোজক) | গোলাপী এখন ট্রেনে |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | আমজাদ হোসেন | গোলাপী এখন ট্রেনে |
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা | আমজাদ হোসেন | গোলাপী এখন ট্রেনে |
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | রাজ্জাক বুলবুল আহমেদ |
অশিক্ষিত বধূ বিদায়[৩] |
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | কবরী | সারেং বৌ |
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা | আনোয়ার হোসেন | গোলাপী এখন ট্রেনে |
শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী | আনোয়ারা | গোলাপী এখন ট্রেনে |
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী | মাস্টার শাকিল মাস্টার সুমন |
ডুমুরের ফুল অশিক্ষিত |
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক | আলাউদ্দিন আলী | গোলাপী এখন ট্রেনে |
শ্রেষ্ঠ গীতিকার | আমজাদ হোসেন | গোলাপী এখন ট্রেনে |
শ্রেষ্ঠ গায়ক | সৈয়দ আব্দুল হাদী | গোলাপী এখন ট্রেনে (আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার) |
শ্রেষ্ঠ গায়িকা | সাবিনা ইয়াসমিন | গোলাপী এখন ট্রেনে (হায়রে কপাল মন্দ)[৪] অলংকার (আমি তো শিল্পী নই) |
কারিগরী পুরস্কার
সম্পাদনাপুরস্কারের নাম | বিজয়ী | চলচ্চিত্র |
---|---|---|
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার | আমজাদ হোসেন | গোলাপী এখন ট্রেনে |
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (সাদাকালো) | অরুণ রায় | বধূ বিদায় |
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (রঙ্গিন) | রফিকুল বারী চৌধুরী | গোলাপী এখন ট্রেনে |
শ্রেষ্ঠ চিত্র সম্পাদক | নুরুন্নবী | ডুমুরের ফুল |
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক | মহিউদ্দিন ফারুক | ডুমুরের ফুল |
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের নামের তালিকা (১৯৭৫-২০১২)"। fdc.gov.bd। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ রাশেদ শাওন। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"। বিডিনিউজ। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১২।
- ↑ "এক নজরে বুলবুল আহমেদ"। দৈনিক যায় যায় দিন। জুলাই ২৫, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৫।
- ↑ "সংগীতের অহংকার সাবিনা ইয়াসমিন"। দৈনিক আজাদী। ২৪ জানুয়ারি ২০১৪। ২০১৫-১২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৫।