২০০৪ ঢাকা গ্রেনেড হামলা

২০০৪ সালে সংগঠিত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপর বর্বর হামলা

২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা বাংলাদেশে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা, যে হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভি রহমান অন্যতম, যিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী।

২০০৪ ঢাকা গ্রেনেড হামলা
স্থানবঙ্গবন্ধু এভিনিউ, ঢাকা, বাংলাদেশ
স্থানাংক২৩°৪৩′৩৪.০১″ উত্তর ৯০°২৪′৪৩.৬৮″ পূর্ব / ২৩.৭২৬১১৩৯° উত্তর ৯০.৪১২১৩৩৩° পূর্ব / 23.7261139; 90.4121333
তারিখ২১ আগস্ট ২০০৪
১৭:২২ (বিএসটি) (ইউটিসি+০৬:০০)
লক্ষ্য৭ আগস্ট সিলেট বোমা হামলার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে[]
হামলার ধরনগ্রেনেড হামলা
ব্যবহৃত অস্ত্রগ্রেনেড
নিহত২৪
আহত৩০০+
২১ শে আগষ্ট হামলা
তারিখ২১/০৮/২০০৪
অবস্থান
ফলাফল ব্যর্থ হামলা
বিবাদমান পক্ষ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হরকাতুল জিহাদ
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
শেখ হাসিনা
মুফতি হান্নান
শক্তি
২০ ২০০
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
২০ নিহত
২১ আহত
২ নিহত
১০ আহত

২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং গোপালগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগস্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানস্থলে বিকেল পাঁচটায় পৌঁছালে, একটি ট্রাকের ওপর তৈরি মঞ্চে তিনি কুড়ি মিনিটের বক্তৃতা শেষে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মঞ্চ থেকে নিচে নেমে আসতে থাকেন। ঠিক এমন সময় শুরু হয় মঞ্চ লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন নিহত হন।

এ ঘটনায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া, চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, হরকাতুল জিহাদ প্রধান মুফতি হান্নান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে অন্য মামলায় মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড হওয়ায়, তিনজন ছাড়াই বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

ওই ঘটনায় হত্যা, হত্যা চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, ঘটনায় সহায়তাসহ বিভিন্ন অভিযোগে একটি মামলা যাতে আসামি সংখ্যা মোট ৫২ জন (ইতোমধ্যে অন্য মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এখন আসামি ৪৯ জন)। একই ঘটনায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে (সংশোধনী-২০০২) অপর একটি মামলায় আসামি সংখ্যা ৩৮জন।

ওই ঘটনায় হত্যা, হত্যা চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, ঘটনায় সহায়তাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আনা মামলায় ৫২জন আসামি হচ্ছেন-১. মুফতি আবদুল হান্নান ওরফে আবুল কালাম ওরফে আব্দুল মান্নান (অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) ২. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি ৩. শরিফ শাহেদুল আলম বিপুল (অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) ৪. মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর ৫. আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল ৬. মো. জাহাঙ্গীর আলম ৭. হাফেজ মাওলানা আবু তাহের ৮. শাহাদাত উল্লাহ ওরফে জুয়েল ৯. হোসাইন আহম্মেদ তামিম ১০. আব্দুস সালাম পিন্টু ১১. মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ ১২. আরিফ হাসান ওরফে সুমন ওরফে আবদুর রাজ্জাক ১৩. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ১৪. মো. উজ্জল ওরফে রতন ১৫. হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া ১৬. মো. লুৎফুজ্জামান বাবর ১৭. মেজর জেনারেল (অব:) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ১৮. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আব্দুর রহিম ১৯. আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর) ২০. মাওলানা শেখ আব্দুস সালাম ২১. মো. আব্দুল মাজেদ ভাট ২২. আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ২৩. মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে পীর সাহেব ২৪. মাওলানা সাব্বির আহমেদ ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির ২৫. মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, ২৬. অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি মো: আশরাফুল হুদা ২৭. অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি শহুদুল হক ২৮. অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী ২৯. রুহুল আমীন, বিশেষ পুলিশ সুপার (অব:) ৩০. আব্দুর রশিদ অবসরপ্রাপ্ত এএসপি ৩১. মুন্সী আতিকুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত এএসপি ৩২. লে.কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউক ৩৩. মাওলানা মো.তাজউদ্দিন ৩৪. মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন ৩৫. আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন ৩৬.মো. খলিল ৩৭. জাহাঙ্গীর আলম বদর ৩৮. মো.ইকবাল ৩৯. আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার ৪০. লিটন ওরফে মাওলানা লিটন ৪১. তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া ৪২. হারিছ চৌধুরী ৪৩. কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ ৪৪. হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফ ৪৫. লে.কর্নেল (অব: ) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ৪৬. মেজর জেনারেল এ,টি,এম, আমিন (এলপি আর) ৪৭. মুফতি শফিকুর রহমান ৪৮. মুফতি আব্দুল হাই ৪৯. রাতুল আহাম্মদ বাবু ওরফে রাতুল বাবু ৫০. ডিআইজি, খান সাঈদ হাসান ৫১. পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান খান ৫২. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ কমিশনার।

এদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি মো: আশরাফুল হুদা, অবসরপ্রাপ্ত আই,জি,পি শহুদুল হক, অবসরপ্রাপ্ত আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমীন, বিশেষ পুলিশ সুপার (অব:), আব্দুর রশিদ অবসরপ্রাপ্ত এএসপি, মুন্সী আতিকুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত এএসপি, লে.কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউক. লে.কর্নেল (অব:)সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, মেজর জেনারেল এ,টি,এম, আমিন (এলপি আর), ডিআইজি, খান সাঈদ হাসান ও পুলিশ সুপার ওবায়দুর রহমান খানসহ এ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২১ আগস্টের একই ঘটনায় ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে (সংশোধনী-২০০২) অভিযোগ আনা হয়নি।  

আসামিদের মধ্যে ৩৮ জন উভয় মামলায়ই আসামি। এর মধ্যে এখন হত্যা মামলায় ৪৯ জন ও বিষ্ফোরক আইনের মামলায় ৩৮ জন আসামি।[]

বিচারকার্যক্রম

সম্পাদনা

২০০৪ সালের ২১শে অগাস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত থাকার দায়ে বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি বিশেষ দ্রুত আদালত। রায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরিসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য মামলায় ফাঁসির কারণে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদ (মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ- কার্যকর) মুফতি আব্দুল হান্নান মুন্সী (ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুদ- কার্যকর), শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

১০ অক্টোবর ২০১৮ সালে বেলা ১২ টায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়।

তাদের মধ্যে ৪১ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ শে অগাস্ট শনিবার গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।

সেদিন বিকেলে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে একটি ট্রাকে তৈরি করা অস্থায়ী মঞ্চে দলের প্রধান এবং তখনকার বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা বক্তৃতা শেষ করার পরই গ্রেনেড হামলা হয়।

সেই ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন, এবং আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী।

ওই হামলার ঘটনায় দুইটি মামলা করা হয়, একটি হত্যা মামলা এবং একটি বিস্ফোরক আইনের মামলা।

মামলায় মোট আসামি ৪৯ জন, এর মধ্যে কারাগারে রয়েছেন ৩১জন, এবং তারেক রহমানসহ ১৮জন আসামি পলাতক রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন ২২৫ জন মানুষ। অন্যদিকে, আসামি পক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন ২০ জন।

মামলা দুটির বিচারকাজ এ বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালতে শেষ হয়েছে।

গ্রেনেড হামলার সময় এবং তারপরের তদন্ত নিয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় প্রশ্ন উঠেছিল তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে।

জজ মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে গ্রেনেড হামলার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল সেসময়ে।

২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ওই হামলার ঘটনায় পুনরায় তদন্ত হয়।

সেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন হরকাতুল-জিহাদ-আল-ইসলাম নেতা মুফতি আবদুল হান্নান এবং তৎকালীন বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর নাম আসে।

২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে পুনরায় তদন্ত শুরু হয়।

ঐ তদন্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপি'র অন্যতম শীর্ষ নেতা তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং পুলিশের সাবেক তিনজন মহাপরিদর্শক বা আইজিপি'র নাম আসে।

বিএনপি অবশ্য ঐ তদন্তকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক' বলে বর্ণনা করে।

তদন্তে বেরিয়ে আসে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা চালানো হয়েছিল।

হামলায় ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড এসেছিল পাকিস্তান থেকে।[]

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

সম্পাদনা
  • সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর,
  • উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু,
  • ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী,
  • এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম,
  • মাওলানা শেখ আবদুস সালাম,
  • মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট,
  • আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম
  • মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ
  • মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি
  • মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর
  • আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল
  • মো. জাহাঙ্গীর আলম
  • হাফেজ মাওলানা আবু তাহের
  • হোসাইন আহমেদ তামিম
  • মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ
  • মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ
  • মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন
  • জঙ্গিনেতা মাওলানা মো. তাজউদ্দীন
  • হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ
  • মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ আসামিকে আবার সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে বছর কারাদণ্ড ও আরও জরিমানা ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।[]

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

সম্পাদনা
  • শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল (উপস্থিত)
  • মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব (উপস্থিত)
  • মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির (উপস্থিত)
  • আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক (উপস্থিত)
  • হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া (উপস্থিত)
  • আবু বকর ওরফে হাফে সেলিম হাওলাদার (উপস্থিত)
  • মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (উপস্থিত)
  • মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন (পলাতক)
  • আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন (পলাতক)
  • মো. খলিল (পলাতক)
  • জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর (পলাতক)
  • মো. ইকবাল (পলাতক)
  • লিটন ওরফে মাওলানা লিটন (পলাতক)
  • তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া (পলাতক)
  • হারিছ চৌধুরী (পলাতক)
  • কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ (পলাতক)
  • মুফতি শফিকুর রহমান (পলাতক)
  • মুফতি আবদুল হাই (পলাতক)
  • রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু (পলাতক)।
  • দণ্ডপ্রাপ্ত এ ১৯ আসামিকে যাবজ্জীবন ছাড়াও ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩ ও ৪ ধারায় সাব্যস্ত করে আরও ২০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল[]

এরপর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে মামলার আসামীরা আপিল করেন। গত ২১ নভেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে করা আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষ হয়। একই বছর ২ ডিসেম্বর আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন।[]

আপিল ও রায়

সম্পাদনা

মুক্তিপ্রাপ্ত আসামি

সম্পাদনা

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পান।[]

১ ডিসেম্বর ২০২৪, আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।[] সেইসঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণে বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ছিল। রোববার ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণার করেন।[] গত ২১ নভেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে করা আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষ হয়। রোববার বেলা বেলা ১১টার কিছু আগে শুরু হয় রায় পড়া। এরপর পৌনে ১২টার দিকে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। খালাস দেয়া হয় সব আসামিকে। সেইসঙ্গে বিচারিক আদালতের রায় অবৈধ ছিল বলেও জানান হাইকোর্ট।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Blasts hit Bangladesh party rally"BBC 
  2. Kantho, Kaler। "এক নজরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১০ 
  3. "গ্রেনেড হামলা: বাবরের মৃত্যুদণ্ড, তারেকের যাবজ্জীবন"বিবিসি বাংলা (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-১০ 
  4. "২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সব আসামি খালাস"বাংলাদর্পণ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৪-১২-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০১ 
  5. নিউজ, সময়। "২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস"Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-০১ 
  6. "২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: তারেক, বাবরসহ সবাই খালাস"The Business Standard। ১ ডিসেম্বর ২০২৪। 
  7. "২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান-বাবরসহ সব আসামি খালাস"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১ ডিসেম্বর ২০২৪। Archived from the original on ১ ডিসেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০২৪ 
  8. "২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক-বাবরসহ সব আসামি খালাস"দৈনিক প্রথম আলো। ১ ডিসেম্বর ২০২৪।