মসজিদ-ই-আলা (যাকে জামে মসজিদও বলা হয়) কর্ণাটকের মান্দ্য জেলার শ্রীরাঙ্গাপাটনার দুর্গের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি টিপু সুলতানের শাসনামল ১৭৮৬-৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি বেঙ্গালুরু গেটের নিকটে অবস্থিত এবং এর দুটি মিনার রয়েছে। মসজিদটি একটি উন্নত প্ল্যাটফর্মের উপরে নির্মিত।

মসজিদ-ই-আলা
জামে মসজিদ
মসজিদের একটি দৃশ্য
ধর্ম
জেলামান্দ্য
যাজকীয় বা
সাংগঠনিক অবস্থা
মসজিদ
অবস্থান
অবস্থানশ্রীরঙ্গাপাটনা, কর্ণাটক, ভারত
এলাকাশ্রীরঙ্গাপাটনা
প্রশাসনজামে মসজিদ কমিটি
স্থানাঙ্ক১০°২৫′১৯″ উত্তর ৭৬°৪১′২০″ পূর্ব / ১০.৪২২° উত্তর ৭৬.৬৮৯° পূর্ব / 10.422; 76.689
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীইসলামিক
সম্পূর্ণ হয়১৭৮৬-৮৭
মিনার2

ইতিহাস সম্পাদনা

 
মসজিদের ভিতরে মাদ্রাসা

শ্রীরাঙ্গপাটনার দূর্গটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের একজন শাসক তিম্মনা নায়ক দ্বারা ১৪৫৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।ওয়োডিয়াররা ১৪৯৯ সালে, আরকোটের নবাব, পেশওয়াস এবং মারাঠারা পরবর্তীকালে দূর্গটির দখল নিয়েছিলেন। [১] কৃষ্ণরাজ ওয়াজেয়ারের শাসনামলে (১৭৩৪-৬৬) রাজ্যটি একটি শক্তিশালী সামরিক বাহিনীতে পরিণত হয় এবং টিপু সুলতানের পিতা সামরিক জেনারেল হায়দার আলীর নিয়ন্ত্রণে আসে। হায়দার আলী ছিলেন টিপু সুলতানের পিতা।[২] ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে হায়দার আলীর পুত্র টিপু সুলতান দূর্গের রাজত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং দুর্গ পুন:নির্মাণ করেছিলেন। টিপু সুলতান বহুবার ব্রিটিশ বাহিনীর আক্রমণের স্বীকার হয়েছিলেন।

টিপু সুলতান তাঁর বাড়ীর নিকটেই ১৭৮৬-৮৭ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।[৩] [৪]

বেশ কয়েকটি ব্যর্থ চেষ্টার পরে কর্নেল ওয়েলেসির নেতৃত্বে ব্রিটিশ বাহিনী ১৭৯৯ সালের ৪ মে আক্রমণ চালায়। এই বাহিনীতে ২,৪৯৪ জন ব্রিটিশ অফিসার এবং ১ লক্ষ মারাঠা অশ্বারোহী ও নিজামস সৈন্য ছিল প্রায় আড়াই লাখ। দুর্গের সৈন্য ছিল প্রায় ২০ হাজার সেনা যারা সংঘবদ্ধ ও সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছিল। যদি বিশ্বাসঘাতক মন্ত্রীদ্বয় পূর্নিয় এবং মীর সাদেক না হত তারা সফলভাবে আক্রমণকারীদের হটিয়ে দিতে পারতো। বিশ্বাসঘাতক মন্ত্রীরা গান পাউডারের সাথে গোবর এবং পানি মিশ্রণ করে দিয়েছিলেন যার কারণে [২] টিপু সুলতান যুদ্ধে মারা গিয়েছিল এবং ইংরেজরা ওয়াদেয়ার রানির সাথে চুক্তি করতে সক্ষম হয়। [১] [৫] [৬]

স্থাপত্য সম্পাদনা

মসজিদে দুটি লম্বা মিনার রয়েছে যা তিনটি অষ্টভুজ দ্বারা পৃথক করা হয়েছে। গ্যালারিযুক্ত বারান্দা রয়েছে যা মিনারের প্রতিটি স্তরকে আলাদা করে দেয়। মিনারগুলির শীর্ষে শালগম আকৃতির গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরে একটি বিশাল আয়তক্ষেত্রাকার প্রার্থনা হল রয়েছে যাতে সমতল ছাদটি বানানো তোরণ দ্বারা আচ্ছাদিত। মিনারগুলিতে পাশাপাশি রয়েছে খোলা খিলান এবং দেয়ালগুলো আয়তক্ষেত্র আকারের। [৩] মসজিদে দুটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্যান্য মসজিদের মতো এটির গম্বুজ নেই। বিশ শতকের গোড়ার দিকের একটি পুরানো ঘড়ি এই মসজিদে স্থাপন করা আছে।

একটি একটি মাদরাসা এই মসজিদ থেকে পরিচালিত হয়, যেখানে ইসলামী শিক্ষা দেওয়া হয়।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Verma, Amrit। Forts of India। The Director, Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India। পৃষ্ঠা 91–93। আইএসবিএন 81-230-1002-8 
  2. Tovey, Winifred (২০১৩-০২-১৪)। Cor Blimey! Where 'Ave You Come From?। M-Y Books Distribution। পৃষ্ঠা 29–32। আইএসবিএন 9780956535948 
  3. Desai, Dr. Ziyaud-din (১৯৬৬)। Mosques of India। Publication Division, Ministry of Information and Broadcasting, Government of India। পৃষ্ঠা 39। আইএসবিএন 81-230-1001-X 
  4. "Don't name university after Tipu: Writer"। The New Indian Express। ২১ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. Sampath, Vikram (২০০৮)। Splendours of Royal Mysore। Rupa Publications। পৃষ্ঠা 54। আইএসবিএন 9788129115355 
  6. "Ring and sword of Tipu Sultan"। British Museum। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০১৫ 
  7. "Places nearby"। Sriranganathaswamy temple, Srirangapatna, Hindu Religious Institutions & Charitable Endowment Department, Government of Karnataka। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  • Thompson, Rev. E. W. (১৯৯০) [1923]। The last siege of Seringapatam। Mysore City: Wesleyan Mission। আইএসবিএন 8120606027 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা