মার্ক অ্যালেন

ইংরেজ ক্রিকেটার
(মার্ক অ্যালিয়েন থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মার্ক ওয়েন অ্যালেন এমবিই (ইংরেজি: Mark Wayne Alleyne; জন্ম: ২৩ মে, ১৯৬৮) লন্ডনের টটেনহামে জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ‘বো-বো’ ডাকনামে পরিচিত মার্ক অ্যালেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত ইংল্যান্ডের পক্ষে দশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটেছে তার।

মার্ক অ্যালেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমার্ক ওয়েন অ্যালেন
জন্ম (1968-05-23) ২৩ মে ১৯৬৮ (বয়স ৫৫)
টটেনহাম, লন্ডন
ডাকনামবো-বো
উচ্চতা৫ ফুট ১০ ইঞ্চি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৫২)
১০ জানুয়ারি ১৯৯৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ ওডিআই৫ অক্টোবর ২০০০ বনাম বাংলাদেশ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ টি২০
ম্যাচ সংখ্যা ১০ ৩২৮ ৪৩৬ ১৮
রানের সংখ্যা ১৫১ ১৪,৯৪৩ ৮,৩০৮ ১৫৯
ব্যাটিং গড় ২১.৫৭ ৩০.৮১ ২৭.২৩ ৩১.৮০
১০০/৫০ -/১ ২২/৭২ ৫/৩৩ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৫৩ ২৫৬ ১৩৪* ৩৫
বল করেছে ৩৬৬ ২৬,৭৩১ ১৬,০১৩ ৩৩৩
উইকেট ১০ ৪১৫ ৪১৫ ১০
বোলিং গড় ২৮.০০ ৩২.৯০ ২৯.৫৫ ৪২.৩০
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/২৭ ৬/৪৯ ৫/২৭ ২/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/- ২৭২/৩ ১৭৬/১ ৭/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

খেলার ধরন সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ই মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করতেন। পাশাপাশি মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন তিনি। এছাড়াও নিজ কাউন্টি দলসহ ইংল্যান্ডের পক্ষে মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষকেরও দায়িত্ব পালন করতেন মার্ক অ্যালেন।

কাউন্টি ক্রিকেট সম্পাদনা

গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটার পর থেকেই তিনি তার প্রতিশ্রুতিশীলতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। ১৮ বছর বয়সে শতক ও ২২ বছর বয়সে দ্বি-শতক রানের ইনিংস উপহার দেন। এরফলে কাউন্টি দলটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে উভয় ক্ষেত্রেই এ কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি।

২০০০ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারকে দুইটি একদিনের কাপ ও জাতীয় লীগের শিরোপা বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। অল্পের জন্য কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে উত্তরণ ঘটাতে পারেননি দলকে। তার এ অর্জনসমূহের স্বীকৃতিস্বরূপ উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন তিনি।[১]

অল্পকয়েক বছরের মধ্যেই কাউন্টি ক্রিকেটের একদিনের খেলায় শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত হন। গ্লুচেস্টারশায়ারকে ৬ বছরের মধ্যে ৪টি নক-আউট শিরোপা এনে দেন তিনি।

অধিনায়কত্ব সম্পাদনা

২০০১ সালে তার খেলার মানে ভাটা পড়ে বিশেষ করে ব্যাট হাতে। ২০০৪ সালে ক্রিস টেলরের কাছে অধিনায়কের দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন। তাস্বত্ত্বেও ঐ বছরে তিনি মাত্র চারটি কাউন্টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৫ সালের ১০ জুনের পূর্ব-পর্যন্ত কোন খেলায় অংশ নেননি।

১৯৯৭ সালে জ্যাক রাসেলের পরিবর্তে দলের অধিনায়ক মনোনীত হন। ১৯৯৯-০০ মৌসুমে ইংল্যান্ড দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। এরপর ব্রিসবেনে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। কিন্তু, কোন টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার।

কোচিং সম্পাদনা

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলকে প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্দেশ্যে কোচ জন ব্রেসওয়েল গ্লুচেস্টারশায়ার ক্লাব থেকে চলে যান। ফলশ্রুতিতে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ক্লাবের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

তন্মধ্যে ২০০৭ সালে অল্পের জন্য তার দল টুয়েন্টি২০ শিরোপা লাভ করা থেকে বঞ্চিত হয়। ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে চুক্তি শেষ হবার নয়মাস পূর্বেই পারস্পরিক সম্মতিক্রমে কোচের পদ থেকে ইস্তফা দেন।

এরপর লাফবোরায় জাতীয় দক্ষতা কেন্দ্রে কোচিং কার্যক্রম পরিচালনায় অগ্রসর হন। সেখানে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৫ দলকে কোচিং দেন। ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে এমসিসি’র নতুন প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। লর্ডসের সাথে ৪৮ বছর পার করার পর ক্লাইভ র‍্যাডলি অবসর নিলে তিনি তার স্থলাভিষিক্ত হন।

সম্মাননা সম্পাদনা

২০০৪ সালে রাণীর নববর্ষের সম্মাননা উপলক্ষ্যে ক্রিকেট খেলায় অসামান্য অবদানের প্রেক্ষিতে তাকে এমবিই পদবীতে ভূষিত করা হয়। এছাড়াও তিনি প্রফেশনাল ক্রিকেট কোচেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ সম্পাদনা

# বিপক্ষ মাঠ তারিখ অবদান ফলাফল
  দক্ষিণ আফ্রিকা বাফালো পার্ক, পূর্ব লন্ডন ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ৫৩ (৬৮ বল, ৪×৪, ১×৬); ১০-০-৫৫-৩, ১টি ক্যাচ   দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেটে বিজয়ী[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Wisden Cricketers of the Year" (English ভাষায়)। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০২-২১ 
  2. "1999-2000 Standard Bank Triangular Tournament - 7th Match - South Africa v England - East London"Howstat (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৫ 

আরও দেখুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা