মোড়াকরি ইউনিয়ন
মোড়াকরি ইউনিয়ন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নের দক্ষিণ পাশে বয়ে যাওয়া ভলভদ্র নদী তৈরী করেছে উক্ত ইউনিয়ন, লাখাই উপজেলা, হবিগঞ্জ জেলা ও সিলেট বিভাগীয় সীমারেখা।
মোড়াকরি | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
২নং মোড়াকরি ইউনিয়ন | |
![]() বাংলাদেশে মোড়াকরি ইউনিয়নের অবস্থান | |
বাংলাদেশে মোড়াকরি ইউনিয়নের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°১৫′৯.০০০″ উত্তর ৯১°১৪′২৬.০০২″ পূর্ব / ২৪.২৫২৫০০০০° উত্তর ৯১.২৪০৫৫৬১১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
জেলা | হবিগঞ্জ জেলা |
উপজেলা | লাখাই উপজেলা ![]() |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | আবুল কাশেম মোল্লা ফয়ছল [২][৩] |
আয়তন | |
• মোট | ১৭.৭২ বর্গকিমি (৬.৮৪ বর্গমাইল) |
(২০১১ এর জরিপ অনুযায়ী) [১] | |
জনসংখ্যা (২০১১ এর জরিপ অনুযায়ী [১]) | |
• মোট | ২৪,৬৫২ [১] |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৩৬ ৬৮ ৬৭ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ট এলাকা হলেও অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় এ ইউনিয়নে হিন্দুদের সংখ্যা আনুপাতিক হারে অধিক হওয়ায় এটি হিন্দু অধ্যুষিত হিসেবে পরিচিত। এ ইউনিয়নে কয়েকটি হিন্দু মন্দির বা আখড়া আছে। এ ইউনিয়নেও মানুষের প্রধান পেশা কৃষি, মৎস্য ও ক্ষুদ্র ব্যবসা।
অবস্থান ও আয়তনসম্পাদনা
মোড়াকরি বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার দক্ষিন দিকে অবস্থিত একটি ইউনিয়ন। মোড়াকরি ইউনিয়ন লাখাই উপজেলার সবচেয়ে ছোট ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের উত্তরে বামৈ ও মুড়িয়াউক ইউনিয়ন, দক্ষিণে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার, পূর্বে মুড়িয়াউক ইউনিয়ন এবং পশ্চিমে লাখাই ইউনিয়ন। লাখাই উপজেলা সদর থেকে মোড়াকরি ইউনিয়নের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। ২০১১ সালের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ইউনিয়নটির মোট আয়তন ৪৩৭৮ একর। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৩৯১ জন। [১]
প্রশাসনিক এলাকাসম্পাদনা
৭টি গ্রাম নিয়ে ইউনিয়নটির প্রশাসনিক এলাকা গঠিত। গ্রামসমূহের নাম-মোড়াকরি, ফুলবাড়ীয়া, জিরুন্ডা, মানপুর, কাসিমপুর, সুবিদপুর, লক্ষীপুর।
জনসংখ্যার উপাত্তসম্পাদনা
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক প্রকাশিত ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী নিম্নোক্ত উপাত্ত এবং উক্ত ইউনিয়নে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ২১২৯৪ জন মুসলিম, ৩৩৩৫ জন হিন্দু ও ২৩ জন খ্রিষ্টান বসবাস করে। [১] ইউনিয়নটিতে পুরুষ ও মহিলার গড় বৈষম্য হচ্ছে ৮৮%।
এলাকা | মৌজা নং | বাড়ী | জনসংখ্যা | পুরুষ | মহিলা |
---|---|---|---|---|---|
জিরুন্ডা (অংশ) | ৪৬৯ | ৯৬৮ | ৪৯৭৯ | ২২৬১ | ২৭১৮ |
কাশিমপুর (অংশ) | ৫৩৪ | ৫৪ | ৩০৫ | ১৩২ | ১৭৩ |
মানপুর | ৬৩৯ | ৩০৫ | ১৪৮৩ | ৬৪৪ | ৮৩৯ |
মোড়াকরি (অংশ) | ৬৮২ | ২৫৭০ | ১৪৪৪৫ | ৭০৮৩ | ৭৩৬২ |
মোড়াকরি | ৬৮২০১ | ২০৬২ | ১১২৪৬ | ৫৫৫৯ | ৫৬৮৭ |
সুবিদপুর | ৬৮২০২ | ১৬৭ | ১০৭৬ | ৫২৪ | ৫৫২ |
লক্ষ্মীপুর | ৬৮২০৩ | ৩৪১ | ২১২৩ | ১০০০ | ১১২৩ |
ফুলবাড়িয়া (অংশ) | ৭৮১ | ৭০৬ | ৩৪৪০ | ১৪৩৪ | ২০০৬ |
সর্বমোট | - | ৪৬০৩ | ২৪৬৫২ | ১১৫৫৪ | ১৩০৯৮ |
শিক্ষা ব্যবস্থাসম্পাদনা
এ ইউনিয়নে ১টি উচ্চ বিদ্যা এবং ১০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কিন্ডারগার্টেন আছে। এখানে একটি আলীম মাদ্রাসা আছে।
মিডিয়া ও প্রকাশনাসম্পাদনা
দর্শনীয় স্থানসম্পাদনা
যোগাযোগ ব্যবস্থাসম্পাদনা
হবিগঞ্জ শহর থেকে একটি পাকা রাস্তা লাখাই উপজেলার উপর দিয়ে ফান্দাউক বাজারে গিয়ে পৌঁছেছে, যা মোড়াকরি ইউনিয়নের উপর দিয়ে অতিবাহিত হওয়ায় উক্ত ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত।
নদীসমূহসম্পাদনা
ইউনিয়নের পাশে মনিখাই খাল, কলকলিয়া নদী, ভলভদ্র নদী সহ বড় বড় জলমহাল অবস্থিত।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিসম্পাদনা
সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস – রাজনীতিবিদ
ঐতিহাসিক ঐতিহ্যসম্পাদনা
ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক বাজার সংলগ্ন ইউনিয়নটি মিষ্টি ও রসমলাইর জন্য বিখ্যাত। ইউনিয়নের অধিকাংশ হিন্দুরাই মৃত শিল্পী। বিভিন্ন পূজা মৌসুমে তারা ব্যস্ত থাকে প্রতিমা তৈরীতে। [৪] মোড়াকরি গ্রামে রয়েছে একটি ঐতিহ্যবাহী পালবাড়ি, যা দেখতে বহু দুর-দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা প্রতিদিনই ভ্রমনে আসেন। [৫]
আরও দেখুনসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো" (PDF)। www.bbs.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-২৭।
- ↑ "দৈনিক খোয়াই - The Daily Khowai - January 14, 2019"। জুন ৪, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০৪।
- ↑ sylhetview24.com। "ছয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে সিলেট বিভাগে চেয়ারম্যান হলেন যারা"। ২০১৯-০৬-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০৪।
- ↑ BanglaNews24.com। "প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মোড়াকরির মৃৎশিল্পীরা :: BanglaNews24.com mobile"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০৪।
- ↑ sobujshilhet.com। "নিঃসঙ্গ আজ মোড়াকরির ঐতিহ্যবাহী পালবাড়ি"। ২০১৯-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-০৪।