হ্যারি স্মিথ

ইংরেজ ক্রিকেটার

হ্যারি স্মিথ (ইংরেজি: Harry Smith; জন্ম: ২১ মে, ১৮৯১ - মৃত্যু: ১২ নভেম্বর, ১৯৩৭) ব্রিস্টলের ফিশপন্ডস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯২৮ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

হ্যারি স্মিথ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
হ্যারি স্মিথ
জন্ম২১ মে, ১৮৯১
ফিশপন্ডস, ব্রিস্টল, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১২ নভেম্বর, ১৯৩৭
ডাউনএন্ড, ব্রিস্টল, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২৩৬)
২৩ জুন ১৯২৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪০২
রানের সংখ্যা ১৩৪১৩
ব্যাটিং গড় ৭.০০ ২২.৩৫
১০০/৫০ -/- ১০/৭৫
সর্বোচ্চ রান ১৪৯
বল করেছে - ১৮
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ৪৫৭/২৬৫
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবেও দলে কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯১২ সাল থেকে ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত হ্যারি স্মিথের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। গ্লুচেস্টারশায়ারের পেশাদার খেলোয়াড় ছিলেন। অসুস্থ হবার পূর্ব-পর্যন্ত খেলে যান। ১৯১৯ সালে সাউদাম্পটনে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় তিনি ১২০ ও অপরাজিত ১০২ রান তুলেছিলেন। ঐ খেলায় স্মরণীয় ঘটনা ঘটে। হ্যাম্পশায়ারের সর্বশেষ ব্যাটসম্যান পথক্যারি চার্লি পার্কারের বল মোকাবেলা করাকালীন বলটি প্যাডে আটকে যায়। তবে, স্মিথ তা গ্লাভসবন্দী করেন ও কট আউটে বিদেয় করেন। এ ঘটনাটি ক্রিকেটের আইনের ৩৩ বি ধারা অনুযায়ী ডেড বল ছিল।

বিশ্বস্ত উইকেট-রক্ষক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম ছিল হ্যারি স্মিথের। এছাড়াও ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে প্রভূতঃ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯২০-এর দশকে পাঁচ মৌসুমে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ১৯১২ সালে প্রথমবারের মতো গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলতে নামেন। ১৯১৪ সাল থেকে জ্যাক বোর্ডের অনুপস্থিতিতে নিয়মিত উইকেট-রক্ষকের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন। প্রায়শঃই তিনি তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামতেন। ঐ পর্যায়ে দলটি কেবলমাত্র স্বল্পসংখ্যক ব্যাটসম্যানের উপর নির্ভর করে খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতো।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন হ্যারি স্মিথ। ২৩ জুন, ১৯২৮ তারিখে লর্ডসে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

খেলায় তিনি মাত্র সাত রান ও একটি ক্যাচ গ্লাভস বন্দী করেছিলেন। তবে, পরের খেলায় হ্যারি এলিয়টকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ও জর্জ ডাকওয়ার্থকে সিরিজের তৃতীয় ও চূড়ান্ত টেস্টে উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বে রাখা হয়।

১৯৩২ সালের পুরো মৌসুমই তিনি অসুস্থ ছিলেন ও মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। এরফলে, ১৯৩৩ সালে উইজডেন কর্তৃপক্ষ অপ্রত্যাশিতভাবে স্মরণিকায় লেখে যে, স্মিথের অনুপস্থিতি। এতে লেখা হয়, নির্ভরযোগ্য উইকেট-রক্ষক ও কার্যকরী ব্যাটসম্যানের জন্যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সতীর্থ পেশাদার খেলোয়াড়গণ তাকে পিতৃসমতুল্য হিসেবে দেখতেন ও মাঠে অবস্থানকালে অধিনায়কে শক্তিমত্তা অনেকাংশেই তার উপর নির্ভরশীল ছিল। সাজঘর ও দীর্ঘ যাত্রায় এ ধারা সমানভাবে প্রবাহিত হতো।[১]

১৯৩৩ থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত কোন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় তাকে দেখা যায়নি। অপ্রত্যাশিতভাবে খেলার জগতে ফিরে আসেন ও অবসর গ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে কাউন্টি কোল্টসের কোচের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তবে, ১৯৩৫ সালে গ্লুচেস্টারশায়ার তার সমপর্যায়ের উইকেট-রক্ষক খুঁজে নিতে ব্যর্থ হয়। এ মৌসুমে ১৫টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন হ্যারি স্মিথ। অসুস্থ থাকার ফলে তার ব্যাটিংও নিচেরদিকে চলে যায়। এর দুই বছরের অল্প বেশি দিন পর তার মৃত্যু হয়।

১২ নভেম্বর, ১৯৩৭ তারিখে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে ব্রিস্টলের ডাউনএন্ড এলাকায় হ্যারি স্মিথের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  • ^ Wisden, 1933 edition, page 349.

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা