শান্তিনিকেতন
এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার জন্য মানসম্পন্ন অবস্থায় আনতে পুনঃসংগঠন করা প্রয়োজন। (এপ্রিল ২০২০) |
শান্তিনিকেতন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের নিকট অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র। ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিভৃতে ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে বোলপুর শহরের উত্তর-পশ্চিমাংশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয়। ১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এরপর ১৯২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর, (১৩২৮ বঙ্গাব্দের ৮ পৌষ) রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এখানে।
রবীন্দ্রনাথ তার জীবনের দ্বিতীয়ার্ধের অধিকাংশ সময় শান্তিনিকেতন আশ্রমে অতিবাহিত করেছিলেন। তার সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্মে এই আশ্রম ও আশ্রম-সংলগ্ন প্রাকৃতিক পরিবেশের উপস্থিতি সমুজ্জ্বল। শান্তিনিকেতন চত্বরে নিজের ও অন্যান্য আশ্রমিকদের বসবাসের জন্য রবীন্দ্রনাথ অনিন্দ্য স্থাপত্যসৌকর্যমণ্ডিত একাধিক ভবন নির্মাণ করিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে আশ্রমনিবাসী বিভিন্ন শিল্পী ও ভাস্করের সৃষ্টিকর্মে সজ্জিত হয়ে এই আশ্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনস্থল হয়ে ওঠে। ১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে।

বিশ্বভারতীসম্পাদনা
দ্রষ্টব্য স্থলসম্পাদনা
শান্তিনিকেতন ভবনসম্পাদনা
শান্তিনিকেতন ভবন আশ্রমের সবচেয়ে পুরনো বাড়ি। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬৪ সালে এই বাড়িটি তৈরি করিয়েছিলেন। বাড়িটি দালান বাড়ি। প্রথমে একতলা বাড়ি ছিল। পরে দোতলা হয়। বাড়ির উপরিভাগে খোদাই করা আছে সত্যাত্ম প্রাণারামং মন আনন্দং মহর্ষির প্রিয় উপনিষদের এই উক্তিটি। তিনি নিজে বাড়ির একতলায় ধ্যানে বসতেন। তার অনুগামীরাও এখানে এসে থেকেছেন। কৈশোরে বাবার সঙ্গে হিমালয়ে যাওয়ার পথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে কিছুদিন বাস করেন। ব্রহ্মচর্য বিদ্যালয় স্থাপনের সময়ও রবীন্দ্রনাথ কিছুকাল সপরিবারে এই বাড়িতে বাস করেন। পরে আর কখনও তিনি এটিকে বসতবাড়ি হিসেবে ব্যবহার করেননি। এখন বাড়িটির সামনে রামকিঙ্কর বেইজ নির্মিত একটি বিমূর্ত ভাস্কর্য রয়েছে। শান্তিনিকেতন ভবনের অদূরে একটি টিলার আকারের মাটির ঢিবি আছে। মহর্ষি এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতেন। একসময় এই টিলার নিচে একটি পুকুরও ছিল।
উপাসনা মন্দিরসম্পাদনা
উপাসনা গৃহ বা ব্রাহ্ম মন্দির। ১৮৯২ সালে এই মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর তখন থেকেই ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে প্রতি বুধবার সকালে উপাসনা হয়। মন্দির গৃহটি রঙিন কাচ দিয়ে নান্দনিক নকশায় নির্মিত। আর তাই স্থানীয় লোকজনের কাছে এটা কাচের মন্দির নামেও পরিচিত।
ছাতিমতলাসম্পাদনা
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন রায়পুরের জমিদারবাড়িতে নিমন্ত্রন রক্ষা করতে আসছিলেন তখন এই ছাতিমতলায় কিছুক্ষণ এর জন্য বিশ্রাম করেন এবং এখানে তিনি তার “প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি” পেয়েছিলেন। তখন রায়পুরের জমিদারের কাছ থেকে ষোলো আনার বিনিময়ে ২০বিঘা জমি পাট্টা নেন। বর্তমানে ৭ই পৌষ সকাল ৭.৩০ ঘটিকায় এখানে উপাসনা হয়। কিন্তু সেকালের সেই ছাতিম গাছ দুটি মরে গেছে। তারপর ঐ জায়গায় দুটি ছাতিম গাছ রোপণ করা হয়। সেই ছাতিম তলা বর্তমানে ঘেরা আছে সেখানে সাধারনের প্রবেশ নিশেধ। দক্ষিণ দিকের গেটে “তিনি আমার প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ ও আত্মার শান্তি” এই কথাটি লেখা আছে।
তালধ্বজসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
"তালধ্বজ" শান্তিনিকেতন, বোলপুর, বীড়ভূম।
অনন্য সুন্দর গোলাকৃতির এই মাটির বাড়িটি শান্তিনিকেতন আশ্রমের সৌন্দর্যকে এক অন্য মাত্রা প্রদান করেছে। একটি তালগাছকে কেন্দ্র করে অপূর্ব পরিকল্পনায় এই বাড়িটি নির্মিত। তালগাছের পাতাগুলি 'ধ্বজা'র মত করে বাড়িটির উপরে শোভিত বলেই এর নাম "তালধ্বজ"। তেজশচন্দ্র সেন নামক এক বৃক্ষপ্রেমী এটির নির্মাতা॥
তিনপাহাড়সম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
দেহলীসম্পাদনা
'দেহলী' আম্রকুঞ্জের ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত। বর্তমানে তা কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর স্মরণে (মৃণালিনী আনন্দ পাঠশালা) নামকরণ করা হয়েছে। এটি শিশুদের পাঠশালা হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন বাড়িসম্পাদনা
দেহলীর পাশেই যে খড়ের চালের বাড়ি রয়েছে তাকেই নতুন বাড়ি বলা হয়।
শালবীথিসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
আম্রকুঞ্জসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
আম্রকুঞ্জ
মহারাজা মহতাব চাঁদ তার মালি রামদাস কে পাঠিয়ে এই বাগানের পত্তন ঘটান/রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তাকে এখানেই সংবর্ধিত করা হয়/তার বহু জন্মোত্সবও এখানেই পালিত হয়েছে/পাঠভবনের নিয়মিত ক্লাস হয় এখানে/বিশ্বভারতীর সমাবর্তনের অনুষ্ঠানও একসময় নিয়মিতভাবে এখানেই হত/এক কালে বসন্ত উত্সবও এখানেই অনুষ্ঠিত হয়/
সন্তোষালয়সম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
ঘণ্টাতলাসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
শমীন্দ্র পাঠাগারসম্পাদনা
১৯০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি, বসন্তপঞ্চমীতে কবির কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, এখানেই ঋতুরঙ্গ নামে ঋতু উৎসবের সূচনা হয় যা 1930 এর দশকে কবির উদ্যোগে বসন্ত উৎসবে পরিণত হয়। শমী ঠাকুরের স্মৃতিতেই ভবনের নাম দেয়া হয় শমীন্দ্র পাঠাগার।
গৌরপ্রাঙ্গণসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
সিংহসদনসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
পূর্ব ও পশ্চিম তোরণসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
চৈত্যসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
দিনান্তিকাসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
দ্বিজবিরামসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
কালোবাড়িসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
উত্তরায়ণ প্রাঙ্গণসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
শিল্পকীর্তিসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
নন্দলাল বসুর শিল্পকর্মসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়-অঙ্কিত ভিত্তিচিত্রসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্যসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
অন্যান্য শিল্পকর্মসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
শ্রীনিকেতনসম্পাদনা
উৎসব-অনুষ্ঠানসম্পাদনা
নববর্ষ ও রবীন্দ্র জন্মোৎসবসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
ধর্মচক্র প্রবর্তনসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
গান্ধী পুণ্যাহসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
রবীন্দ্র সপ্তাহ, বৃক্ষরোপণ ও হলকর্ষণ উৎসবসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
স্বাধীনতা দিবসসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
বর্ষামঙ্গলসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
শিল্পোৎসবসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
রাখীবন্ধনসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
শারদোৎসবসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
খ্রিষ্টোৎসবসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
মহর্ষি স্মরণসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
পৌষ উৎসবসম্পাদনা
মূল নিবন্ধ: পৌষমেলা
পৌষমেলা বা পৌষ উৎসব হল শান্তিনিকেতন-শ্রীনিকেতন অঞ্চলের প্রধান উৎসব।[১] দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষাগ্রহণ স্মরণে এই উৎসব পালিত হয়। উৎসব ও মেলা শুরু হয় প্রতি বছর ৭ পৌষ; চলে তিন দিন ধরে।[২]
বসন্তোৎসবসম্পাদনা
শান্তিনিকেতনে সুশৃঙ্খল আনন্দগান ও নাচের অনুষ্ঠান। সকালে সবাই গাইছে, ‘‘ওরে গৃহবাসী, খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল ...।’’ ধর্মের ছুঁতমার্গ, সামাজিক বিধিনিষেধ বা লোকাচারের বাড়াবাড়ি— এর কিছুই আসতে পারেনি রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে, শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসবে। এই উৎসব এখনও আন্তরিক, এখনও অমলিন আনন্দের উৎস।
১৯০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি, বসন্তপঞ্চমীতে, শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, যে ঋতু উৎসবের সূচনা হয়, তারই পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত রূপ শান্তিনিকেতনের আজকের এই বসন্ত উৎসব বা বসন্তোৎসব। সরস্বতীর পূজার দিন শুরু হলেও পরবর্তী কালে সে অনুষ্ঠান বিভিন্ন বছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও তিথিতে হয়েছে। শান্তিনিকেতনের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথের বিদেশযাত্রা বা অন্য আরও দিক মাথায় রেখে কোনও এক নির্দিষ্ট দিনে আশ্রমবাসী মিলিত হতেন বসন্তের আনন্দ অনুষ্ঠানে। [৩]
শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসবসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ স্মরণসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
বর্ষশেষসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
অন্যান্য উৎসবসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (নভেম্বর ২০১৬) |
যোগাযোগসম্পাদনা
শান্তিনিকেতন যেতে রেলপথ ও সড়কপথ একমাত্র মাধ্যম।
রেলপথেসম্পাদনা
এখানে ২টি রেলস্টেশন রয়েছে। দক্ষিণভাগে বোলপুর শান্তিনিকেতন রেলওয়ে স্টেশন ও উত্তরভাগে প্রান্তিক। দুটি স্টেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সম দূরত্বে অবস্থিত। বোলপুর তুলনামূলক ব্যস্ততম স্টেশন।
শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস প্রতিদিন হাওড়া ১২ নং প্লাটফর্ম থেকে ১০:১০ এ ছাড়ে। বোলপুর পৌঁছায় ১২:৩০ এ। ঐদিন বোলপুর থেকে দুপুর ১:১০ এ ছাড়ে। হাওড়া বিকেল ৩:৪০ এ পৌঁছায়।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বসম্পাদনা
- মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮১৭ - ১৯০৫) – ব্রাহ্ম শীর্ষনেতা ও জমিদার। ১৮৬৩ সালে শান্তিনিকেতনের গোড়াপত্তন করেন।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ – ১৯৪১) – দিকপাল বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সংগীতস্রষ্টা ও দার্শনিক। ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতন ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, কালক্রমে যা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ ধারণ করে।
- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৭১ - ১৯৫১) - প্রবাদপ্রতিম চিত্রকর ও ভাস্কর। বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ।
- ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় – ধর্মতত্ত্ববিদ, ব্রহ্মবিদ্যালয়ের স্বল্পকালীন শিক্ষক।
- জগদানন্দ রায় – বিশ্বভারতীর গণিত ও বিজ্ঞান শিক্ষক।
- বিধুশেখর শাস্ত্রী – সংস্কৃত পণ্ডিত, বিশ্বভারতীর বিশিষ্ট গবেষক।
- হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় – বঙ্গীয় শব্দকোষ গ্রন্থের প্রণেতা, শান্তিনিকেতনে বাংলা ও সংস্কৃতের শিক্ষক।
- ক্ষিতিমোহন সেন – বিশিষ্ট ভারততত্ত্ববিদ। রবীন্দ্রনাথের নির্দেশে একাধিক ভারতীয় ভাষা শিক্ষা করে বাংলা ও ভারতের লোকসাহিত্যের নানা নিদর্শন পুনরুদ্ধার করেন।
- শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু (১৮৮২ - ১৯৬৬) – বিশিষ্ট চিত্রকর ও ভাস্কর। শান্তিনিকেতনের অলংকরণে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল।
- সুরেন্দ্রনাথ কর – বিশিষ্ট চিত্রকর। শান্তিনিকেতনের অঙ্কন শিক্ষক। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের কয়েকটি বাড়ির নকশা অঙ্কন করেছিলেন।
- রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর – রবীন্দ্রনাথের জ্যৈষ্ঠ পুত্র। বিশিষ্ট স্থপতি ও কৃষিবিজ্ঞানী। রবীন্দ্র-কীর্তি সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
- প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় – বিশ্বভারতীর অধ্যাপক। রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রামাণ্য জীবনীগ্রন্থ রবীন্দ্রজীবনী–র রচয়িতা। রচনা করেছেন রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক আরও অনেক গ্রন্থও।
আরও দেখুনসম্পাদনা
পাদটীকাসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- রবীন্দ্রজীবনকথা; প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়; আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা; অগ্রহায়ণ, ১৩৮৮
- শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন:সংক্ষিপ্ত পরিচয়; অনাথনাথ দাস; আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা; ১৯৮৮
- শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন পরিচয়; কমলাপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়; প্রকাশক – সুতপা মুখোপাধ্যায়, গুরুপল্লী (দক্ষিণ), শান্তিনিকেতন; পরিবেশক – সুবর্ণরেখা, শান্তিনিকেতন, ১৪১৩ বঙ্গাব্দ