রায়ান হ্যারিস
রায়ান জেমস হ্যারিস (ইংরেজি: Ryan James Harris; জন্ম: ১১ অক্টোবর, ১৯৭৯) নিউ সাউথ ওয়লসের সিডনিতে জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলেছেন তিনি। তাকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বাপেক্ষা প্রতিশ্রুতিশীল ফাস্ট বোলার হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রায়ান জেমস হ্যারিস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সিডনি, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ১১ অক্টোবর ১৯৭৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | রাইনো,[১] রিয়ানো[২] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮১ মিটার (৫ ফুট ১১ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪১৩) | ১৯ মার্চ ২০১০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৬৯) | ১৮ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৪৫ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১/০২–২০০৭/০৮ | দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া (জার্সি নং ২৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮/০৯– | কুইন্সল্যান্ড (জার্সি নং ৪৫) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ | সাসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯-২০১০ | ডেকান চার্জার্স (জার্সি নং ৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১– | কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব (জার্সি নং ৪৫) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: Cricinfo, ১০ জানুয়ারি ২০১৫ |
২০০৮ সালে সাসেক্স কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। জুন, ২০০৯ সালে তিনি সারে দলের সাথে স্বল্প মেয়াদে চুক্তিতে আবদ্ধ হন।[৩] ২০১০ সালে ইয়র্কশায়ারের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন।[৪]
খেলোয়াড়ী জীবন
সম্পাদনাদক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটাঙ্গনে অভিষিক্ত হন হ্যারিস। ১৮ জুন, ২০০৯ তারিখে হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে অনুষ্ঠিত খেলায় নিল ম্যাকেঞ্জি’র উইকেট নেন যাতে তার বোলিং বিশ্লেষণ ছিল ১/৫৪।[৫] এরপর প্রায় এক বছর তিনি নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেননি। ২৬ জুন, ২০১০ তারিখে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ওডিআই’য়ে অংশ নেন। পিঠের আঘাতে অসুস্থ পিটার সিডলের ঘাটতি মোকাবেলা করতেই অ্যাডিলেইড ওভালে খেলতে নামেন হ্যারিস। ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন না পড়লেও ডগ বলিঙ্গারের সাথে বোলিং উদ্বোধন করেন ও ৪৩ রানে ৫ উইকেট নেন। উইকেটের তালিকায় কামরান আকমল ও শহীদ আফ্রিদি ছিল।[৬] এ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। পাশাপাশি পরবর্তী দুই খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। পরের খেলায় তিনি ১৯ রানে ৫ উইকেট পান যা ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট শিকার।[৭] ধারাবাহিক তিনবার পাঁচ উইকেট শিকারের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন ওয়াকার ইউনুস।
অবসর
সম্পাদনামার্চ, ২০১৪ সালে হাঁটুতে অস্ত্রোপাচারের জন্য ছয়মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন।[৮] ৩১ মার্চ, ২০১৫ তারিখে অ্যাশেজ সিরিজের জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাকেসহ ১৭-সদস্যের তালিকা প্রকাশ করে।[৯] কিন্তু রায়ান হ্যারিস তার দীর্ঘদিনের হাঁটুর আঘাতের কারণে সিরিজ শুরু হবার ৩দিন পূর্বে আকস্মিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।[১০] তার পরিবর্তে নিউ সাউথ ওয়েলসের ফাস্ট-বোলার প্যাট কামিন্সকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Ronay, Barney (১৯ জুলাই ২০১৩)। "The Ashes 2013: Ryan 'Rhino' Harris gives Australia first blood"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "Cricinfo profile"। Content.cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৮-০৯।
- ↑ "Surrey sign Ryan Harris"। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৩।
- ↑ [১]
- ↑ "Ryan Harris"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "Scorecard: 3rd ODI: Australia v Pakistan at Adelaide, 26 January 2010"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "Scorecard: 4th ODI: Australia v Pakistan at Perth, 29 January 2010"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ "Australia's Ryan Harris out for six months after knee surgery"। BBC Sport। British Broadcasting Corporation। ১২ মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৪।
- ↑ "Ashes 2015: Australia announce squad to tour England"। BBC Sport। ৩১ মার্চ ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Ashes 2015: Ryan Harris out of Australia's tour with knee injury, retires from Test cricket"। ABC News। ৪ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Injury forces Ryan Harris to retire"। ESPN Cricinfo। ৪ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৫।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ক্রিকেটআর্কাইভে রায়ান হ্যারিস (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে রায়ান হ্যারিস (ইংরেজি)