কিবতীয় ভাষা
কিবতীয় বা কিবতি ভাষা বা কপটিক (বোহাইরীয়: ϯⲙⲉⲧⲣⲉⲙⲛ̀ⲭⲏⲙⲓ timetremənkʰēmi, সাহিদীয়: ⲧⲙⲛ̄ⲧⲣⲙ̄ⲛ̄ⲕⲏⲙⲉ tməntrəmənkēme) হল ১৭শ শতাব্দী পর্যন্ত মিশরে কথিত আফ্রো-এশীয় মিশরীয় ভাষার সর্বশেষ পর্যায়।[৪] খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতাব্দীতে মিশরীয় ভাষা কিবতীয় লিপিতে লেখা শুরু হয়, যা ছিল ছয়-সাতটি ডেমোটীয় চিহ্নসহ গ্রিক বর্ণমালার একটি উপযোজিত রূপ।[৫]
কিবতীয় | |
---|---|
ϯⲙⲉⲧⲣⲉⲙⲛ̀ⲭⲏⲙⲓ ~ ⲧⲙⲛ̄ⲧⲣⲙ̄ⲛ̄ⲕⲏⲙⲉ | |
দেশোদ্ভব | মিশর |
জাতি | কিবতীয় জাতি |
যুগ | গ্রীক-রোমীয় মিসর;[১][২] খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতাব্দী – ১৭শ শতাব্দী; আলেক্সান্দ্রীয় কিবতীয় সনাতনপন্থী মণ্ডলী ও কিবতীয় ক্যাথলিক মণ্ডলীর স্তোত্রভাষা হিসেবে টিকে আছে
|
আফ্রো-এশীয়
| |
পূর্বসূরী | |
কিবতীয় লিপি | |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-২ | cop |
আইএসও ৬৩৯-৩ | cop |
গ্লোটোলগ | copt1239 [৩] |
কিবতি ভাষার বেশ কয়েকটি উপভাষা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ মিশরে উদ্ভূত সাহিদীয় এবং নিম্ন মিশরের নীল বদ্বীপে উদ্ভূত বোহাইরীয় উল্লেখযোগ্য।
কিবতি ও ডেমোটীয় ব্যাকরণগতভাবে বিলম্বিত মিশরীয় ভাষার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত, যা মিশরীয় হায়ারোগ্লিফ দ্বারা লেখা হত। ২য় থেকে ১৩শ শতাব্দী পর্যন্ত কিবতি একটি সাহিত্যিক ভাষা হিসেবে বিকাশ লাভ করে এবং এর বোহাইরীয় উপভাষাটি আলেক্সান্দ্রীয় কিবতীয় সনাতনপন্থী মণ্ডলীর স্তোত্রভাষা হিসেবে এখনও ব্যবহৃত রয়েছে। আধুনিক যুগের প্রাক্কালে ভাষাটি কথ্য ভাষা হিসেবে মিশরীয় আরবি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়, তবে ১৯ শতাব্দী থেকে ভাষাটিকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চলছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ A Companion to Greco-Roman and Late Antique Egypt
- ↑ Ellis, Simon P. (১৯৯২), Graeco-Roman Egypt, আইএসবিএন 9780747801580
- ↑ হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। "Coptic"। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট।
- ↑ Coptic Encyclopedia; http://cdm15831.contentdm.oclc.org/cdm/ref/collection/cce/id/520
- ↑ Vleeming, Sven Peter (জানুয়ারি ১৯৯৮), The Two Faces of Graeco-Roman Egypt, আইএসবিএন 9789004112261