লালমনিরহাট সরকারি কলেজ
লালমনিরহাট সরকারি কলেজ লালমনিরহাট জেলার একটি সরকারি মহাবিদ্যালয়। এটি শহরের কেন্দ্রস্থল তালূক খুটামারা এলাকায় অবস্থিত এবং ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়া, স্নাতক (পাস) কোর্স, ১০টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ৭টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, এখানে মোট ৮৪৭১ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে।
![]() | |
ধরন | সরকারি মহাবিদ্যালয় |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৬৪ |
অধিভুক্তি | দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ইআইআইএন | ১২২৯৮৮ |
অধ্যক্ষ | রাশেদুন নবী |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৫৬ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৩২ |
শিক্ষার্থী | ৮,৪৭১ |
স্নাতক | ৬,৫৬৭ |
স্নাতকোত্তর | ১,০৫২ |
অন্যান্য শিক্ষার্থী | ৮৫২ |
ঠিকানা | পাটগ্রাম রোড, তালুক, খুটামারা , , ৫৫০০ , |
শিক্ষাঙ্গন | জেলা সদর পৌর এলাকা, ২২.৬ একর (৯.১ হেক্টর) |
ভাষা | বাংলা |
ওয়েবসাইট | lgc |
![]() |
ইতিহাস
সম্পাদনালালমনিরহাট সরকারি কলেজ প্রথমে বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের আগে কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম লালমনিরহাট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভাড়া করা কক্ষে পরিচালিত হতো। ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি কলেজটি বর্তমান স্থানে একটি নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়। কলেজটি লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা জজ আদালত এবং বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত। ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়।[১]
বর্তমানে এই কলেজে ৩টি অনুষদের অধীনে ১৫টি বিষয়ের ওপর পাঠদান করা হয়। ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো ৫টি বিষয়ে (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ব্যবস্থাপনা, উদ্ভিদবিদ্যা ও প্রাণিবিদ্যা) অনার্স কোর্স চালু করা হয়। এরপর ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতি ও হিসাববিজ্ঞান এবং ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়।
কলেজটি প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। বর্তমানে কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এবং কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক স্তর দিনাজপুর বোর্ডের আওতাভুক্ত।[২]
উপলব্ধ কোর্স
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৬৫ সালে স্নাতক (পাশ), ২০০৬ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ২০১৪ সাল থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে শিক্ষাপ্রদান করে আসছে। বর্তমানে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (পাশ), ১০টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ৭টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে। উচ্চ মাধ্যমিকের প্রত্যেকটি বিভাগে ১৫০টি করে আসন রয়েছে।[৩]
উচ্চ মাধ্যমিক
সম্পাদনা- মানবিক
- বিজ্ঞান
- ব্যবসায় শিক্ষা
স্নাতক (পাশ)
সম্পাদনা- বিএ (পাস)
- বিএসএস (পাস)
- বিবিএস (পাস)
- বিএসসি (পাস)
- সিসি
স্নাতক (সম্মান)
সম্পাদনা- বাংলা
- ইতিহাস
- ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- দর্শন
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- অ্যাকাউন্টিং
- ব্যবস্থাপনা
- উদ্ভিদবিদ্যা
- প্রাণিবিদ্যা
মাস্টার্স ফাইনাল
সম্পাদনা- বাংলা
- ইতিহাস
- ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- দর্শন
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- অ্যাকাউন্টিং
- ব্যবস্থাপনা
ফলাফল ও র্যাংকিং
সম্পাদনা- এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৭০৯৪ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৬১৪ জন এবং ফেল করেছে ১৪৮০ জন। ৪৭৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ (এ+) অর্জন করেছে। এই সময়ে গড় পাসের হার ছিল ৭৯.১৪% এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার ছিল ৬.৬৮%।[৩]
- ২০২৪ সালের কলেজ র্যাংকিং
২০২৪ সহপাঠী কলেজ র্যাংকিং অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পর্যায়ে ৭৭১ তম, দিনাজপুর বোর্ডে ৩৩ তম, রংপুর বিভাগে ৭০ তম এবং লালমনিরহাট জেলার মধ্যে ৫ম স্থানে অবস্থান করেছে।[৩]
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Lalmonirhat"। www.lgc.edu.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২১।
- ↑ "লালমনিরহাট কলেজের ইতিহাস"। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Analysis of Public Results। "Lalmonirhat Govt. College - Sohopathi | সহপাঠী" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১২-২১।