সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ
এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের বিভাগীয় শহর সিলেটে অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চ শিক্ষা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান।[৩] সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে ১৯৬২ সাল থেকে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (ইন্টার্নশিপ) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম. বি. বি. এস. শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে; যাতে প্রতিবছর ২৩০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে এবং ২০১২ সাল থেকে ৫ বছর মেয়াদী বি. ডি. এস. ডেন্টাল ডিগ্রি চালু রয়েছে যেখানে প্রতিবছর প্রায় ৫২ জনের মত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।[৪] মূল কার্যক্রমের পাশাপাশি নার্সদের প্রশিক্ষণের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রাক্তন নাম | সিলেট মেডিকেল কলেজ (১৯৬২-১৯৮৬) |
---|---|
নীতিবাক্য | শিখতে এসো, সেবার তরে বেরিয়ে যাও |
ধরন | সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৬২ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী [১] |
পরিচালক | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া[২] |
উপাধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক[১] |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১৬০ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৩৫০ |
শিক্ষার্থী | ১,৫০০ |
অবস্থান | কাজলশাহ , , ২৪°৫৪′০২″ উত্তর ৯১°৫১′১২″ পূর্ব / ২৪.৯০০৫° উত্তর ৯১.৮৫৩২° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে, ২৭ একর |
ভাষা | ইংরেজি |
সংক্ষিপ্ত নাম | সিওমেক/এসওএমসি |
ওয়েবসাইট | magosmanimedical |
অবস্থান
সম্পাদনাএই কলেজটি সিলেট শহরের উত্তর-পূর্ব দিকের কাজলশাহ নামক এলাকায় অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৪৮ সালে সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় সিলেট মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর স্কুলটিকে কলেজে রূপান্তরের দাবীতে আন্দোলন হলে ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকারের আমলে এটিকে সিলেট মেডিকেল কলেজ নামে কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। ১৯৬৮-৬৯ সালে কলেজ ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ করা হয়। ১৯৭১-৭২ সাল থেকে ক্যাম্পাসটি কাজলশাহ এলাকায় অবস্থিত। স্বাধীনতা লাভের পর, ১৯৮৬ সালে তৎকালীন সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর নামানুসারে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে “সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ” রাখে, যা সংক্ষেপে সিওমেক নামেও পরিচিত।[৫]
অবকাঠামো
সম্পাদনাকলেজ এবং হাসপাতাল ২০৬,৩৫৫ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত এবং পুরাতন ও নতুন অঞ্চলে বিভক্ত। নতুন অঞ্চলে অবস্থিত কলেজটি ১৯১,৯৭৭ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে আছে। মূল ক্যাম্পাসে ছাত্র-ছাত্রী নিবাসের সাথে বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে।
ভবনসমূহ
সম্পাদনা- পুরাতন ক্যাম্পাস
- নতুন ক্যাম্পাস
- ডেন্টাল ইউনিট
- আদর্শ পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক
- নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার
- সিলেট নার্সিং কলেজ
মূল ক্যাম্পাসের অবকাঠামো
সম্পাদনা- তিন-তলা কলেজ ভবন কমপ্লেক্স
- ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট ৫ তলা এবং দীর্ঘ হাসপাতাল ভবন কমপ্লেক্স
- দ্বিতল ভবনের ডেন্টাল ইউনিট
আওতাভুক্ত অন্যান্য হাসপাতাল
সম্পাদনা- শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ জেনারেল হাসপাতাল
- আদর্শ পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক
- লেপ্রসি হাসপাতাল
- যক্ষ্মা ক্লিনিক
- সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল
- নিকটস্থ থানা হাসপাতাল কমপ্লেক্সসমূহ
শিক্ষার্থী নিবাস
সম্পাদনাছাত্রদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রীদের জন্য চারটি শিক্ষার্থী নিবাস রয়েছে।
ছাত্রদের নিবাস
সম্পাদনা- শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ ছাত্রাবাস
- আবু সিনা হোস্টেল
- কর্নেল জিয়া হোস্টেল
- হযরত শাহজালাল হোস্টেল
- শহীদ ডা. মিলন ইন্টার্ন হোস্টেল
ছাত্রীদের নিবাস
সম্পাদনা- দিলরুবা বেগম হোস্টেল
- শ্যামল কান্তি লালা হোস্টেল
- হযরত শাহ পরান হোস্টেল
- ইন্টার্ন হোস্টেল (প্রমীলা)
অনুষদ ও বিভাগ
সম্পাদনাস্নাতক
সম্পাদনাস্নাতকোত্তর
সম্পাদনাএম. ফিল
সম্পাদনাএম. ডি.
সম্পাদনাএম. এস.
সম্পাদনা- জেনারেল সার্জারি
- গাইনী এন্ড অবস
- অপথ্যালমলজি
- পেডায়েট্রিক সার্জারি
- অর্থো-সার্জারি
- ইউরোলজি
ডিপ্লোমা
সম্পাদনা- এনেস্থেসিয়া
- ফরেনসিক মেডিসিন
এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে।
বিএসএমএমইউ, বিসিপিএস এর অধীনে এই উচ্চতর কোর্সগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
সুযোগ-সুবিধা
সম্পাদনাগ্রন্থাগার
সম্পাদনাকলেজ ভবন কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় গ্রন্থাগার অবস্থিত। ১৪০ জন ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট এই গ্রন্থাগারটি প্রতি কর্মদিবসে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সচল থাকে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক গ্রন্থাগারের ব্যবস্থা রয়েছে। গ্রন্থাগারটিতে বিভিন্ন বিষয়ে পঁচিশ হাজারের বেশি বই রয়েছে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট বিষয়ে ক্ষুদে গ্রন্থাগার রয়েছে। এছাড়া সিলেট জাতীয় গ্রন্থাগার ও ঢাকায় জাতীয় মেডিকেল গ্রন্থাগার ব্যবহারের ব্যবস্থা রয়েছে।[৬]
লেকচার গ্যালারী
সম্পাদনাপ্রজেক্টর, জেরক্স প্রজেক্টর, প্রজেক্টর স্ক্রিন, এপিডায়াস্কোপ, ল্যাপটপ, সাউন্ড সিস্টেম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, ডিজিটাল মার্কার, মাইক্রোফোন বিশিষ্ট তিনটি লেকচার গ্যালারী রয়েছে।
আইটি কর্নার
সম্পাদনালাইব্রেরীর পাশেই রয়েছে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ বিশিষ্ট আইটি কর্নার।
টিউটোরিয়াল এবং সেমিনার রুম
সম্পাদনাপ্রত্যেকটি অনুষদের জন্য একটি বা দুটি করে মোট ২৬টি বিশেষায়িত কক্ষ রয়েছে।
ব্যবচ্ছেদ কক্ষ
সম্পাদনা১ টি- এনাটমির জন্য
গবেষণাগার
সম্পাদনা১৩ টি:
- এনাটমি-১
- ফিজিওলজি-২
- বায়োকেমিস্ট্রি-২
- ফার্মাকোলজি-২
- প্যাথোলজি-৪
- মাইক্রোবায়োলজি-২
জাদুঘর
সম্পাদনা- এনাটমি-১
- প্যাথোলজি-১
- কমিউনিটি মেডিসিন মিউজিয়াম-১
এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের একটি আঞ্চলিক সেল রয়েছে।
কৃতি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী
সম্পাদনা- শামসুদ্দিন আহমদ
- মেজর জেনারেল নিশাত জোবাইদা
চিত্রশালা
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "Administration, MAG Osmani Medical College"। www.magosmanimedical.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "সিলেট ও রাজশাহী মেডিকেলে নতুন পরিচালক"। সময় টিভি। ১৯ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "মেডিকেল কলেজ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - জাতীয় তথ্য বাতায়ন। ১৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ "ভর্তিচ্ছু ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা" (পিডিএফ)। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ http://m.sylhetview24.com/news/details/Sylhet/49143[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ http://magosmanimedical.com/library/
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |