হরিপুর সেতু

কুষ্টিয়ার সড়ক সেতু

শেখ রাসেল সেতু বা হরিপুর ব্রিজ কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া শহরে গড়াই নদীর উপর নির্মিত একটি সড়ক সেতু।[] সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে এবং ২০১৭ সালে সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।[]

শেখ রাসেল সেতু
হরিপুর ব্রিজ
উপরের চিত্রটি সেতুর উত্তর দিক ও নিচের চিত্রটি সেতুর দক্ষিণ দিক
স্থানাঙ্ক২৩°৫৪′৫৬″ উত্তর ৮৯°০৭′৪৬″ পূর্ব / ২৩.৯১৫৬৮১৭° উত্তর ৮৯.১২৯৫৬০৫° পূর্ব / 23.9156817; 89.1295605
বহন করেযানবাহন
অতিক্রম করেগড়াই নদী
স্থানহরিপুর রোড, কুষ্টিয়া
শুরু৬ রাস্তার মোড়
সমাপ্তিহরিপুর
রক্ষণাবেক্ষকসড়ক ও জনপথ বিভাগ, কুষ্টিয়া
বৈশিষ্ট্য
উপাদানকংক্রিট, স্টিল
মোট দৈর্ঘ্য৬০৪ মিটার (০.৬০৪ কিমি)
প্রস্থ৬.১ মিটার
লেনের সংখ্যা
ইতিহাস
নির্মাণকারীমীর আখতার অ্যাসোসিয়েট
নির্মাণ শুরু২২ ডিসেম্বর ২০১৩; ১১ বছর আগে (2013-12-22)
নির্মাণ ব্যয়৭১ কোটি ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৩২ টাকা
চালু২৪ এপ্রিল ২০১৭; ৭ বছর আগে (2017-04-24)
পরিসংখ্যান
টোলনাই
অবস্থান
মানচিত্র

ইতিহাস

সম্পাদনা

হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই সেতুটি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুষ্টিয়া-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মাহাবুবউল আলম হানিফ হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মানুষের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে এ ব্রিজ নির্মাণে ওয়াদা করেছিলেন।[]

এলজিইডি, কুষ্টিয়ার তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ২২ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার অ্যাসোসিয়েট এ সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।

২০১৭ সালে ২৪ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সেতুটি উদ্বোধন করেন।[]

নামকরণ

সম্পাদনা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে।

তবে পুরো কুষ্টিয়া জেলায় সেতুটি হরিপুর ব্রিজ নামেই অধিক পরিচিত।

নির্মাণ ব্যয়

সম্পাদনা

কুষ্টিয়ার গড়াই নদীর ওপর হরিপুর ব্রিজ নির্মাণ করতে ৭১ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩২ টাকা ব্যয় হয়েছিল। ব্রিজ নির্মাণের সাথে নদী শাসনের জন্য ব্যয় করা হয়েছিল ৯ কোটি ৯২ লাখ ৪৯ হাজার ২৩৩ টাকা এবং এপ্রোস সড়ক নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছিল ৫ কোটি ২৮ লাখ ৩২ হাজার ১৪৭ টাকা।[]

 
সেতুর স্পেনের নিচ থেকে

হরিপুর ও সেতুর গুরুত্ব

সম্পাদনা

হরিপুর

সম্পাদনা

হরিপুর কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রাচীন জনপদ। হরিপুর কুষ্টিয়া জেলার মানুষের কাছে পুরাতন কুষ্টিয়া নামে পরিচিত।[] এই হরিপুরে নানান প্রাচীন নিদর্শন ও ব্রিটিশ আমলের নিদর্শন রয়েছে। হরিপুরে কুষ্টিয়ার অনেকগুলো নীলকুঠি রয়েছে।

সেতুর গুরুত্ব

সম্পাদনা

কুষ্টিয়া জেলার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের জনসংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক। গড়াই নদী কুষ্টিয়া শহর ও হরিপুর অঞ্চলকে দুইভাগে ভাগ করেছে। কুষ্টিয়া শহরের বেশিরভাগ মুদিব্যবসায়ী হরিপুর থেকে আসে। যখন সেতুটি ছিল না তখন হরিপুরের মানুষ ঘোড়ার ঘাট হয়ে নৌকা পারাপারের মাধ্যমে কুষ্টিয়া শহরে যাতায়াত করত। বর্তমানে সেতুটি অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কুষ্টিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।[][]

গ্যালারি

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. কুষ্টিয়া, অফিস (২০১৭-০৪-১৯)। "স্বপ্নের সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় হরিপুরবাসী"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪ 
  2. আমানুর আমান, কুষ্টিয়া (২০২১-০৪-১৮)। "কুষ্টিয়া-হরিপুর সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস, মেরামত হয়নি ৭ মাসেও"দি ডেইলি স্টার (বাংলা)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪ 
  3. তানভীর চৌধুরী, কুষ্টিয়া (২০২৩-১২-৩১)। "কুষ্টিয়ার হরিপুর ইউনিয়নের জন্য একটি স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়ন"মুক্ত খবর ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪ 
  4. "হাটশ হরিপুর পুরাতন কুষ্টিয়া"জাতীয় তথ্য বাতায়ন-কুষ্টিয়া জেলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪