মা
মা হচ্ছেন একজন নারী, যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন - তিনিই অভিভাবকের ভূমিকা পালনে সক্ষম ও মা হিসেবে সর্বত্র পরিচিত।[১] প্রকৃতিগতভাবে একজন নারী বা মহিলাই সন্তানকে জন্ম দেয়ার অধিকারীনি। গর্ভধারণের ন্যায় জটিল এবং মায়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় অবস্থানে থেকে এ সংজ্ঞাটি বিশ্বজনীন গৃহীত হয়েছে। তার বিপরীত লিঙ্গ পুরুষ হচ্ছেন বাবা। মা খুবই দায়িত্ব পরায়াণ হয়ে থাকেন।
মা দিবস
সম্পাদনামে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে "মা দিবস" হিসাবে উদযাপনের ঘোষণা দেয়া হয় ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেসে। আর তখন থেকেই এই দিনে সারা বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে মা দিবস। বিশ্বের প্রায় ৪৬টি দেশে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়। কথিত আছে, ব্রিটেনেই প্রথম শুরু হয় মা দিবস পালনের রেওয়াজ, কেননা সেখানে প্রতিবছর মে মাসের চতুর্থ রবিবারকে মাদারিং সানডে হিসাবে পালন করা হতো। তবে সতের শতকে মা দিবস উদযাপনের সূত্রপাত ঘটান মার্কিন সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্টস[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]। মায়ের সঙ্গে সময় দেয়া আর মায়ের জন্য উপহার কেনা ছিল তার দিনটির কর্মসূচিতে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে প্রথম মা দিবস পালন করা হয় ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ২ জুন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উহলসন সর্বপ্রথম মা দিবসকে সরকারি ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করেন। মা দিবসের উপহার সাদা কার্নেশন ফুল খুব জনপ্রিয়। আর বাণিজ্যিকভাবে, "মা দিবস" বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কার্ড আদান-প্রদানকারী দিবস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে "মা দিবস"-এ অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি ফোন করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কাব্য সাহিত্যে মা
সম্পাদনামাকে নিয়ে অনেক গান, কবিতা, গল্প, কাহিনী রচিত হয়েছে। যেমন:
গান
সম্পাদনা- মাগো মা ওগো মা, আমারে বানাইলি তুই দিওয়ানা - খুরশিদ আলম
- মায়ের একধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম - ফকির আলমগীর
- এমন একটা মা দে না - ফেরদৌস ওয়াহিদ
- আম্মাজান - আইয়ুব বাচ্চু
- রাতের তারা আমায় কি তুই বলতে পারিস - জেমস
- ওই আকাশের তারায় তারায় - রাশেদ
- ছেলে আমার মস্ত বড় মস্ত অফিসার - নচিকেতা চক্রবর্তী
- পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব মাগো - হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
- পৃথিবীর একপাশে মাকে রেখে অন্য পাশেও, মাকে রাখি - আরফিন রুমি
- ও তোতা পাখি রে, শিকল খুলে উড়িয়ে দেব মাকে যদি এনে দাও - নির্মলা মিশ্র
- মাগো তুমি একবার খোকা বলে ডাকো - কুমার শানু
কবিতা
সম্পাদনা- মায়ের প্রতি ভালবাসা - মুহাম্মদ হাবীব উল্লাহ [২]
- আমাদের মা - হুমায়ুন আজাদ
- মা – কাজী নজরুল ইসলাম
- বীরপুরুষ/মনে পড়া/লুকোচুরি – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- কখনো আমার মাকে - শামসুর রাহমান
- কত ভালবাসি - কামিনী রায় [৩]
- মা একটি ছোট্ট শব্দ অথচ - অভিজিৎ দত্ত
- মায়ের ভালোবাসার স্ট্যাটাস উক্তি ও কবিতা
উপন্যাস
সম্পাদনাইসলাম ধর্মে মা
সম্পাদনাআল কুরআনে বলা হয়েছে আমি মানুষকে তাদের পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার জোর নির্দেশ দিয়েছি। যদি তারা তোমাকে আমার সাথে এমন কিছু শরীক করার জোর প্রচেষ্টা চালায়, যার সম্পর্কে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তবে তাদের আনুগত্য করো না। আমারই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর আমি তোমাদেরকে বলে দেব যা কিছু তোমরা করতে। [৪] একটি হাদীসে ইসলামের নবী মুহাম্মদ বলেছেন, মাতার পদতলে সন্তানের বেহেশত (স্বর্গ)। তাছাড়া একটি হাদীসে আছে তা হল মাকে তিন বার সেবা করার পর বাবাকে এক বার সেবা করা।
হিন্দু ধর্মে মা
সম্পাদনাসনাতন ধর্মে উল্লেখ আছে স্ববংশবৃদ্ধিকামঃ পুত্রমেকমাসাদ্য..”। আবার সন্তান লাভের পর নারী তাঁর রমণীমূর্তি পরিত্যাগ করে মহীয়সী মাতৃরূপে সংসারের অধ্যক্ষতা করবেন। তাই মনু সন্তান প্রসবিনী মাকে গৃহলক্ষ্মী সম্মানে অভিহিত করেছেন। তিনি মাতৃ গৌরবের কথা বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন এভাবে- উপাধ্যায়ান্ দশাচার্য্য আচায্যাণাং শতং পিতা। সহস্রন্তু পিতৃন্মাতা গৌরবেণাতিরিচ্যতে” [ (মনু,২/১৪৫) অর্থাৎ “দশজন উপাধ্যায় (ব্রাহ্মণ) অপেক্ষা একজন আচার্য্যরে গৌরব অধিক, একশত আচার্য্যরে গৌরব অপেক্ষা পিতার গৌরব অধিকতর; সর্বোপরি, সহস্য পিতা অপেক্ষা মাতা সম্মানার্হ।”
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Definition from"। Allwords.com। ২০০৭-০৯-১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-০৪।
- ↑ "মায়ের প্রতি ভালবাসা - Habib Ullah"। www.bangla-kobita.com।
- ↑ "মাকে নিয়ে কবিতা"। ২২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ আনকাবুত:আয়াত- ৮
আরও পড়ুন
সম্পাদনা- Thornhill, Randy; Gangestad, Steven W.। The Evolutionary Biology of Human Female Sexuality।
- Manne, Anne। Motherhood – How should we care for our children?।
- Hrdy, Sarah Blaffer। Mother nature: maternal instincts and how they shape the human species।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |