আশরাফুল হুদা
আশরাফুল হুদা একজন প্রাক্তন বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার যিনি ২০০৪-২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[১][২]
আশরাফুল হুদা | |
---|---|
২২তম বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক | |
কাজের মেয়াদ ১৫ ডিসেম্বর ২০০৪ – ৭ এপ্রিল ২০০৫ | |
পূর্বসূরী | শাহুদুল হক |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ হাদিস উদ্দিন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
সন্তান | শামসুল হুদা রুমেল |
কর্মজীবন
সম্পাদনাআশরাফুল হুদা ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৩] তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের দায়িত্ব নেন ৮ এপ্রিল ২০০৩ সালে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক হিসাবে অবসর গ্রহণের পর।[১][৪] ৭ এপ্রিল ২০০৫ সালে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তিনি আইজিপির পদে থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[৫]
২০০৪ ঢাকা গ্রেনেড হামলা মামলা
সম্পাদনা২০০৪ ঢাকা গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ১৯ জন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার ঘটনার সময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।[৬][৭] হামলার দিন তিনি বিদেশে চলে যান। [৬] জুলাই ২০১১ সালে গ্রেনেড হামলা মামলার পরিপূরক চার্জশিটে ৩০ জনকে যুক্ত করা হয়েছিল যার মধ্যে তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিলো।[৮] তাকে একই বছরের আগস্ট ও নভেম্বরে দুবার মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তা প্রত্যাখাত হয়।[৯] ২০১২ সালের মার্চ মাসে তার বিরুদ্ধে চার্জ করা হয় এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। [৬][১০] পরের মাসে তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। [১১][১২][১৩]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাআশরাফুল হুদা বিয়ে করেছেন হামিদা খাঁতুনকে। তাঁর শাশুড়ি হলেন গুনাহার জমিদার খান্দানের অন্যতম সাহেবজাদী জুবেদা খাঁতুন।[১৪] তাঁর এক ছেলে শামসুল হুদা রোমেল। ইয়াবা মামলায় তাকে ২০১৫ সালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত কারাগারে পাঠিয়েছিল। [১৫]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "President pardons Shahudul Haque : Ashraful Huda new IGP"। The Daily Star। ২০০৪-১২-১৫। ২০১৮-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭।
- ↑ "সাবেক তিন পুলিশপ্রধানের সাজা"। Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০১।
- ↑ "Former Principal" (ইংরেজি ভাষায়)। Bangladesh Police Academy। ২০১৮-১১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭।
- ↑ "Govt yet to act on verdict against IGP : Lobbying on for the post"। The Daily Star। ২০০৪-১২-০৯। ২০১৮-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭।
- ↑ "Mohammad Abdul Quaiyum made new IGP"। bdnews24.com। ২০০৫-০৫-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭।
- ↑ ক খ গ "Tarique, Babar indicted"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৩-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২।
- ↑ "'Deliberate attempts to destroy Aug 21 attack evidence'"। Bangla Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭।
- ↑ "The accused"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৭-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২।
- ↑ "Bail petitions of 2 ex-IGPs rejected"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৮-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২।
- ↑ "Aug 21 Grenade Attack Cases: Trial completes after 14 years"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২।
- ↑ "6 former cops granted bail"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৪-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২।
- ↑ "I took charge just 3 hours before incident"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৯-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২।
- ↑ "Four accused including two ex-IGPs hear charges"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০২।
- ↑ "গুনাহার জমিদার বাড়ি দুপচাঁচিয়া, বগুড়া"। বগুড়া লাইভ। ৩০ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "Ex IGP's son sent to jail"। The Daily Observer। ২০১৫-০৩-০২। ২০১৮-১১-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৭।