মুনীব-উর-রেহমান
মুহাম্মদ মুনীব-উর-রেহমান (উর্দু: محمد منیب الرحمٰن Munīb-ur-Rehmān; জন্ম: ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫) একজন পাকিস্তানি মুফতি এবং রুয়েত-ই-হিলাল কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি জিন্নাহ ইউনিভার্সিটি অফ উইমেনের অধ্যাপক,[৫] ন্যাশনাল একাডেমিক কাউন্সিল অফ ইনস্টিটিউট অফ পলিসি স্টাডিজের সদস্য,[৬] বুর্জ ব্যাংকের শরিয়া বোর্ডের প্রধান[৭] ও তানজিম-উল-মাদারিস[৮][৯][১০] এবং করাচির দারুল উলুম নঈমীয়ার সভাপতি।[৬]
মুনীব-উর-রেহমান | |
|---|---|
 | |
| রুয়েত-এ-হিলাল কমিটির চেয়ারম্যান | |
| অফিসে ১৮ অক্টোবর ১৯৯৮ – ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ | |
| পূর্বসূরী | মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ গাজী |
| উত্তরসূরী | আবদুল খাবির আজাদ |
| ব্যক্তিগত তথ্য | |
| জন্ম | মুনীব-উর-রেহমান ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৫ |
| ধর্ম | ইসলাম |
| জাতীয়তা |  পাকিস্তানি |
| আখ্যা | সুন্নি |
| ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি[৪] |
| ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি |
| উল্লেখযোগ্য কাজ | তাফহিম-উল-মাসাইল |
| যেখানের শিক্ষার্থী | দারুল উলুম আমজাদিয়া |
| যে জন্য পরিচিত | শিক্ষাগত নেতৃত্ব, ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বইয়ের লেখক |
| পেশা | রুয়েত-এ-হিলাল কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান (১৯৯৮-২০২০) |
| কাজ | পাকিস্তানের প্রধান মুফতি |
| মুসলিম নেতা | |
| সাহিত্যকর্ম | তালিকা দেখুন |
| পেশা | রুয়েত-এ-হিলাল কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান (১৯৯৮-২০২০) |
| সম্মান | বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম (২০০৯–২০২০) |
জীবন ও শিক্ষা সম্পাদনা
মুনীব-উর-রেহমান ১৯৪৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। আইন ও শিক্ষার স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি তিনি আরবি ভাষাতেও শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তিনি দারুল উলুম আমজাদিয়া থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[১১]
মুনীব-উর-রেহমান ফেডারেল উর্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং করাচির বোর্ড অফ স্টাডিজের সদস্য এবং ইন্টারমিডিয়েট এডুকেশন বোর্ডের সদস্য। তিনি পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন যিনি ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি - মার্চ মাসে যুক্তরাজ্য সফরে গিয়েছিলেন যে যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় মাদ্রাসা ও ইসলামী বিদ্যালয়গুলো কীভাবে পরিচালিত হয় সে সম্পর্কে সরাসরি জ্ঞান অর্জন করতে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে, হংকং, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আরও অনেক দেশে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।[১২]
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী অপসারণের আহবান সম্পাদনা
মুনিব-উর-রেহমান পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী পারভেজ রশিদকে অপসারণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। [১৩]
রুয়েত-এ-হিলাল কমিটির চেয়ারম্যান সম্পাদনা
২০০০ সালে, পাকিস্তান সরকার তাকে রুয়েত-ই-হিলাল কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন। তিনি প্রায় ২০ বছর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাকে অফিস থেকে অপসারণ করেন।
বই সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "مفتی اعظم پاکستان مفتی منیب الرحمان کا تحریک لبیک پاکستان کے قائدین سے لاتعلقی کا اعلان"। Nawa-i-Waqt (উর্দু ভাষায়)। ১১ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "مفتی منیب الرحمن کو بھی گرفتار کر لیا گیا ،بڑی خبر آ گئی"। Daily Pakistan। ২৪ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২০।
رویت ہلا ل کمیٹی کے چیئرمین ،ممتاز عالم دین اور مفتی اعظم پاکستان مفتی منیب الرحمن
- ↑ "سانحہ راولپنڈی سانحہ بولٹن مارکیٹ کا تسلسل ہے، مفتی منیب"। Daily Express (উর্দু ভাষায়)। ১৮ নভেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মার্চ ২০২০।
رویت ہلال کمیٹی کے چیئرمین مفتی اعظم پاکستان مفتی منیب الرحمن
- ↑ Mufti Muneeb-ur-Rehman। "Kitab Ul Fiqh / کتاب الفقہ" – Internet Archive-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Mufti Muneeb-ur-Rehman"। Pakistan Herald। ১৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ IPSweb (৯ ডিসেম্বর ২০১৫)। "Mufti Muneeb-ur-Rehman"। Institute of Policy Studies। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Pakistan Banks' Association"। pakistanbanks.org। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Escalating extremism threat to global peace"। The News International। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০।
- ↑ "State Minister Engr. Muhammad Baligh ur Rehman Met with the Delegation of Ittehad Tanzeem ul Madaris today at his office"। pid.gov.pk। Islamabad: Press Information Department। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০।
- ↑ Sharif, Farhan; Rupert, James (৬ জানুয়ারি ২০১১)। "Pakistan Lawyers' Garland for Assassin Shows Deepening Militancy"। Bloomberg L.P.। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০২০।
Mufti Munib-ur-Rehman, the president of Tanzeem-ul-Madaris Pakistan, the nation's largest association of religious schools.
- ↑ Hussain, Abid (১৭ জুলাই ২০১৫)। "Moon gazing – Profile of Mufti Muneeb-ur-Rehman"। Herald Magazine।
- ↑ Hussain, Abid (১৭ জুলাই ২০১৫)। "Moon gazing"। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Mufti Muneeb-ur-Rehman demands removal of Pervaiz Rashid from his office"। ৩০ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Khulasa E Tafseer" – Internet Archive-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Marfat Library"। marfat.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Arbaeen e Tijarat Wa Maeshat"। marfat.com। Karachi: I S Printing Services। ২০ অক্টোবর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ M Awais Sultan (২৬ এপ্রিল ২০১৬)। Tafhim Ul Masail Jild 6- تفہیم المسائل جلد 6। 6।
- ↑ "Marfat Library"। marfat.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Tafheem ul Masail Kamil jild 10 تفہیم المسائل"। Al Ghani Publishers। ৭ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Tafheem-ul-Masail"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Tafseer Surah-Tu-Nisa"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Marfat Library"। marfat.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ Rehman, Muneeb (৬ মার্চ ২০১৭)। Sultan Shamasuddin Altamsh: History and Story (ইংরেজি ভাষায়)। Independently Published। আইএসবিএন 978-1-5207-6096-4।
- ↑ "SULTAN SHAMASUDDIN ALTAMSH: History & Story"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "SULTAN SHAMASUDDIN ALTAMSH"। goodreads.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
- ↑ "Zakat Ke Masail by Prof Mufti Muneeb Ur Rehman"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০ – Scribd-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Zakaat"। marfat.com। Maktaba Naeemia। ১ জুলাই ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০২০।
বহিঃসংযোগ সম্পাদনা
- Subject page on Internet Archive
- মুফতি মুনীব-উর-রহমানের বিস্তারিত ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ জুলাই ২০১৩ তারিখে