মেরি (যিশুর মাতা)
মেরি, মরিয়ম[২] বা মারিয়া[৩] (ইসলামী উচ্চারণ মতে, মরিয়ম) (গ্রিক: Μαρία; আরামীয়: ܡܪܝܡ; লাতিন: Maria; হিব্রু ভাষায়: מִרְיָם; কিবতি: Ⲙⲁⲣⲓⲁ; আরবি: مريم, প্রতিবর্ণীকৃত: Maryam; আনু. ১৮ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ – আনু. ৩০/৩৩ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন প্রথম শতাব্দীর নাসরতের একজন গালীলীয় ইহুদি[৪] নারী, সন্ত যোষেফের স্ত্রী এবং সুসমাচার ও কোরআন অনুসারে যীশু খ্রীষ্টের, ঈসা (আঃ)এর মাতা।[৫]
মরিয়ম
| |
---|---|
জন্ম | তারিখ অজানা ঐতিহ্যগতভাবে ৮ সেপ্টেম্বর আনু. ১৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ[১] |
মৃত্যু | তারিখ অজানা আনু. ৩০ বা ৩৩ খ্রীষ্টাব্দের পর |
দাম্পত্য সঙ্গী | যোষেফ |
সন্তান | যীশু[ক] সম্ভবত যীশুর ভাইবোনেরা ঈসা আঃ |
পিতা-মাতা | অজানা কিছু অপ্রামাণিক সুসমাচার অনুযায়ী: যিহোযাকীম ও হান্না[খ] |
সাধু মথি ও সাধু লূক লিখিত সুসমাচারে মেরি একজন কুমারীরূপে বর্ণিত হয়েছেন।[৬] খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে যে মেরি পবিত্র আত্মার অলৌকিক শক্তি দ্বারা কুমারী অবস্থাতেই সন্তানের জন্ম দেন। এই অলৌকিক জন্ম যখন ঘটে তখন মেরি সন্ত যোষেফের বাগদত্তা ছিলেন এবং বিবাহের আনুষ্ঠানিক গৃহপ্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যোষেফকে বিয়ে করে মরিয়ম বৈৎলেহমে চলে আসেন যেখানে যীশুর জন্ম হয়।[৭][৮] সাধু লূক লিখিত সুসমাচারে বলা হয়েছে স্বর্গদূত গাব্রিয়েল মেরির সম্মুখে আবির্ভূত হন এবং যীশুর মা হওয়ার জন্য তিনি দৈবভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানান। ধর্মসম্মত সুসমাচার অনুযায়ী মেরি যীশুর ক্রুশারোপণের সময় উপস্থিত ছিলেন এবং যিরূশালেমের আদি খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন। ক্যাথলিক ও অর্থডক্স ভাষ্যমতে জীবনাবসানের পর মেরির দেহ সরাসরি স্বর্গে নিয়ে যাওয়া হয় যা ‘এসাম্পশন অফ মেরি’ নামে পরিচিত।[৯][১০]
প্রথম থেকেই মেরি খ্রীষ্টানদের নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন একজন নারী[১১][১২] ও খ্রীষ্টধর্মের সর্বাধিক প্রতিভাবতী ও পবিত্রা সত্তারূপে বিবেচিতা হন। শতাব্দী ধরে বিশ্বাসীরা মেরির দিব্যরূপ সম্পর্কে দাবি করে এসেছেন। অর্থডক্স, ক্যাথলিক, ইঙ্গবাদী, লুথারবাদী প্রভৃতি যিশুর জননী মেরিকে “প্রভুর মাতা” বা “ঈশ্বরের মাতা” বলে বিশ্বাস করেন। বিভিন্ন খ্রীষ্টীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মেরিকে নিয়ে বিশ্বাস ও ভক্তিগত বিষয়ে বৈচিত্র্য বিদ্যমান। রোমান ক্যাথলিক মণ্ডলীতে মেরির বিবিধ পাঠ, ‘ঈশ্বরের মাতা’ অভিধা, পবিত্রতা ও শুচিতা, চির-কুমারীত্ব, সশরীর স্বর্গারোহণ প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করে থাকে।[১৩] বহু প্রোটেস্ট্যান্ট বাইবেলের তথ্যসূত্রে খ্রীষ্টধর্মে মেরির ভূমিকা কিছুটা কম মনে করেন। ইসলাম ধর্মেও মেরির বেশ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ রয়েছে। ইসলামের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআনে মেরিকে নিয়ে একটি বৃহৎ সূরা বিদ্যমান যার নাম সূরা মারইয়াম।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Pevehouse, James (২০১০)। Spiritual Truths (1st সংস্করণ)। Pittsburgh: Dorrance Publishing Company। পৃষ্ঠা 110। আইএসবিএন 9781434903044।
- ↑ বাইবেলীয় বানানরীতি
- ↑ বাইবেলীয় বানানরীতি
- ↑ Raymond Edward Brown; Joseph A. Fitzmyer; Karl Paul Donfried (১৯৭৮)। "consonant+with" Mary in the New Testament। NJ: Paulist Press। পৃষ্ঠা 140। আইএসবিএন 9780809121687।
consonant with Mary's Jewish background
- ↑ "Nazareth"। britannica.com। Encyclopedia Britannica।
- ↑ Matthew 1:23 uses Greek parthénos virgin, whereas only the Hebrew of Isaiah 7:14, from which the New Testament ostensibly quotes, as Almah young maiden. See article on parthénos in Bauercc/(Arndt)/Gingrich/Danker, "A Greek-English Lexicon of the New Testament and Other Early Christian Literature", Second Edition, University of Chicago Press, 1979, p. 627.
- ↑ Browning, W. R. F. A dictionary of the Bible. 2004 আইএসবিএন ০-১৯-৮৬০৮৯০-X page 246
- ↑ Ruiz, Jean-Pierre. "Between the Crèche and the Cross: Another Look at the Mother of Jesus in the New Testament." New Theology Review; Aug2010, Vol. 23 Issue 3, pp3-4
- ↑ Munificentissimus Deus: Dogma of the Assumption by Pius XII, 1950, 17
- ↑ Holweck, Frederick (১৯০৭), The Feast of the Assumption,(The Catholic Encyclopedia), 2, New York: Robert Appleton Company , access date April 18, 2015
- ↑ Burke, Raymond L.; et al. (2008). Mariology: A Guide for Priests, Deacons, Seminarians, and Consecrated Persons আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৭৯১৮-৩৫৫-৪ page 178
- ↑ Mary for evangelicals by Tim S. Perry, William J. Abraham 2006 আইএসবিএন ০-৮৩০৮-২৫৬৯-X page 142
- ↑ "Mary, the mother of Jesus." The New Dictionary of Cultural Literacy, Houghton Mifflin. Boston: Houghton Mifflin, 2002. Credo Reference. Web. September 28, 2010.
- Kugeares, Sophia Manoulian. Images Of The Annunciation Of The Virgin Mary Of The 13Th, 14Th And 15Th Century. n.p.: 1991., 1991. University of South Florida Libraries Catalog. Web. April 8, 2016.
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Brown, Raymond,E.,Donfried, Karl, P., Fitzmyer, Joseph A., & Reumann, John, (eds.),Mary in the New Testament, Fortress/Paulist Press, 1978, আইএসবিএন ০-৮০০৬-১৩৪৫-৭
- Hahn, Scott, Hail, Holy Queen: The Mother of God in the Word of God, Doubleday, 2001, আইএসবিএন ০-৩৮৫-৫০১৬৮-৪
- Pelikan, Jaroslav. Mary Through the Centuries: Her Place in the History of Culture, Yale University Press, 1998, hardcover, 240 pages ISBN
- Tumanov, Vladimir. "Mary versus Eve: Paternal Uncertainty and the Christian View of Women." Neophilologus 95 (2011) 4: 507-521.
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- Chapter Mary in the Quran
- Marilogical Society of America
- University of Dayton—The Mary Page
- গ্রন্থাগারে মেরি সম্পর্কিত বা কর্তৃক কাজ (ওয়ার্ল্ডক্যাট ক্যাটালগ) (ইংরেজি)
- Church Fathers on the Sinless Nature of Mary
- Church Fathers on the Perpetual Virginity of Mary
- Mary (Biblical perspective)
- Marialis Cultus
উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref>
ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/>
ট্যাগ পাওয়া যায়নি