হুমায়রা হিমু
হুমায়রা হিমু (২৩ নভেম্বর ১৯৮৫ — ২ নভেম্বর ২০২৩) ছিলেন একজন বাংলাদেশী টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। আমার বন্ধু রাশেদ (২০১১) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে তার অসাধারণ অভিনয় সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া লাভ করে। তিনি অনেকগুলি টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন, যেমন: ডিবি, সোনাঘাট, চেয়ারম্যান বাড়ি, বাটিঘর, শোনেনা সে শোনেনা ইত্যাদি।[২][৩][৪][৫]
হুমায়রা হিমু | |
---|---|
জন্ম | হুমায়রা নুসরাত[১] ২৩ নভেম্বর ১৯৮৫ |
মৃত্যু | ২ নভেম্বর ২০২৩ | (বয়স ৩৭)
শিক্ষা | স্নাতক |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইডেন মহিলা কলেজ |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ২০০৫ – ২০২৩ |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাহুমায়রা হিমু ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং এ কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন। তার মামা মূর্শেদ নাটকটিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।[৬]
কর্মজীবন
সম্পাদনা২০০৫ সালে তিনি টেলিভিশন মিডিয়াতে এবং নাটকে যুক্ত হন মোঃ জামালউদ্দিনের নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনস্যাম্বলে। ২০০৬-এ হুমায়রা হিমুর প্রথম নাটক ছায়াবীথি প্রচারিত হয়। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামের একটি সিরিয়াল নাটকেও অভিনয় করেন।[৭] এরপরে তিনি ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ সহ অনেক জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করতে থাকেন। ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমার বন্ধু রাশেদ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক হয়।[১]
টিভি নাটক
সম্পাদনা- ডিবি
- সোনাঘাট
- চেয়ারম্যান বাড়ি
- বাটিঘর
- শোনেনা সে শোনেনা
- কমেডি-৪২০
- ‘চাপাবাজ
- অ্যাকশান গোয়েন্দা
- ছায়াবিবি
- এক কাপ চা
- এ কেমন প্রতিদান
- হুলো বিড়াল
- ছন্নছাড়া ৪২০
- এ্যাম্বুলেন্স ডাক্তার
- পাগলা প্রেমিক
- উপহার
- হালখাতা
- দানবীর এখন নিঃস্ব
- বাবর আলীর বিয়ে
- স্যালুট
- নয়া লাইলি মজনু
- হকার আব্দুল হাই
- গিট্টু সেলিম
- মনও চোরা গলি
- সুরের ফেরিওয়ালা
- ছায়াবিবি
- গানাদার
- লেট ম্যারেজ
- ভুতের গ্রাম
- ছায়াবীথি
- পিআই
- শোধ
- টুকরো ছবির এ্যালবাম
- চুপি চুপি
- নির্বিকার মানুষ
- স্ক্যান্ডেল
- উত্তরাধিকার
- ঝুলন্ত বাবুরা
- ভূতের বাড়ি
- বাঘা শের
- গাঁয়ের মানুষ
- গায়েন
- বাতিঘর
- জতিষ রাজ টিপু সুলতান
- পারদ ফুলের ঘ্রাণ
চলচ্চিত্র
সম্পাদনাবছর | চলচ্চিত্র | চরিত্র | পরিচালক | টীকা |
---|---|---|---|---|
২০১৪ | এক কাপ চা | রোজি | নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল | |
২০১১ | আমার বন্ধু রাশেদ | অরু আপা | মোরশেদুল ইসলাম |
মৃত্যু
সম্পাদনাহুমায়রা হিমু ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।[৮] ঢাকার উত্তরায় নিজ বাসায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়।[৯] পরে তার খালা উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরের দিন র্যাব-১ তার খালাতো বোনের স্বামী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনকে গ্রেফতার করে।[৯] হিমুর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।[১০]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যু"। প্রথম আলো। ২ নভেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ "শুরু হচ্ছে লাকি থার্টিন"। যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৭।
- ↑ "জীবিত অবস্থায় কেউ তাজিন আহমেদের খবর রাখেনি"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৭।
- ↑ "শেষ দিনগুলি কেমন ছিলো তাজিনের, লাইভে জানালেন হিমু (ভিডিও)"। সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৭।
- ↑ দৈনিক ইত্তেফাক। "হুমায়রা হিমু"। archive.ittefaq.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৭।
- ↑ "হুমায়রা হিমু"। www.prothom-alo.com। ২০১৩-০৩-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৭।
- ↑ দৈনিক জনকন্ঠ। "এবং হুমাইরা হিমু"। দৈনিক জনকন্ঠ । সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৫-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যু"। banglanews24.com। ২ নভেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ ক খ "হুমায়রা হিমু'র আত্মহত্যা নিয়ে যা জানা গেল"। নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ "হিমুর আত্মহত্যার সময় পাশেই বসা ছিলেন প্রেমিক জিয়াউদ্দিন"। দৈনিক ভোরের কাগজ। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২৩।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে হুমায়রা হিমু (ইংরেজি)
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে হুমায়রা হিমু