রয় সুইটম্যান

ইংরেজ ক্রিকেটার

রয় সুইটম্যান (ইংরেজি: Roy Swetman; জন্ম: ২৫ অক্টোবর, ১৯৩৩) লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬০ সময়কালে সংক্ষিপ্তকাল ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

রয় সুইটম্যান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
রয় সুইটম্যান
জন্ম (1933-10-25) ২৫ অক্টোবর ১৯৩৩ (বয়স ৯১)
ওয়েস্টমিনস্টার, লন্ডন, ইংল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৯১)
৯ জানুয়ারি ১৯৫৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট৯ মার্চ ১৯৬০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১ ২৮৬
রানের সংখ্যা ২৫৪ ৬,৪৯৫
ব্যাটিং গড় ১৬.৯৩ ১৯.২১
১০০/৫০ –/১ ২/২২
সর্বোচ্চ রান ৬৫ ১১৫
বল করেছে ৯০
উইকেট
বোলিং গড় ৬৯.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ১/১০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৪/২ ৫৩০/৬৬
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ জুলাই ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার, নটিংহ্যামশায়ার ও সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে কার্যকরী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতি অফ ব্রেক বোলিং করতে পারতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত রয় সুইটম্যানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। রয় সুইটম্যানকে দেখতে কিছুটা বালকসুলভ। নিচেরসারিতে মাঝারিমানের কার্যকরী ব্যাটিং করতে দেখা যায়। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটি কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। তন্মধ্যে সারে দলের পক্ষেই অধিক সময় অতিবাহিত করেন। জাতীয় সেবায় অংশগ্রহণকালীন প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন।

সারের দলের পক্ষে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন। তখন থেকেই আর্থার ম্যাকইনটায়ারের সহযোগী হিসেবে খেলতেন। খেলায় সীমিত পর্যায়ে অংশগ্রহণ করলেও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে এমসিসি এ দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান গমন করেন। তবে, ঐ সময়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় একাদশের পক্ষে খেলতেন। ১৯৫৬ সালে সারের উইকেট-রক্ষক হিসেবে আর্থার ম্যাকইনটায়ারের স্থলাভিষিক্ত হন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারোটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রয় সুইটম্যান। ৯ জানুয়ারি, ১৯৫৯ তারিখে সিডনিতে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৯ মার্চ, ১৯৬০ তারিখে জর্জটাউনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

কার্যকরী ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম কুড়ান। তবে, ইংল্যান্ড দলে স্থান লাভের পর নিজের আসন পাকাপোক্ত করতে ব্যর্থ হন। দীর্ঘদিন ধরে টেস্ট ক্রিকেটে দায়িত্বপ্রাপ্ত উইকেট-রক্ষক গডফ্রে ইভান্সের পরিবর্তে খেলার সুযোগ পান।[] ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করেন। গডফ্রে ইভান্স আহত হলে তার টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১৯৫৯ সালে ভারতের বিপক্ষে খেলার পর ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে দলের প্রধান উইকেট-রক্ষক হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। দুইটি সফরে ১১ টেস্টে অংশ নেন। এ মৌসুমের শেষদিকে জিম পার্কসের কাছে স্থানচ্যুত হন। এরপর টেস্টে দল নির্বাচকমণ্ডলীর কাছ থেকে উপেক্ষিত হন ও জন মারেকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

তার সময়কালে ইংল্যান্ডে সেরা উইকেট-রক্ষকের প্রাচুর্যতা থাকায় তার সুযোগ ক্রমশঃই সীমিত হতে থাকে| ১৯৬১ সালে বিস্ময়করভাবে কাউন্টি ক্রিকেট থেকে ২৮ বছর বয়সে অবসর নেন। কিন্তু, ১৯৬৬ সালে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন।[] ১৯৭২ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের উইকেট-রক্ষক ব্যারি মেয়ারের পরিবর্তে আবির্ভূত হন। তবে, ১৯৭৪ সালে অ্যান্ডি স্টভোল্ডকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 163আইএসবিএন 1-869833-21-X 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা