ম্যাল ম্যাথসন
আলেকজান্ডার ম্যালকম ম্যাথসন (ইংরেজি: Mal Matheson; জন্ম: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৬ - মৃত্যু: ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮৫) ওমাহা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ থেকে ১৯৩১ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | আলেকজান্ডার ম্যালকম ম্যাথসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওমাহা, নিউজিল্যান্ড | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯০৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৫ অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৭৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৭) | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ আগস্ট ১৯৩১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ মার্চ ২০২০ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ম্যাল ম্যাথসন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯২৬-২৭ মৌসুম থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত ম্যাল ম্যাথসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। উদ্বোধনী বোলার ও নিচেরসারির কার্যকরী ব্যাটসম্যান ছিলেন ম্যাল ম্যাথসন।
আগস্টে ক্যান্টারবারিতে তিনি দম হারিয়ে ফেলেন। ১৯২৬-২৭ মৌসুম থেকে ১৯৩৯-৪০ মৌসুম পর্যন্ত অকল্যান্ড এবং ১৯৪৪-৪৫ থেকে ১৯৪৬-৪৭ মৌসুম পর্যন্ত অকল্যান্ডের পক্ষে খেলেন। ২৮.৫২ গড়ে সর্বমোট ১৯৪ উইকেট ও ২৩.৬৪ গড়ে ১,৮৪৪ রান তুলেছিলেন। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র সেঞ্চুরির সন্ধান পেয়েছেন। ১৯৩৭-৩৮ মৌসুমে অকল্যান্ডের সদস্যরূপে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১২ রান তুলেন। এটিই তার একমাত্র শতরানের ইনিংস ছিল। অকল্যান্ডের সংগৃহীত ৫৯০ রানের মধ্যে তিনি চতুর্থ অকল্যান্ডীয় হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন।[১]
১৯৪৪-৪৫ মৌসুমে নর্থ আইল্যান্ডের সদস্যরূপে ৩/১৯ লাভের পর দ্বিতীয় ইনিংসে সাউথ আইল্যান্ডের বিপক্ষে ৫/৫০ পান। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল।[২] ঐ মৌসুমের শুরুরদিকে ওয়েলিংটনের সদস্যরূপে ওতাগোর বিপক্ষে ১১.৫-৯-৪-৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছিলেন।[৩]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনাসমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন ম্যাল ম্যাথসন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ১৫ আগস্ট, ১৯৩১ তারিখে ম্যানচেস্টারে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯২৯-৩০ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল নিউজিল্যান্ড গমন করে। এ সিরিজের মাধ্যমেই নিউজিল্যান্ড দল তাদের ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট সিরিজে অংশ নেয়। অকল্যান্ডে সিরিজের চতুর্থ টেস্টের মাধ্যমে তার টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে।
অকল্যান্ডে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে অংশ নেয়ার পর ১৯৩১ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে নিউজিল্যান্ড দলে রাখা হয়। ম্যানচেস্টারে বৃষ্টিবিঘ্নিত সিরিজের তৃতীয় খেলায় তিনি তার অপর টেস্টে অংশ নেন। তবে, খেলাটি শেষদিনের বিকেলের পূর্ব-পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। ঐ দলটি ব্যাটিংয়ের দিক দিয়ে শক্তিশালী হলেও বোলিং বিভাগ তথৈবাচৈ অবস্থায় ছিল। তবে, ম্যাল ম্যাথসন ব্যতিক্রম ছিলেন। ২৩.৮১ গড়ে ৪৪ উইকেট নিয়ে এ সফরে বোলিং গড়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। অল্পের জন্যে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করতে পারেননি তিনি। সফরে নিজস্ব প্রথম খেলায় হ্যাম্পশায়ারের প্রথম চার উইকেট নিয়ে ৪/৪৯ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ফিল মিডের বিপরীতে দূর্দান্ত রুখে দিয়ে বোল্ড করেন। তবে, ভেজা ও ঠাণ্ডা গ্রীষ্মে পায়ের মাংসপেশীতে টান পড়ে এবং প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি তিনি। অংশগ্রহণকৃত দুই টেস্টে প্রতিপক্ষীয় ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে খেলেছেন।
ফাস্ট মিডিয়াম বোলার হিসেবে ফ্রাঙ্ক ওলি’র বিপরীতে সাতজনকে বাউন্ডারী সীমানায় রাখেন। স্লিপ ও উইকেট-রক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ওলি চারের ফোয়ারা ছোটান। ইংল্যান্ড সফরের শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নামতেন। তবে, গ্লাসগোয় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৭২ রান করেছিলেন।
অবসর
সম্পাদনাক্রিকেট খেলার পাশাপাশি রাগবি ইউনিয়নেও দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর রাগবি খেলোয়াড় হিসেবে তার সুনাম ছিল। ১৯৪৬ সালে অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলায় রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।[৪]
৩১ ডিসেম্বর, ১৯৮৫ তারিখে ৭৯ বছর বয়সে অকল্যান্ড এলাকায় ম্যাল ম্যাথসনের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে ম্যাল ম্যাথসন (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে ম্যাল ম্যাথসন (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)