মুহাম্মদ মুসা খান

পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান

জেনারেল মুহাম্মদ মুসা খান হাজারা (Urdu:محمد موسى خان; ২০ অক্টোবর ১৯০৮ – ১২ মার্চ ১৯৯১), HPk, HQA, HI, HJ, MBE, ছিলেন চার-তারকা পদমর্যাদাপ্রাপ্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের অধীনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মুহাম্মদ মুসা খান
Muhammad Musa
জেনারেল মুসা খান (১৯০৮-১৯৯১)
Governor of Balochistan
কাজের মেয়াদ
17 December 1985 – 12 March 1991
রাষ্ট্রপতিগোলাম ইশাক খান
জিয়া উল হক
প্রধানমন্ত্রীমুহাম্মদ জিনো
বেনজীর ভুট্টো
নওয়াজ শরীফ
পূর্বসূরীগুল জগেজাই
উত্তরসূরীLieutenant General K. K. Afridi
পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর
কাজের মেয়াদ
18 September 1966 – 20 March 1969
রাষ্ট্রপতিআাইয়ুব খান
পূর্বসূরীআমির মোহাম্মদ
উত্তরসূরীYusuf Haroon
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক
কাজের মেয়াদ
27 October 1958 – 17 June 1966
পূর্বসূরীGeneral Ayub Khan
উত্তরসূরীGeneral Yahya Khan
President of the Pakistan Hockey Federation
কাজের মেয়াদ
1960–1966
পূর্বসূরীNaseer Ahmad
উত্তরসূরীAir Mrshl Nur Khan
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মমুহাম্মদ মুসা খান হাজারা
(১৯০৮-১০-২০)২০ অক্টোবর ১৯০৮
কোয়েটা, বেলুচিস্তান, ব্রিটিশ ভারতa
মৃত্যু১২ মার্চ ১৯৯১(1991-03-12) (বয়স ৮২)
কোয়েটা, বেলুচিস্তান প্রদেশ, পাকিস্তান
সমাধিস্থলমাশহাদ, রাজিবি খোরসান, ইরান
নাগরিকত্বব্রিটিশ বিষয় (১৯০৮–১৯৪৭)
পাকিস্তান (১৯৪৭–১৯৯১)
জাতীয়তাPakistani
রাজনৈতিক দলIndependent
Pakistan Muslim League (1985–91)
পিতাYazdan Khan
আত্মীয়স্বজনYazdan Khan
প্রাক্তন শিক্ষার্থীভারতীয় সামরিক একাডেমী
কমান্ড ও স্টাফ কলেজ
ইম্পেরিয়াল ডিফেন্স কলেজ
পেশারাজনীতিবিদ
বেসামরিক পুরস্কার Hilal-i-Quaid-e-Azam
Hilal-e-Pakistan
সামরিক পরিষেবা
শাখা ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনী (1935–1947)
 পাকিস্তান সেনাবাহিনী (1947–1976)
কাজের মেয়াদ1926–1966
পদ General
ইউনিট4th Hazara Pioneers, FF Regiment
কমান্ডChief of Staff, Army GHQ
14th Infantry Division
8th Infantry Division
যুদ্ধWorld War II Indo-Pakistan War of 1947
Indo-Pakistan War of 1965
সামরিক পুরস্কারHilal-e-Imtiaz
Hilal-i-Jurat
Order of the British Empire

ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভের পরে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে যুক্তরাজ্যে কাজ করেন এবং ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে যাওয়ার পরে তিনি পাকিস্তানকে বেছে নেন। ১৯৪৭ সালে তিনি ভারতের কাশ্মীরের সাথে যুদ্ধে যুদ্ধরত ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন প্রণয়নের পর চূড়ান্তভাবে কমান্ডার পদে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ভারতের সাথে দ্বিতীয় যুদ্ধের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে বিচক্ষনতার সাথে পরিচালনার সুবাদে তিনি সবার নজর কাড়েন এবং খ্যাতি অর্জন করেন।

মুসা খান যুদ্ধের পর অবসর গ্রহণ করেন এবং জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি ১৯৬৬ সালে থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি বেলুচিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১৯৯১ সালের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার দায়িত্ব পালন নিয়োজিত ছিলেন।

প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা

মুহম্মদ মুসা খান ১৯০৮ সালের ২০ অক্টোবর তারিখে ব্রিটিশ ভারতের বেলুচিস্তানের কোয়েটায় একটি উপজাতীয় হাজারা পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি ছিলেন ফার্সি ভাষী হাজারা ব্যক্তিত্ব।[২][৩] তার পরিবারের সদস্যরা হাজারা গোষ্ঠীর সরদার বা প্রধান ছিলেন এবং স্থানীয় আদিবাসী প্রধান সরদার ইয়াজদানের খান এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন সম্পাদনা

১৯৬৬ সালে অবসর গ্রহণের সময় জেনারেল মুসা খানের খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় সামরিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত লাভ করেন, যার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান তাকে পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিয়োগদান করেন।:৫০–৫১[৪] নিয়োগের সংবাদটি উৎসাহের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানি জনগণের উদ্যোগে তাদের সমন্বয়ে করা হয়।:৫০[৪] ১৯৬৯ সালের ২ মার্চ তারিখে পদত্যাগপত্র দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন, যেখানে জেনারেল ইয়াহিয়া খান রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সামরিক আইন জারি করেন।:১৩৬[৫]

১৯৬৯-৮৪ সাল পর্যন্ত তিনি সামরিক ভাতাদি পাওয়ার সময় থেকে করাচিতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।[১] ১৯৮৫ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী এম.একে. জানেজা এর নেতৃত্বে পাকিস্তান মুসলিম লিগ এর অধিনে জাতীয় রাজনীতিতে কার্যক্রম শুরু করেন।[১] ১৯৮৫ সালের সাধারণ নির্বাচনের পরবর্তীত সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউল-হক কর্তৃক বেলুচিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত হন। ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের পরে গভর্নর মুসা খান বিতর্কিতভাবে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জাফরুল্লাহ খান জামালী এর পরামর্শে প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙ্গে দিয়েছিলেন।:xxxiv[৬]

যাইহোক পরবর্তীতে, বেলুচিস্তান হাইকোর্ট গভর্নরের পদক্ষেপকে নিন্দা জানিয়ে প্রাদেশিক পরিষদকে পুনর্বহাল করেন।:xxxiv[৬] রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে উক্ত মজলিসকে বিভক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল বলে ব্যাখ্যা করা হয়।:xxxiv[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Staff writer। "Dignitaries buried in the Holy Shrine of Imam Reza (A.S.)"www.imamreza.net। Imam Reza (A.S.) Network। ১০ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৬ 
  2. Amin, Agha Humayun (নভেম্বর ২০০০)। "The Pakistan Army From 1965 to 1971"www.defencejournal.com। A.H. Amin, Defence। ৭ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৬Ayub being a Hindko speaking Pathan, Musa being a Persian speaking Mongol-Hazara and Yahya being a Persian speaking Qizilbash. Tikka was the first Punjabi chief of the army. 
  3. Abbas, Hassan। Pakistan's Drift Into Extremism: Allah, the Army, and America's War on Terror (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 9781317463283। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৬ 
  4. Singh, Ravi Shekhar Narain Singh। The Military Factor in Pakistan (ইংরেজি ভাষায়)। Lancer Publishers। আইএসবিএন 9780981537894। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৬ 
  5. Jalal, Ayesha। The Struggle for Pakistan: A Muslim Homeland and Global Politics (ইংরেজি ভাষায়)। Harvard University Press। আইএসবিএন 9780674744998। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৬ 
  6. Burki, Shahid Javed। Historical Dictionary of Pakistan (ইংরেজি ভাষায়)। Rowman & Littlefield। আইএসবিএন 9781442241480। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

সামরিক দপ্তর
পূর্বসূরী
Ayub Khan
Commander-in-Chief, Pakistan Army
1958–1966
উত্তরসূরী
Yahya Khan
রাজনৈতিক দপ্তর
পূর্বসূরী
Mian Naseer Ahmed
President of the Pakistan Hockey Federation
1960–1966
উত্তরসূরী
Nur Khan
পূর্বসূরী
Amir Mohammad Khan
Nawab of Kalabagh
Governor of West Pakistan
1966–1969
উত্তরসূরী
Yusuf Haroon
পূর্বসূরী
Khushdil Khan Afridi
Governor of Balochistan
1985–1991
উত্তরসূরী
Hazar Khan Khoso