হার্ব ম্যাকগির
হার্বার্ট মেন্ডেলসন ম্যাকগির (ইংরেজি: Herb McGirr; জন্ম: ৫ নভেম্বর, ১৮৯১ - মৃত্যু: ১৪ এপ্রিল, ১৯৬৪) ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩০ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | হার্বার্ট মেন্ডেলসন ম্যাকগির | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড | ৫ নভেম্বর ১৮৯১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৪ এপ্রিল ১৯৬৪ নেলসন, নিউজিল্যান্ড | (বয়স ৭২)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | উইলিয়াম ম্যাকগির (পিতা) লেস ম্যাকগির (ভ্রাতা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৬) | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে ওয়েলিংটন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিং করতেন হার্ব ম্যাকগির।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯১৩-১৪ মৌসুম থেকে ১৯৩২-৩৩ মৌসুম পর্যন্ত হার্ব ম্যাকগিরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ওয়েলিংটনের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার হিসেবে পরিগণিত হয়েছিলেন হার্ব ম্যাকগির। সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ২৮.৭১ গড়ে ৩,৯৯২ রান ও ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করে ২৭.০৪ গড়ে ২৩৯ উইকেট পেয়েছেন।
অল-রাউন্ডার হিসেবে হার্ব ম্যাকগির ১৯১৩-১৪ মৌসুম থেকে ১৯৩২-৩৩ মৌসুম পর্যন্ত ওয়েলিংটনের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। মাঝারিসারি কিংবা নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন। মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে আবির্ভূত হবার পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলার ছিলেন।
১৯২১-২২ মৌসুমে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। ক্যান্টারবারির বিপক্ষে ৭/৪৫ ও ৩/৪৭ লাভ করেন। এটিই খেলায় তার ব্যক্তিগত সেরা বোলিং ছিল। এছাড়াও, ওয়েলিংটনের প্রথম ইনিংসে শীর্ষ রান সংগ্রাহক ছিলেন।[১] ১৯৩০-৩১ মৌসুমে ওতাগোর বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৪১ রান তুলেন। পরের খেলায় ক্যান্টারবারির বিপক্ষে করেন ১০১ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
সম্পাদনা১৯২৭ সালে টি. সি. লরি’র নেতৃত্বাধীন নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড গমন করেন। ঐ সফরে ২১.৮৬ গড়ে ৮০৯ রান ও ২৩.৯৮ গড়ে ৯৬টি উইকেট পেয়েছিলেন। তবে, এ সফরে কোন টেস্ট খেলা ছিল না।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন হার্ব ম্যাকগির। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩০ তারিখে অকল্যান্ডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯২৯-৩০ মৌসুমে হ্যারল্ড জিলিগানের অধিনায়কত্বে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) নিউজিল্যান্ড গমন করে। এ সফরেই নিউজিল্যান্ড দল তাদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলে। তবে, হার্ব ম্যাকগির সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। উভয় খেলাই ইডেন পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তৃতীয় খেলা বৃষ্টি আক্রান্ত ছিল। ম্যাকগির ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি ও বোলিং উদ্বোধন করলেও কোন উইকেট পাননি। চতুর্থ টেস্টেও একই আবহাওয়ার কবলে পড়লেও কিছু ভালো ছিল। ম্যাকগির অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন ও স্ট্যান নিকোলসের একমাত্র উইকেট লাভ করেন।
পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে একটি টেস্ট অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেললেও সর্বনিম্ন রান সংগ্রহের রেকর্ডের সাথে নিজ নামকে জড়িয়ে রেখেছেন।[২] এছাড়াও, ৩৮ বছর ১০১ দিন বয়স নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বর্ষীয়ান টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে রয়েছেন তিনি।[৩]
অবসর
সম্পাদনাপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পরও ক্লাব ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যেতে থাকেন। পরের দিন সকালে দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ও খেলা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে বেশ কয়েকবার শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হলেও সর্বদাই বোলিং করার জন্যে তিনি অধিনায়কের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। কেননা, তিনি মনে করতেন যে, উইকেট পাবেন তিনি।[৪] দিন গরম কি-না, রান বেশ কি-না, তা তিনি ভাবতেন না। হার্ব ম্যাকগির বোলিং করতে চাইতেন।[৫] খেলোয়াড়ী জীবন শেষে নেলসন কলেজে ক্রিকেট কোচের দায়িত্ব পালন করেন।[৬]
১৪ এপ্রিল, ১৯৬৪ তারিখে নেলসনে ৭২ বছর বয়সে হার্ব ম্যাকগিরের দেহাবসান ঘটে। হার্ব ম্যাকগিরের স্মরণে উইজডেনে উল্লেখ করা হয় যে, ৬৭ বছর বয়সে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ক্লাব ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। ৭০ রান করার পর দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পরই কেবল তিনি ক্ষান্ত হন।[৭] তার পিতা উইলিয়াম ম্যাকগির ওয়েলিংটনের পক্ষে ১৮৮৩-৮৪ মৌসুম থেকে ১৮৮৯-৯০ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন।[৮] ১৪ খেলায় উদ্বোধনী বোলার হিসেবে ১১.৮০ গড়ে ৪৬ উইকেট পেয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Wellington v Canterbury, 1921-22
- ↑ Walmsley, Keith (২০০৩)। Mosts Without in Test Cricket। Reading, England: Keith Walmsley Publishing Pty Ltd। পৃষ্ঠা 457। আইএসবিএন 0947540067।.
- ↑ Wisden 2012, p. 1315.
- ↑ R.T. Brittenden, New Zealand Cricketers, A.H. & A.W. Reed, Wellington, 1961, p. 107.
- ↑ Brittenden, facing p. 116.
- ↑ Brittenden, p. 108.
- ↑ Wisden 1965, p. 969.
- ↑ William McGirr at Cricket Archive
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে হার্ব ম্যাকগির (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে হার্ব ম্যাকগির (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)