লুইস ইসলাস
লুইস আলবের্তো ইসলাস রানিয়েরি (জন্ম ২২ ডিসেম্বর ১৯৬৫, বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা) একজন আর্জেন্টিনীয় প্রাক্তন ফুটবল গোলরক্ষক। তিনি আর্জেন্টিনা জাতীয় দল, ইন্দিপেন্দেনিয়েন্ত, এস্তুদিয়ান্তেস দে লা প্লাতা এবং লিওনের হয়ে খেলেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | লুইস আলবের্তো ইসলাস রানিয়েরি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২২ ডিসেম্বর ১৯৬৫ | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম স্থান | বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮৯ মি (৬ ফু ২ ইঞ্চি) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | গোলরক্ষক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮২ | চাকারিতা জুনিয়রস | ২১ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩–১৯৮৬ | এস্তুদান্তেস | ১০৭ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৬–১৯৮৮ | ইনদেপেনদেনিয়েন্তে | ৪৮ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮–১৯৯০ | আতলেতিকো মাদ্রিদ | ০ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯–১৯৯০ | → লোয়রোনিয়েস (ধারে) | ৩৫ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০–১৯৯৪ | ইনদেপেনদেনিয়েন্তে | ১৪১ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫ | নিওয়েল'স ওল্ড বয়েজ | ১৫ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ | প্লাতেন্সে | ১০ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬–১৯৯৭ | তোলুকা | ৫৩ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৮–১৯৯৯ | হুরাকান | ১৯ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
মোট | ৫৪৭ | (০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৩ | আর্জেন্টিনা অ-২০ | ৬ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৪–১৯৯৪ | আর্জেন্টিনা | ৩০ | (০) | ||||||||||||||||||||||||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে |
খেলোয়াড়ি কর্মজীবন
সম্পাদনাক্লাব
সম্পাদনাইসলাস ১৯৮০ এর দশকের গোড়ার দিকে চাকারিতা জুনিয়র্সের গোলরক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি তার দক্ষতা এবং স্বভাবের কারণে তার ডাকনাম এল লোকো (পাগলাটে) অর্জন করেছিলেন।
১৯৮২ সালের শেষের দিকে ইসলাসকে এস্তুদিয়ান্তেসে স্থানান্তরিত করা হয়। ১৯৮৩ সালে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা বিজয়ী দলে তিনি পর্যায়ক্রমে কার্লোস বার্টেরোর সাথে ছিলেন।
১৯৮৬ সালে তিনি ইন্দিপেনদেনিয়েন্তে স্থানান্তরিত হন এবং সেখানে দুই বছর খেলেন। এরপর ১৯৮৮ সালে তিনি আতলেতিকো মাদ্রিদে যান কিন্তু একটি ম্যাচও খেলেননি এবং সিডি লগ্রোনেসের কাছে ধারে চলে যান। ১৯৯০ সালে তিনি ইন্দিপেনদেনিয়েন্তে ফিরে আসেন এবং দলকে ১৯৯৪ সালে ক্লসুরা এবং দুটি আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে সহায়তা করেন।
২০০৩ সালে ইন্দিপেনদেনিয়েন্তের হয়ে ২৪১টি ম্যাচ খেলার পর তিনি অবসর নেন।
আন্তর্জাতিক
সম্পাদনাইসলাস ১৯৮৩ সালের ফিফা বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপে রানার-আপ হওয়া আর্জেন্টিনার যুব ফুটবল দলের অংশ ছিলেন।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় বিকল্প গোলরক্ষক ছিলেন ইসলাস, যে বিশ্বকাপটি আর্জেন্টিনা জিতেছিল। তিনি এরপরও নেরি পুম্পিদোর বিকল্প খেলোয়াড় ছিলেন বলে ক্ষুব্ধ হয়ে ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের ঠিক আগে জাতীয় দল থেকে পদত্যাগ করেন। কাপ চলাকালীন দ্বিতীয় ম্যাচে পুম্পিদো আহত হন, তাই তৃতীয় গোলরক্ষক সের্হিও গোয়কোচেয়াকে এগিয়ে রাখা হয় এবং টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত করা হয়। কাপের পর নতুন কোচ আলফিও বাসিলের অধীনে ইসলাস জাতীয় দলে ফিরে আসেন। যেহেতু ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সময় গোয়কোচেয়ার কিছু ম্যাচে দুর্বলতা ছিল, তাই ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপের সময় ইসলাস আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক ছিলেন।
পরিচালনা কর্মজীবন
সম্পাদনাবলিভিয়ায় কিছু সময় কাজ করার পর ইসলাস নভেম্বর ২০০৬ থেকে মে ২০০৭ পর্যন্ত আর্জেন্টিনীয় ক্লাব আলমাগ্রোর পরিচালনা করেন। এরপর ইসলাস অরোরা পরিচালনার জন্য বলিভিয়ায় ফিরে আসেন। কিন্তু সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালে পদত্যাগ করেন।[১]
কর্মজীবন পরিসংখ্যান
সম্পাদনাআর্জেন্টিনা জাতীয় দল | ||
---|---|---|
বছর | ম্যাচ | গোল |
১৯৮৪ | ৩ | –১ |
১৯৮৫ | ২ | ০ |
১৯৮৬ | ১ | –১ |
১৯৮৭ | ৫ | –৫ |
১৯৮৮ | ৪ | –৬ |
১৯৮৯ | ৪ | ০ |
১৯৯০ | ০ | ০ |
১৯৯১ | ০ | ০ |
১৯৯২ | ৩ | ০ |
১৯৯৩ | ১ | –১ |
১৯৯৪ | ৭ | –১০ |
মোট | ৩০ | –৩০ |
সম্মাননা
সম্পাদনা- এস্তুদিয়ান্তেস
- আর্জেন্টিনীয় প্রিমিয়ার দিভিশিওনঃ ন্যাশনাল ১৯৮৩
- ইন্দেপেনদিয়েন্তে
- আর্জেন্টিনীয় প্রিমেরা ডিভিশনঃ ক্লাউসুরা ১৯৯৪
- সুপারকোপা সুদামেরিকানাঃ ১৯৯৪
- রিকোপা সুদামেরিকানাঃ ১৯৯৫
- আর্জেন্টিনা
- ফিফা বিশ্বকাপ: ১৯৮৬
- কোপা আমেরিকা: ১৯৯৩
- ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ: ১৯৯২
- কনমেবল–উয়েফা কাপ অফ চ্যাম্পিয়ন্স: ১৯৯৩
- ব্যক্তিগত
- ফিফা বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপ: ব্রোঞ্জ বল ১৯৮৩
- অলিম্পিয়া পুরস্কারঃ ১৯৯২
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Diario Olé" (স্পেনীয় ভাষায়)। ৩০ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৩।
- ↑ ন্যাশনাল-ফুটবল-টিমস.কমে "Luis Islas"। ন্যাশনাল ফুটবল টিমস। বেঞ্জামিন স্ট্রাক-জিমারমান।