রাজু আহমেদ (অভিনেতা)

বাংলদেশী চলচ্চিত্রের চরিত্রাভিনেতা, চিত্রকর, স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিক

রাজু আহমেদ (১৯৩৯ - ১১ ডিসেম্বর ১৯৭২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, চিত্রকর ও মুক্তিযোদ্ধা।[১][২] খলনায়কের ভূমিকায় তিনি বেশিরভাগ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।

রাজু আহমেদ
জন্ম১৯৩৯
মৃত্যু১১ ডিসেম্বর ১৯৭২(1972-12-11) (বয়স ৩২–৩৩)
পিতা-মাতা
  • খন্দকার লুৎফল হক (পিতা)

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

রাজু আহমেদ ১৯৩৯ সালে কুষ্টিয়া শহরের আমলাপাড়ার একটি সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রাজুর বাবা খন্দকার লুৎফল হক রাজশাহী বেতারে নিবন্ধিত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী এবং নাট্যশিল্পী ছিলেন।[১]

ছোটবেলা থেকেই রাজু আহমেদের নাটক ও অভিনয়ের প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল। রাজু আর্ট কলেজের ছাত্র ছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে অনুষ্ঠিত এক চিত্রকলা প্রদর্শনীতে রাজুর আঁকা একটি ছবি পুরস্কৃত হয়েছিল।[১]

চলচ্চিত্র সম্পাদনা

রাজু আহমেদ অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো:[১]

  • বাল্যবন্ধু
  • পদ্মা নদীর মাঝি
  • নীল আকাশের নীচে
  • মিশর কুমারী
  • ক খ গ ঘ ঙ
  • ঈশা খাঁ
  • অধিকার
  • সুখ-দুখ
  • কাঁচকাটা হীরে
  • স্মৃতিটুকু থাক
  • দুটি মন দুটি আশা
  • জীবন থেকে নেয়া - এখানে বাদীপক্ষের তুখোড় উকিলের ভূমিকায়
  • যে আগুনে পুড়ি
  • মধু মিলন
  • রং বদলায়
  • পিতা পুত্র
  • সাধারণ মেয়ে
  • দীপ নেভে নাই
  • ওরা ১১ জন
  • রংবাজ
  • মায়ার সংসার
  • আমার জন্মভূমি
  • কাঁচের স্বর্গ
  • বাঘা বাঙ্গালী
  • অশান্ত ঢেউ
  • দুই পর্ব
  • দস্যুরাণী
  • সতীনারী
  • ঝড়ের পাখি
  • চৌধুরী বাড়ী
  • প্রতিশোধ

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা সম্পাদনা

রাজু আহমেদ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত ‘জল্লাদের দরবার’ নাটকে “জল্লাদ ইয়াহিয়া খান”-এর চরিত্রে অভিনয় করেন।[১]

মৃত্যু সম্পাদনা

জল্লাদের দরবার নাটকের চলচ্চিত্রায়নের প্রস্তুতির চলাকালীন ১৯৭২ সালের ১১ ডিসেম্বর এক আততায়ীর বন্দুকের গুলিতে রাজু আহমেদের মৃত্যু হয়। রাজুর মৃত্যুর পর তার অসমাপ্ত কণ্ঠের ডাবিং দারাশিকো করেছিলেন।[১][২] রাজুর হত্যাকাণ্ডের কিছু পরে তার সহ-অভিনেত্রী শিউলী আহমেদকেও একই খুনীরা খুন করে। রাজুর অনুজ বঙ্গবন্ধুর প্রেস সচিব আমিনুল হক বাদশা লাশ নিয়ে বিচার চাইতে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। তবে পরে জিয়া শাসন আমলে খুনীদের আটক করে মাত্র ৫ বছরের সাজার পর মুক্তি দেয়া হয়। হত্যার কারণ এবং তার প্রকৃত হোতাদের কখনো সাজা বা বিচার হয়নি।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "শক্তিমান অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজু আহমেদ-এর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী - নিরাপদ নিউজ"nirapadnews.com/। ২০২১-১২-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৪ 
  2. "স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম খুন অভিনেতা রাজু আহমেদ"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০১৫-০৫-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৮-২৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা