শেখ আবদুল আউয়াল

বাংলাদেশী বিচারক

শেখ আবদুল আউয়াল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক।[১]

শেখ আবদুল আউয়াল
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৩ আগস্ট, ২০০৬
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা

আবদুল আউয়াল ১৯৬০ সালের ৪ জুন শেখ ইউসুফ আলী ও সালেহা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তিনি এমএ, এমএসএস ও আইন ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।[২]

কর্মজীবন সম্পাদনা

আবদুল আউয়াল ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর জেলা আদালতের আইনজীবী হন।[২]

১০৮৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি, আবদুল আউয়াল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হন।[২]

আবদুল আউয়াল ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।[২]

২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট, আবদুল আউয়াল হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন।[২]

২০০৮ সালের ২৬শে আগস্ট, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি তারিক উল হাকিম চাঁদাবাজির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে জামিন দেন।[৩] আউয়াল ও বিচারপতি একেএম ফজলুর রহমান ২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর সাইফুর রহমানকে হয়রানি না করতে সরকারকে নির্দেশনা দেন।[৪] ২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি তারিকুল হাকিম সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে জামিন দেন, যাকে বিচারক সৈয়দ জাহেদ মনসুর অবৈধ অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন।[৫]

২০১৫ সালের ৮ মার্চ, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ইসলামিক স্টেটের একজন রিক্রুট এবং হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুনের ছেলেকে জামিন দেন।[৬]

২০১০ সালের ৩ মার্চ, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মোঃ ইমান আলী বাংলাদেশের সংবিধানের পরিপন্থী উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (বিশেষ) আইন, ১৯৯৫-এর অধীনে মৃত্যুদণ্ডকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেন, কারণ এই আইনে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বিকল্প কোন শাস্তি নেই।[৭] বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট এবং এই আইনের অধীনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সুকুর আলীর দায়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দেওয়া হয়।[৭]

২০১৮ সালের ২১ জুলাই, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী একটি রায়ে জামিন আদেশ জালিয়াতির সাথে আদালতের সাতজন কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পান।[৮] আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী শহিদুল আলমকে জামিন দিয়েছিলেন।[৯][১০]

২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি, আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার মামলায় পুলিশের দুই প্রাক্তন মহাপরিদর্শক আশরাফুল হুদা এবং শাহুদুল হকের জামিনের আবেদন গ্রহণ করেন।[১১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "High Court to resume regular benches from Wednesday"Dhaka Tribune। ২০২০-০৮-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  2. "Home : Supreme Court of Bangladesh"www.supremecourt.gov.bd। ২০২২-০৭-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  3. Staff Correspondent (২০০৮-০৮-২৬)। "12 more bigwigs get HC bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  4. "Saifur asked to go to lower court"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-১০-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  5. Staff Correspondent (২০০৮-১০-১৭)। "Babar granted ad-interim bail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  6. Report, Star Online (২০১৪-১২-২৩)। "Suspected IS recruit: Shuvo free to walk out of jail"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  7. "Death penalty declared illegal"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১০-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  8. "7 employees of HC involved in forging bail order"New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  9. "Bangladeshi photojournalist Shahidul Alam granted bail by high court; lensman spent over 100 days in jail-World News, Firstpost"Firstpost (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  10. "HC finally grants bail to Shahidul Alam"HC finally grants bail to Shahidul Alam | theindependentbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫ 
  11. Staff Correspondent; bdnews24.com। "Aug 21 case: Two former IGPs sentenced to jail receive bail"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৫