সোনার বাংলা এক্সপ্রেস
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৮৭−৭৮৮) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন। এটি চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে।
![]() ২০১৬ সালে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস | |
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | বিরতিহীন আন্তঃনগর |
অবস্থা | সচল |
প্রথম পরিষেবা | ২৫ জুন ২০১৬ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ১টি |
শেষ | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
রেল নং | ৭৮৭−৭৮৮ |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী |
|
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | আছে |
খাদ্য সুবিধা | অন-বোর্ড |
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড রেক |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার |
|
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
পরিচালন গতি | ৮০ কিমি/ঘ (সর্বোচ্চ) |
ট্র্যাকের মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
রক্ষণাবেক্ষণ | চট্টগ্রাম |
সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বাংলাদেশের অন্যতম একটি বিরতিহীন ট্রেন। ২০১৬ সালের ২৫শে জুন ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়।[১][২] বর্তমানে বাংলাদেশে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও বনলতা এক্সপ্রেস, মোট এই তিনটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে।
সময়সূচীসম্পাদনা
(বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি হতে কার্যকর।)
ট্রেন
নং |
উৎস | প্রস্থান | গন্তব্য | প্রবেশ | সাপ্তাহিক
ছুটি |
---|---|---|---|---|---|
৭৮৭ | চট্টগ্রাম | ১৭:০০ | কমলাপুর | ২২:১০ | মঙ্গলবার |
৭৮৮ | কমলাপুর | ০৭:০০ | চট্টগ্রাম | ১২:১৫ | বুধবার |
যাত্রাবিরতিসম্পাদনা
২০২২ সাল অব্দি, ট্রেনটি যাত্রাপথে শুধু ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে বিরতি দেয়।
রোলিং স্টকসম্পাদনা
এই ট্রেনে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্লাস ৩০০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়। ট্রেনটি লাল-সবুজ রঙের ইন্দোনেশীয় এয়ার ব্রেক কোচের রেকে চলাচল করে। ট্রেনটির লোড ১৬/৩২। এই ১৬টি কোচের মধ্যে ২টি তাপানুকুল স্লিপার (৩৩ করে ৬৬ আসন), ৪টি তাপানুকুল চেয়ার (৫৫ করে ২২০ আসন), ৭টি শোভন চেয়ার (৬০ করে ৪২০ আসন), ২টি শোভন চেয়ার+খাবার গাড়ী+গার্ডব্রেক (২০ করে ৪০ আসন) এবং ১টি পাওয়ার কার রয়েছে।[৩] যাত্রীচাহিদা বৃদ্ধি পেলে (যেমন ঈদের সময়) ট্রেনটিকে ১৮/৩৬ লোডে চালানো হয়। ট্রেনটিতে পট্রনের শৌচাগার, পাখা-তোয়ালে, হাই কমোডের ব্যবস্থা আছে। সাথে ল্যাপটপ ও মোবাইল চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।[৪]
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "'সোনার বাংলা এক্সপ্রেস' ট্রেন আজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী"। ২৬ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "'উদ্বোধনের অপেক্ষায় 'সোনার বাংলা এক্সপ্রেস'"।
- ↑ "'সোনার বাংলা' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী"। bdnews24.com। ২০১৬-০৬-২৫।
- ↑ "রেলের ভুবনে এক বৈপ্লবিক ছোঁয়া সোনার বাংলা এক্সপ্রেস"। ২৩ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১৬।