স্নাফি ব্রাউন

ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার

সিরিল রাদারফোর্ড স্নাফি ব্রাউন (ইংরেজি: Snuffy Browne; জন্ম: ৮ অক্টোবর, ১৮৯০ - মৃত্যু: ১২ জানুয়ারি, ১৯৬৪) সেন্ট মাইকেলের রবার্টস টেনান্ট্রি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ১৯২৮ থেকে ১৯৩০ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।

স্নাফি ব্রাউন
১৯২৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে স্নাফি ব্রাউন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামসিরিল রাদারফোর্ড ব্রাউন
জন্ম(১৮৯০-১০-০৮)৮ অক্টোবর ১৮৯০
রবার্টস টেনান্ট্রি, সেন্ট মাইকেল, বার্বাডোস
মৃত্যু১২ জানুয়ারি ১৯৬৪(1964-01-12) (বয়স ৭৩)
জর্জটাউন, ডেমেরারা, গায়ানা
ডাকনামস্নাফি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কসিএ ব্রাউন (ভাই)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
২৩ জুন ১৯২৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯২১–১৯৩৮ব্রিটিশ গায়ানা
১৯০৮–১৯১১বার্বাডোস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৭৪
রানের সংখ্যা ১৭৬ ২০৭৭
ব্যাটিং গড় ২৫.১৪ ১৯.৯৭
১০০/৫০ ০/১ ৩/১০
সর্বোচ্চ রান ৭০* ১০৩
বল করেছে ৮৪০ ১৫৭৩২
উইকেট ২৭৮
বোলিং গড় ৪৮.০০ ২২.৩৯
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৭
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৭২ ৮/৫৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ৫৯/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ জানুয়ারি ২০১৭

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোসব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও নিচেরসারিতে ডানহাতে মারকুটে ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করে সবিশেষ পারদর্শিতা দেখিয়েছেন ‘স্নাফি’ ডাকনামে পরিচিত স্নাফি ব্রাউন। ১৯২৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের সর্বপ্রথম টেস্টে অন্যতম সদস্যরূপে অংশগ্রহণ করেন।

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

স্বনামধন্য বার্বাডিয়ান ক্রিকেট পরিবারের অন্যতম সদস্যরূপে এসেছেন। দ্বীপ থেকে প্রতিনিধিত্বকারী চার ভাইয়ের একজন ছিলেন তিনি। অন্যরা হলেন - আলফ্রেড, ক্লিমেন্ট ও চেস্টার ব্রাউন। তারা সকলেই হ্যারিসন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। তিনি তার সময়কালে অত্যন্ত সুপরিচিত ছিলেন ও উঁচুমানের খেলোয়াড় হিসেবে মূল্যায়িত হতেন। বড় ভাই অ্যালান টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির পূর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চমকপ্রদ ব্যাটসম্যান ছিলেন। তারা উভয়েই বেশ কয়েকবার বার্বাডোসের পক্ষে খেলেন।

লন্ডনের মিডল টেম্পলে আইন বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে বিচ্যুত ঘটে তার। প্রায় দশ বছর খেলা থেকে দূরে থাকেন। এছাড়াও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিস্তার ঘটায় আঞ্চলিক পর্যায়ের আন্তঃ-আঞ্চলিক ক্রিকেটও পুরোপুরি নির্জীব হয়ে পড়ে। বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ব্রিটিশ গায়ানায় অভিবাসিত হন। ১৯১৬ সালে বারে যোগ দেন।[২] ইংল্যান্ডে থাকাকালে সারে ক্লাব ও গ্রাউন্ডের পক্ষে খেলেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট সম্পাদনা

আঠারো বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। জানুয়ারি, ১৯০৯ সালে বার্বাডোসের সদস্যরূপে কেনসিংটন ওভালে ব্রিটিশ গায়ানার বিপক্ষে খেলেন। একমাত্র ইনিংসে ১৯ রান তুলেন। তবে বল হাতে ২/৬০ ও ১/২৪ পান। পরের দুই বছর বার্বাডোসের পক্ষে আরও ছয় খেলায় অংশ নেন। চারটি ছিল ক্যারিবীয় দলগুলোর বিপক্ষে ও বাদ-বাকী দুইটি সফরকারী এমসিসি’র বিপক্ষে। সবগুলো খেলায় ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন। ১২ ইনিংসে সর্বসাকুল্যে ৭৫ রান তুলেন। তবে, বল হাতে ১৫.১৫ গড়ে ৫২ উইকেট নেন।

১৯০৮-০৯ মৌসুম থেকে ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জীবনে চলমান ছিল তার। বার্বাডোস ও ব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

বিশ্বযুদ্ধের পর সেপ্টেম্বর, ১৯২১ সালে পুনরায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। গৃহীত নতুন দেশ ব্রিটিশ গায়ানার পক্ষে খেলেন। দলীয় অধিনায়ক হিসেবে কুইন্স পার্ক ওভালে ত্রিনিদাদের বিপক্ষে খেলেন। খেলায় তার দল ইনিংস ও ৮০ রানে পরাজিত হয়। ব্রাউন মোটামুটি ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। ও ১৯ রানসহ ৩/৪৫ পান। এরপর তার অধিনায়কত্ব কেড়ে নেয়া হয় ও কখনো জাতীয় দলের অধিনায়করূপে দেখা যায়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েকবছর ব্রিটিশ গায়ানা ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক ছিলেন ও দলের অবশ্যম্ভাবী খেলোয়াড়রূপে পরবর্তী ১৮ বছর অংশ নিয়েছিলেন। আটচল্লিশ বছর বয়সে ১৯৩৯ সালে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। ঐ খেলাটি রল্ফ গ্র্যান্টের নেতৃত্বাধীন ত্রিনিদাদের বিপক্ষে ছিল ও ১৯৩৯ সালে ইংল্যান্ড সফরের প্রস্তুতিমূলক খেলা ছিল। ঐ বছরগুলোয় ব্রাউনের ক্রীড়া নৈপুণ্য ব্রিটিশ গায়ানার অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডারদের একজনরূপে পরিচিত করে তুলে। তার তুলনায় কেবলমাত্র লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন অগ্রগামী ছিলেন।

১৯২৮ সালে সমারসেটের বিপক্ষে ৬/৬৬ পান। ক্যান্টারবারিতে কেন্টের বোলিং আক্রমণ রুখে দিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০৩* রান তুলেন। খেলা চলাকালীন মাথায় আঘাত নিয়ে এক ঘণ্টায় সংগৃহীত তার এ সেঞ্চুরিটি দুই ছক্কা ও সাতটি বাউন্ডারিতে গড়া ছিল। ডার্বিতে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা বোলিং ৮/৮১ করেন। ১৯২৮ সালের আগস্টের শুরুতে সারের বিপক্ষে সুন্দর খেলা উপহার দেন তিনি। প্রথম ইনিংসে তার বলে জর্জ ফ্রান্সিস তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন।[৩]

১৯২৮-২৯ মৌসুমে অনুষ্ঠিত আন্তঃ-উপনিবেশীয় কাপে ব্রিটিশ গায়ানার শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। বার্বাডোসের বিপক্ষে ৫৫ ও ৯৫ রান সংগ্রহের পাশাপাশি সাত উইকেট তুলে নেন। ত্রিনিদাদের সদস্যরূপে ৮৩ ও অপরাজিত ২৪* রানের পাশাপাশি ১১ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন ব্রাউন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পাদনা

১৯২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ইংল্যান্ড সফরে যায় যা ক্যারিবীয় অঞ্চলের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির পূর্বেকার সফর ছিল।[৪] ১৯২৮ সালে দলটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে টেস্টের মর্যাদা পায়।[৫]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি চার টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯২৮ সালে নুনেসের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফরে যান ও দলটির ইতিহাসের প্রথম দুই টেস্টে খেলেন। ২৩ জুন, ১৯২৮ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৭ বছর বয়সে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। তিন টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টটি লন্ডনের লর্ডসে অনুষ্ঠিত হয়। স্নাফি ব্রাউন, জর্জ চ্যালেনর, ব্যারন কনস্ট্যান্টাইন, মরিস ফার্নান্দেজ, জর্জ ফ্রান্সিস, হারম্যান গ্রিফিথ, ফ্রেডি মার্টিন, কার্ল নুনেস, ক্লিফোর্ড রোচ, উইল্টন সেন্ট হিল, জো স্মলের একযোগে অভিষেক ঘটে।[৬] তবে তার এ অভিষেক পর্বটি সুখকর হয়নি। ইংল্যান্ড ইনিংস ও ৫৮ রানের ব্যবধানে সহজ জয় পায়। খেলায় তিনি প্রথম ইনিংসে ২২ ওভার বোলিং করলেও ০/৫৩ পান। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রান তুলে জাপের বলে বোল্ড হন। দ্বিতীয় ইনিংসে নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৪ রান তুলেন যা সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। ভ্যালেন্স জাপের বলে ছক্কাও হাঁকান। এ পর্যায়ে ফ্রিম্যানের বলে বোল্ড হয়েছিলেন। এরপর নিজভূমিতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে ১৯৩০ সালে আরও দুই টেস্টে অংশ নেন।

২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার দল ২৮৯ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ক্লিফোর্ড রোচের দ্বি-শতক ও জর্জ হ্যাডলি’র জোড়া শতকের কল্যাণে। প্রথম ইনিংসে ২২ রান তুলে ভসের বলে বোল্ড ও দ্বিতীয় ইনিংসে মনোজ্ঞ ৭০ রান তুলে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে প্রথম ইনিংসে অ্যান্ডি স্যান্ডহামকে হান্টের হাতে কট আউটে পরিণত করে ১/২৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে নাইজেল হেগকে শূন্য রানে বোল্ড করে ১/৩২ পান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট খেলোয়াড়দের অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। ১৯২৪ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের আসরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে তিনি ও ভিক্টর পাসক্যাল উভয়ে ৩ উইকেট তুলে নিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমবারের মতো অলিম্পিকের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা লাভ করে। খেলায় তার দল ৩৬ রানে জয় পেয়েছিল।

ব্যক্তিগত জীবন সম্পাদনা

একসময় তিনি ব্রিটিশ গায়ানায় ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার দুই বছর পর ১৯৪১ সালে তাকে এমসিসি’র সম্মানীয় আজীবন সদস্যরূপে নির্বাচিত করা হয়। প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান হিসেবে এমসিসি’র এ সম্মাননা পান তিনি।[৭] তার ভাই সিএ ব্রাউনও ক্রিকেটার ছিলেন।[৮] ৭৩ বছর ৯৬ দিন বয়সে ১২ জানুয়ারি, ১৯৬৪ তারিখে ডেমেরারার জর্জটাউনে তার দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Player profile of Snuffy Browne" [স্নাফি ব্রাউনের খেলোয়াড়ী জীবন-বৃত্তান্ত]। ক্রিকবাজ.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. "C.R. Browne, Forgotten Cricket hero" [সি.আর. ব্রাউন, ভুলে যাওয়া ক্রিকেট নায়ক]। ল্যান্ডসঅবসিক্সপিপলস.কম (ইংরেজি ভাষায়)।  অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য);
  3. "Scorecard: Surrey v West Indians"। www.cricketarchive.com। ১ আগস্ট ১৯২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১১ 
  4. "Player profile of Snuffy Browne" [স্নাফি ব্রাউনের খেলোয়াড়ী জীবন-বৃত্তান্ত]। ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. "1928-WEST-INDIES-TEAM-the-year-West-Indies-were-granted-full-Test-status" [১৯২৮ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পূর্ণাঙ্গ টেস্ট মর্যাদা লাভ]। মসগ্রীন.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "1st test west indies in england test series" [১ম টেস্ট: ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ, ১৯২৮]। ক্রিকবাজ.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৭ 
  7. "3rd test west indies in england test series" [৩য় টেস্ট: ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজ, ১৯৩০]। ক্রিকবাজ.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৭ 
  8. "Player profile of Snuffy Browne" [স্নাফি ব্রাউনের খেলোয়াড়ী জীবন-বৃত্তান্ত]। ক্রিকেটআর্কাইভ.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৭ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা