লালমনিরহাট সদর উপজেলা
লালমনিরহাট সদর বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
লালমনিরহাট সদর | |
---|---|
উপজেলা | |
মানচিত্রে লালমনিরহাট সদর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫২′ উত্তর ৮৯°২৯′ পূর্ব / ২৫.৮৬৭° উত্তর ৮৯.৪৮৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | লালমনিরহাট জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৫৯.৫৪ বর্গকিমি (১০০.২১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩,৩৩,১৬৬ |
• জনঘনত্ব | ১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৩০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৫০০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৫২ ৫৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
অবস্থান ও আয়তন
সম্পাদনাএই উপজেলার স্থানাঙ্ক ২৫°৫৪′৫৫″ উত্তর ৮৯°২৭′০০″ পূর্ব / ২৫.৯১৫৩° উত্তর ৮৯.৪৫০০° পূর্ব। এর উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আদিতমারী উপজেলা, দক্ষিণে রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলা ও কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলা, পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা ও রাজারহাট উপজেলা, পশ্চিমে আদিতমারী উপজেলা ও রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
সম্পাদনাএ উপজেলায় ইউনিয়ন ৯ টি ও ১ টি পৌরসভা।
- ইউনিয়নসমূহ
- মোগলহাট ইউনিয়ন
- কুলাঘাট ইউনিয়ন
- মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন
- হারাটি ইউনিয়ন
- খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন
- রাজপুর ইউনিয়ন
- গোকুন্ডা ইউনিয়ন
- পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন
- বড়বাড়ী ইউনিয়ন
- পৌরসভা
ইতিহাস
সম্পাদনালালমনিরহাট নামকরণের ইতিহাসঃ লালমনিরহাট নামকরণ নিয়ে জনশ্রুতি আছে যে, ব্রিটিশ সরকারের আমলে বর্তমান লালমনিরহাট শহরের মধ্যে দিয়ে রেলপথ বসানোর সময় উল্লিখিত অঞ্চলের রেল শ্রমিকরা বন-জঙ্গল কাটতে গিয়ে জনৈক ব্যক্তি ’লালমনি’ পেয়েছিলেন। সেই লালমনি থেকেই পর্যায়ক্রমে লালমনিরহাট নামের উৎপত্তি হয়েছে। অন্য এক সূত্র থেকে জানা যায়, বিপ্লবী কৃষক নেতা নুরুলদীনের ঘনিষ্ঠ সাথী লালমনি নামে এক ধনাঢ্য মহিলা ছিলেন। যার নামানুসারে লালমনিরহাট নামকরণ করা হয়েছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা
সম্পাদনালালমনিরহাট সদর উপজেলায় বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা আছে। সেটি হচ্ছে
- নিদারিয়া মসজিদ।[২]
- ঐতিহ্যবাহী সিন্দুরমতি মন্দির
- সুকানদিঘী
- ৬৯ হিজরির হারানো মসজিদ যেটির নাম সাহাবায়ে কেরাম জামে মসজিদ।[৩]
- তিস্তা সড়ক ও রেলসেতু
- মিলিটারি ফার্ম
ভাষা
সম্পাদনালালমনিরহাট জেলার সবাই স্থানীয় ভাষায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। স্থানীয় ভাষাটি " রংপুরিয়া " ভাষা। জেলার অনেক মানুষ " ভাঁটিয়া " ভাষায় কথা বলে। ভাঁটিয়া ভাষা, রংপুরিয়া ভাষা থেকে একটু আলাদা।
জনসংখ্যার উপাত্ত
সম্পাদনাজনসংখ্যা ৫৬৬৭২; পুরুষ ৫২.০২%, মহিলা ৪৮.৯৮%। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কি.মি. ৩২১৬ জন।
শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনাশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪৫.৫%
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সম্পাদনা- কলেজ
- লালমনিরহাট সরকারি কলেজ
- মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ
- শেখ সফিউদ্দিন কমার্স কলেজ
- লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়
- সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ
- বেগম কামরুন্নেছা ডিগ্রী কলেজ
- ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ,লালমনিরহাট
- বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল অ্র্র্যান্ড কলেজ, লালমনিরহাট।
- ফাকল পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লালমনিরহাট।
- বেসরকারি কলেজ
- তিস্তা ডিগ্রী কলেজ
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- দুড়াকুটি উচ্চ বিদ্যালয়,দুড়াকুটি।
- বিশবাড়ী এবাতননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
- লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয
- লালমনিরহাট সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- চার্চ অব গড উচ্চ বিদ্যালয়
- কাশিপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়
- রেলওয়ে চিলড্রেন পার্ক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- কবি শেখ ফজলল করিম বালিকা বিদ্যালয়
- পূর্ব সাপটানা উচ্চ বিদ্যালয়
- মাদ্রাসা
- লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা
- হযরত ফাতিমাতুজ্জোহরা (রা.) মহিলা দাখিল মাদ্রাসা
- হাড়িভাঙ্গা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা
- তিস্তা মোস্তাক আহমেদ ফাজিল মাদ্রাসা
- খেদাবাগ একরামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা
- ইটা পোটা দাখিল মাদ্রাসা
- কাশিপুর চিলাখানা দাখিল মাদ্রাসা
- কিসমত তোতগাছ দাখিল মাদ্রাসা
- বড়বাড়ি ফজলুল হক দাখিল মাদ্রাসা
- কিসমত হারতি ডিএস দাখিল মাদ্রাসা
- খোরাগাছ দাখিল মাদ্রাসা
- আশরাফপুর মাসুদিয়া দারুস সুন্নাহ আলিম মাদ্রাসা।
অর্থনীতি
সম্পাদনাএখানের বেশিরভাগ ভাগ মানুষ কৃষি নির্ভর।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
সম্পাদনা- তমিজ উদ্দিন, বীরবিক্রম (মুক্তিযুদ্ধে অবদান)
- আবুল হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি
- আসাদুল হাবিব দুলু (রাজনীতিক)
- ক্যাপ্টেন(অবঃ) আজিজুল হক, বীরপ্রতিক
- সাথিরা জাকির জেসী বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার
- প্রফেসর মোঃ হামিদুল হক সদস্য বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে লালমনিরহাট সদর উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "প্রত্নস্হলের তালিকা"। ৭ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "এশিয়ার প্রথম মসজিদ সাহাবায়ে কেরাম, যায় যায় দিন, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০"। ২৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাএই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |