মুহাম্মদ ওয়াক্কাস
মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস (১৫ জানুয়ারি ১৯৫২–৩১ মার্চ ২০২১) বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি যশোর-৫ আসনের সাবেক সাংসদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি ও আল হাইআতুল উলয়ার সহ-সভাপতি ছিলেন।[১][২][৩][৪][৫][৬]
মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস | |
---|---|
![]() | |
পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৩ মার্চ ১৯৮৮ | |
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৮ – ১৯৮৯ | |
যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ | |
পূর্বসূরী | মুহাম্মদ আলী অরিক |
উত্তরসূরী | খান টিপু সুলতান |
কাজের মেয়াদ ২০০১ – ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | খান টিপু সুলতান |
উত্তরসূরী | খান টিপু সুলতান |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৫ জানুয়ারি ১৯৫২ যশোর |
মৃত্যু | ৩১ মার্চ ২০২১ শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা। | (বয়স ৬৯)
রাজনৈতিক দল | জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | দারুল উলুম দেওবন্দ |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনামুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ১৫ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বিজয়রামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ইসমাইল ও মাতা নূর জাহান বেগম। তিনি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল, আলিম, ফাযিল এবং কওমী থেকে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন। ১৯৭৬ সালে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ‘মুফতি’ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি যশোর মাদানী নগর মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।[৭] তার ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে।[৭]
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
সম্পাদনামুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বাংলাদেশ তথা ভারত উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরানো ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামে নেতা। তিনি ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ২০০১ সালে যশোর-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[১][২][৩]
মুহাম্মদ ওয়াক্কাস তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সর্বপ্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে এবং চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচননে জাতীয় পার্টির সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের হয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোট থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৭]
১৯৯১ সাল থেকে ২০১৫ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত জমিয়তে উলামায়ে ইসলমে বাংলাদেশের মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর পর নির্বাহী সভাপতি। ২০১৭ সালে জমিয়ত বিভক্ত হলে তিনি একাংশের সভাপতি নির্বাচিত হন। [৭][৮]
মৃত্যু
সম্পাদনামুফতি ওয়াক্কাস ৩১ মার্চ ২০২১ সালে ঢাকার শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।[৯]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "মুফতি ওয়াক্কাস গ্রেফতার ॥ মুক্তির দাবি"। The Daily Sangram। ২০২০-০৬-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-৩১।
- ↑ BanglaNews24.com। "ওয়াক্কাসের মুক্তি চান খালেদা"। banglanews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-৩১।
- ↑ "হেফাজত নেতা ওয়াক্কাস গ্রেপ্তার"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-৩১।
- ↑ ক খ গ ঘ "আলাপচারিতায়-জমিয়ত নেতা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস"। সিলেট রিপোর্ট। ২৮ অক্টোবর ২০১৭। ৩১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Ershad's politics failed to lure religious parties | banglatribune.com"। Bangla Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-০৭।
- ↑ "সাবেক মন্ত্রী মুফতি ওয়াক্কাস আর নেই"। বার্তা২৪.কম। ৩১ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০২১।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- উল্লাহ, মুহাম্মদ আহসান (২০২১)। বাংলা ভাষায় হাদিস চর্চা (১৯৫২-২০১৫) (পিএইচডি)। বাংলাদেশ: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৪৩০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- আলম, মোঃ মোরশেদ (২০১৪)। "হাদীস শাস্ত্র চর্চায় বাংলাদেশের মুহাদ্দিসগণের অবদান"। পিএইচডি অভিসন্দর্ভ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ১৭৩। ৩ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০২১।