মুহাম্মদের জীবনীগ্রন্থের তালিকা
উইকিমিডিয়ার তালিকা নিবন্ধ
এটি প্রাথমিক যুগের চিরাচরিত লেখক থেকে শুরু করে আধুনিক কালের লেখকগণের নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীগ্রন্থ সমূহের একটি কালানুক্রমিক তালিকা।
প্রাথমিকযুগের জীবনীকারগণ
সম্পাদনানিচে প্রাথমিকযুগের হাদীস সংগ্রহকারীদের তালিকা দেওয়া হয়েছে যারা নবীর জীবনী সংগ্রহে বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন।
সপ্তম এবং অষ্টম শতাব্দীর গোড়ার দিকে (হিজরির প্রথম শতাব্দী)
সম্পাদনা- সাহল ইবনে আবি হাতমা (মৃত্যু: মুআবিয়ার রাজত্বকালে, অর্থাৎ, ৪১-৬০ হিজরী) মুহাম্মদ (সা.) এর এক তরুণ সঙ্গী ছিলেন। নবীর জীবনী সম্পর্কে তাঁর রচনার কিছু অংশ আল-বালাধুরীর আনসাব, ইবনে সা'দের তাবাকাত, এবং ইবনে জারির আল-তাবারী ও আল-ওয়াকিদির রচনায় সংরক্ষিত রয়েছে।[১]
- আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (মৃত্যু: ৭৮ হিজরী), মুহাম্মদ (সা.) এর সহাবী, নবীর আচারানুষ্ঠান সম্পর্কে হাদীস ও সীরাহ সম্পর্কিত তার বিভিন্ন রচনায় পাওয়া যায়।[১]
- সাইদ ইবনে সাদ ইবনে উবাদা আল-খাজরাজি হলেন আরেকজন যুবক সাহাবী, যার লেখাগুলি ইবনে হাম্বল ও আবি-ইওয়ানা এবং আল-তাবারীর তারিখ মুসনাদে বেঁচে আছে।[১]
- উরওয়াহ ইবনুয যুবায়ের (মৃত্যু ৭১৩)। তিনি উমাইয়া খলিফা আবদুল-মালেক ইবনে মারওয়ান এবং আল-ওয়ালিদের নবীর সময়ে ঘটা ঘটনা নিয়ে জানতে চাওয়া চিঠির জবাবে লিখতেন। আবদুল আল মালিক যেহেতু মাগাযি সাহিত্যকে তেমন মুল্যায়ন করেতেন না, তাই সে তার চিঠিতে ঘটনাগুলো গল্প আকারে লিখতেন না। তিনি এই বিষয়ে কোনও বই লিখেছেন বলে জানা যায়নি। তিনি আবু বকরের নাতি এবং আবদুল্লাহ ইবনে আল-জুবায়েরের ছোট ভাই ছিলেন।
- সাদ ইবনুল মুসাইয়িব আল মাখজামা (মৃত্যু: ৯৪ হিজরী), যিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত তাবেয়ী এবং ইবনে শিহাব আল জুহরির অন্যতম শিক্ষক। তাঁর রেওয়ায়েত কুতুব আল সিত্তাহ এ বর্ণিত আছে, এছাড়াও ইবনে ইসহাক, ইবনে সাইয়ীদ আল-নাস এবং অন্যান্যদের সীরাহ রচনায় তার উদ্ধৃত হয়েছে। [১]
- আবু ফিলা আবদুল্লাহ ইবনে কাব ইবনে মালেক আল-আনাসারী (মৃত্যু: ৯ হিজরী), তাঁর রেওয়ায়েতগুলি ইবনে ইসহাক ও আল-তাবারী উল্লেখ করেছেন।[১]
- উসমানের পুত্র আবান ইবনে উসমান ইবনে আফফান (মৃত্যু: ১০০-১০৫ হিজরী) একটি ছোট পুস্তিকা লিখেছিলেন। তাঁর রেওয়ায়েতগুলি তাঁর মুওয়াত্তার মাধ্যমে মালিক ইবনে আনাসে, ইবনে সা'দ, আল-তাবারী ও আল-ইয়াকুবির ইতিহাসে লিখিত রয়েছে।[১]
- আমির ইবনে শারাহিলুল শাবী (মৃত্যু: ১০৩ হিজরী), আবু ইসহাক আল-সুবাঈ, সাদ ইবনে মাসরুক আল-সাওরি, আল-আ'মাশ, কাতাদা, মুজালিদ ইবনে সাইদ প্রমুখের মাধ্যমে তাঁর রেওয়ায়েতগুলি সঞ্চারিত হয়েছিল।[১]
পরবর্তী লেখক ও জীবনীকার (১১০০–১৫১৭)
সম্পাদনা১৯ শতক
সম্পাদনাআধুনিক (১৯০০-বর্তমান)
সম্পাদনা- সীরাতুল মুস্তফা — মুহাম্মদ ইদ্রিস কান্ধলভি
- নবীয়ে রহমত — আবুল হাসান আলী নদভী
- সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া — মুহাম্মদ শফী উসমানী
- যে ফুলের খুশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা — আশরাফ আলী থানভী
- সীরাতুন নবী — শিবলী নোমানী ও সুলাইমান নদভী
- আন নাবিয়্যুল খাতিম – মানাজির আহসান গিলানি
- সীরাতে রাসুলে করিম – হিফজুর রহমান সিওহারভি
- ফিকহুস সিরাহ - ড. মুহাম্মাদ সায়িদ রামাদান বুতি
- আর রাহীকুল মাখতুম - আল্লামা শফিউর রহমান মোবারকপুরী
- সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) - মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল গালিব
- সীরাতে মুবারাকাহ মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ – মুহাম্মদ মিয়া দেওবন্দি
- সীরাতে রাসুলে আকরাম – আবুল হাসান আলী হাসানী নদভী
- প্রশংসিত - সৈয়দুল হক