দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী
দেওনাই নদী বা চাড়ালকাটা নদী বা যমুনেশ্বরী নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী।[১] নদীটি বাংলাদেশের নীলফামারী ও রংপুর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীটির দৈর্ঘ্য ১১৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫০ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৫৭।[২] যমুনেশ্বরী নদী অববাহিকার আয়তন ৭০০ বর্গকিলোমিটার। প্রাচীন বরেন্দ্রভূমির এই অঞ্চল ফসল ও ফলমূল উৎপাদনে বহুকাল বিখ্যাত। এই নদীতে কোনো সেচ প্রকল্প নেই। যমুনেশ্বরী নদীতে জোয়ার-ভাটার প্রভাব নেই এবং সাধারণত বর্ষা হলে বন্যা হয়।[৩]
দেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী | |
যমুনেশ্বরী নদী
| |
দেশসমূহ | বাংলাদেশ, ভারত |
---|---|
অঞ্চলসমূহ | রংপুর বিভাগ, জলপাইগুড়ি বিভাগ |
জেলা | নীলফামারী জেলা রংপুর জেলা |
মোহনা | করতোয়া নদী (নীলফামারী) |
দৈর্ঘ্য | ১১৬ কিলোমিটার (৭২ মাইল) |
প্রবাহ
সম্পাদনাদেওনাই-চাড়ালকাটা-যমুনেশ্বরী নদীটি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কেটকিবাড়ি ইউনিয়ন এলাকার বিলাঞ্চল হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও তারাগঞ্জ অতিক্রম করে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মিলানপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে করতোয়া (নীলফামারী) নদীতে নিপতিত হয়েছে।[২]
উৎপত্তি
সম্পাদনাঅতীতে যমুনেশ্বরী নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলা হতে উৎপত্তি হয়ে নীলফামারী জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতো। তারপর রংপুর এবং দিনাজপুর জেলা এর গতিপথে পড়েছে।[৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "আন্তঃসীমান্ত_নদী"। বাংলাপিডিয়া। ১৬ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ ক খ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ১২৬-১২৭। আইএসবিএন 984-70120-0436-4।
- ↑ ক খ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৩২৭।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |