লিন্ডসে উইয়ার
গর্ডন লিন্ডসে উইয়ার (ইংরেজি: Lindsay Weir; জন্ম: ২ জুন, ১৯০৮ - মৃত্যু: ৩১ অক্টোবর, ২০০৩) অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১][২][৩] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৭ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | গর্ডন লিন্ডসে উইয়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | ২ জুন ১৯০৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩১ অক্টোবর ২০০৩ (বয়স ৯৫) অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ড্যাড উইয়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ভাই: ফ্রাঙ্ক উইয়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪) | ২৪ জানুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৪ আগস্ট ১৯৩৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯২৭/২৮ - ১৯৪৬/৪৭ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ জুন ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন ‘ড্যাড উইয়ার’ ডাকনামে পরিচিত লিন্ডসে উইয়ার।
ঘরোয়া ক্রিকেট
সম্পাদনাঅকল্যান্ডে লিন্ডসে উইয়ারের জন্ম। ১৯২৭-২৮ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল তার। এ সময়ে ১০টি সেঞ্চুরিসহ ১০৭ উইকেট লাভে স্বীয় দক্ষতা প্রদর্শন করেছিলেন লিন্ডসে উইয়ার।
ডিসেম্বর, ১৯৩৫ সালে ওতাগোর বিপক্ষে ১৯১ রান তুলেন। এটিই তার সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১১টি টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন লিন্ডসে উইয়ার। ২৪ জানুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে ওয়েলিংটনে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৪ আগস্ট, ১৯৩৭ তারিখে একই দলের বিপক্ষে ওভালে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৩০ সালে এমসিসি দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের সদস্যরূপে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরবর্তীতে বাদ-বাকি তিন টেস্টে লিন্ডসে উইয়ারকে দলে রাখা হয়েছিল। ১৯৩১ সালে নিউজিল্যান্ড দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রভূতঃ সফলতা পান তিনি। ঐ সফরে ২৫.৮৭ গড়ে ১০৩৫ রান তুলেন। তন্মধ্যে, টেস্টে ২৪.০০ গড়ে ৯৬ রান তুলেছিলেন। স্ব-গৃহে প্রত্যাবর্তন করে ১৯৩২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্ট ও ১৯৩৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টে খেলেন।
১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে এমসিসির বিপক্ষে সিরিজে অংশ নেয়া থেকে তাকে বিরত রাখা হয়। তবে, ১৯৩৭ সালে ওভালের শেষ টেস্টে অংশ নেয়ার জন্যে তাকে দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ছয় বছর পূর্বের ন্যায় ১৯৩৭ সালের দলের নড়বড়ে ভিত্তির পাশাপাশি ভেজা আবহাওয়া ও অরক্ষিত পিচে তিনিও ভালো খেলা উপহার দিতে পারেননি। ফলে, শীর্ষ ব্যাটসম্যানের মর্যাদা হারান। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটি অর্ধ-শতরান ও সাতটি টেস্ট উইকেট পেয়েছিলেন।
খেলার ধরন
সম্পাদনাপরিচ্ছন্ন স্ট্রোক খেলায় পারদর্শী ছিলেন তিনি। শৈশবকালেই তিনি তিনি চুলবিহীন অবস্থায় থাকেন। দলীয় সঙ্গীদের সাথে তুলনান্তে বয়স্ক বলে মনে হতো। ফলশ্রুতিতে, ড্যাড উইয়ার ডাকনামে পরিচিত হন। মৃত্যু পূর্ব-পর্যন্ত তিনি বিশ্বের বয়োঃজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের সম্মাননা পেয়েছিলেন।
ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন তিনি। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি রাগবি ফুটবলেও পারদর্শী ছিলেন। অকল্যান্ড রাগবি ইউনিয়ন দলের পক্ষে নয়টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ফ্লাই হাফ অবস্থানে খেলেন।
অবসর
সম্পাদনাদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে অকল্যান্ডে ১২ বছর বয়সী কিশোরদের ব্রাবিন কাপ প্রতিযোগিতায় দল নির্বাচক ও কোচের দায়িত্বে ছিলেন। অকল্যান্ডভিত্তিক মাউন্ট আলবার্ট গ্রামার স্কুলে ইংরেজি বিষয় শেখানোর পাশাপাশি রাগবি ও ক্রিকেট খেলায় প্রশিক্ষণ দিতেন।
২০০১ সালে ইংরেজ ক্রিকেটার আল্ফ গোভারের দেহাবসানের পর তিনি বয়োঃজ্যেষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদার অধিকারী হন। ১৯৩৭ সালে ওভালে তার দলের বিপক্ষে তিনি খেলেছিলেন। ৩১ অক্টোবর, ২০০৩ তারিখে অকল্যান্ডে লিন্ডসে উইয়ারের দেহাবসানের ফলে ভারতীয় ক্রিকেটার এম জে গোপালন প্রবীণতম টেস্ট ক্রিকেটারের মর্যাদা পাচ্ছেন। তার ভ্রাতা ফ্রাঙ্ক উইয়ার অকল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ List of New Zealand Test Cricketers
- ↑ "New Zealand Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "New Zealand Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে লিন্ডসে উইয়ার (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে লিন্ডসে উইয়ার (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- 'Dad' Weir, world's oldest Test cricketer, dies in Auckland, ESPNcricinfo, 31 October 2003
- 'Dad' Weir becomes Test cricket's oldest survivor, ESPNcricinfo, 10 October 2001
- Obituary: Gordon Lindsay Weir, New Zealand Herald, 8 November 2003
পূর্বসূরী আল্ফ গোভার |
প্রবীণতম জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার ৭ অক্টোবর, ২০০১ - ৩১ অক্টোবর, ২০০৩ |
উত্তরসূরী এম জে গোপালন |