ভাসমান সন্ত্রাস

নিডারিয়ার প্রজাতি

ভাসমান সন্ত্রাস (বৈজ্ঞানিক নাম: Physalia physalis; ফাইসেলিয়া ফাইসেলিস) হলো আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরে প্রাপ্ত এক ধরনের সামুদ্রিক হাইড্রোজোয়া। এরা পর্তুগিজ ম্যান অ’ ওয়ার বা ম্যান-অব-ওয়ার[৬] (ম্যান অব ওয়ার = যুদ্ধজাহাজ) নামেও পরিচিত।[৭] প্রশান্ত মহাসাগরে প্রাপ্ত “প্রশান্ত মহাসাগরীয় ম্যান অ’ ওয়ার”-ও একই প্রজাতিভুক্ত বলে মনে করা হয়। ভাসমান সন্ত্রাস ফাইসেলিয়া গণের দুইটি প্রজাতির অন্যতম (অপরটি Physalia utriculus, যা “নীল বোতল”, “ব্লুবোটল”, “ব্লু বোটল জেলিফিশ” বা “নীল বোতল জেলিফিশ” নামেও পরিচিত)। ফাইসেলিয়া আবার ফাইসেলিডি গোত্রের একমাত্র গণ।[৮]

ভাসমান সন্ত্রাস
পর্তুগিজ ম্যান অ’ ওয়ার
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস সম্পাদনা করুন
জগৎ/রাজ্য: অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)
পর্ব: নিডারিয়া (Cnidaria)
শ্রেণি: Hydrozoa
বর্গ: Siphonophorae
উপবর্গ: Cystonectae
ব্রান্ট, ১৮৩৫[২]
পরিবার: Physaliidae
ল্যামার্ক, ১৮০১[১]
গণ: Physalia
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)
প্রজাতি: P. physalis
দ্বিপদী নাম
Physalia physalis
(লিনিয়াস, ১৭৫৮)
প্রতিশব্দ
গোত্র পর্যায়ের সমনাম[৩]
গণ পর্যায়ের সমনাম[৪]
প্রজাতি পর্যায়ের সমনাম[৫]

ভাসমান সন্ত্রাস সমুদ্রের উপরের স্তরে ভাসমান জীব বা নিউস্টন জীবসম্প্রদায়ের সদস্য। এদের অসংখ্য আণুবীক্ষণিক নেমাটোসিস্ট থাকে, যার দংশনের ফলে নিষ্ক্রান্ত বিষ একটি ছোট মাছকে মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট। এর দংশন মানুষের জন্য অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক এবং কখনো কখনো মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ভাসমান সন্ত্রাস বাহ্যিকভাবে জেলিফিশের মতো দেখতে হলেও, প্রকৃতপক্ষে এরা সাইফনোফোর। অন্যান্য সাইফনোফোরদের মতো এরা কলোনি আকারে বসবাস করে, যার ক্ষুদ্রতম একককে জুয়োয়েড বলে।[৯] একটি কলোনির সকল জুয়োয়েড জিনগতভাবে একই ধরনের; কিন্তু খাদ্যগ্রহণ ও জনন প্রভৃতি বিশেষ কাজ করে থাকে। একত্রে কাজ করার ফলে এদের কলোনি একটি একক জীবের মতো আচরণ করতে সক্ষম হয়।

ব্যুৎপত্তি সম্পাদনা

“ভাসমান সন্ত্রাস” নামটি জীবের একটি উপনাম ফ্লোটিং টেরর-এর (floating terror) আক্ষরিক অনুবাদ। এরা একত্রে দলবদ্ধ অবস্থায় সমুদ্রপৃষ্ঠে ভেসে থাকে এবং এদের নিডোসাইটের দংশন অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হওয়ায় এদের এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে, ম্যান অ’ ওয়ার নামটি অষ্টাদশ শতকের পাল-তোলা যুদ্ধজাহাজ ম্যান-অব-ওয়ার থেকে এসেছে।[১০] এই রকম পূর্ণাঙ্গ পাল-তোলা জাহাজের পর্তুগিজ সংস্করণের (কারাভেল) সাথে মিল থাকায় প্রাণীটির এরূপ নামকরণ করা হয়েছে।[১১][৫][৬]

বর্ণনা সম্পাদনা

ভাসমান সন্ত্রাস সুস্পষ্টভাবে নিউস্টন সম্প্রদায়ের সদস্য হলেও এদের আচরণ সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু অজানা।[৯] নিউস্টন হলো পানির উপরিভাগে ভাসমান সামুদ্রিক জীবসম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়ের জীবেরা উচ্চমাত্রার অতিবেগুনি রশ্মি, পানির অতিমাত্রায় শুষ্কীভবন, সমুদ্র ও সমুদ্রতরঙ্গের ক্রমপরিবর্তনশীলতার মতো চরমভাবাপন্ন পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করে।[১২] চরম পরিবেশের প্রতি সহনশীলতা এবং পৃথিবীপৃষ্ঠের ৭১% অঞ্চলে বিস্তৃত আবাস থাকা সত্ত্বেও এই পলিফাইলেটিক জীবসম্প্রদায়ের (ভিন্ন আদিজীব থেকে আগত, যার ফলে একই প্রজাতিভুক্ত নয় এমন জীবসম্প্রদায়) গঠন ও কার্যক্রম বিষয়ে খুব বেশি জানা যায় না।[১৩][৯]

ভাসমান সন্ত্রাসের ক্রিয়াকলাপ অনেকটা জাহাজের মতোই: এদের পানির উপরে থাকা অংশটিতে কার্বন মনোক্সাইড ও বায়ুতে পরিপূর্ণ একটি প্রকোষ্ঠ থাকে, যা জাহাজের পালের মতো সমুদ্রে এদের মাইলের পর মাইল ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এদের বিষাক্ত টেন্টাকলগুলো পশ্চাদ্‌বর্তী হয়, যার বিষ ছোট ছোট মাছের প্রাণ নেওয়ার মতো যথেষ্ট ভয়ঙ্কর।[১৪][১৫] সমুদ্রে দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা ও ঋতুভিত্তিক বংশবিস্তার প্রক্রিয়ায় কারণে বছরের নির্দিষ্ট সময় এদের দলবদ্ধভাবে সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসতে দেখা যায়। মানুষ তখন এদের যন্ত্রণাদায়ক বিষের সংস্পর্শে আসে। ফলে সাইফনোফরদের মধ্যে ভাসমান সন্ত্রাস যথেষ্ট কুখ্যাতি লাভ করেছে।[১৩][৯]

ভাসমান সন্ত্রাসের দেহের গঠন, অঙ্গসংস্থান এবং এদের কলোনির সংগঠন অন্যান্য সাইফনোফোরদের থেকে ভিন্নতর।[৯] কলোনি আকারে বসবাসকারী হাইড্রোজোয়ানদের মধ্যে সাইফনোফোরদের নিয়ে তুলনামূলক কম গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। এদের কলোনিতে বিশেষায়িত কিছু কোষ থাকে, যাদের জুয়োয়েড বলা হয়। এরা মুক্তজীবী প্রাণীদের সমসংস্থ হিসেবে আচরণ করে। কিছু প্রজাতি প্লাঙ্কটনসদৃশ; সমুদ্রের গভীরতম স্থান থেকে সমুদ্রপৃষ্ঠ পর্যন্ত এদের পাওয়া যায়।[১৬][১৭][১৮] এরা ভঙ্গুর এবং এদের অক্ষত অবস্থায় সংগ্রহ করা খুবই কষ্টসাধ্য। এদের দূরনিয়ন্ত্রিত নিমজ্জিত জলযানের সাহায্যে বা মাঝসমুদ্রে ডুব দিয়ে খালি হাতে কিংবা অঞ্চলবিশেষে পানির স্থানিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।[১৯][২০] তবে ভাসমান সন্ত্রাস প্রকৃতিতে অন্যদের তুলনায় সহজে পাওয়া যায়; এরা তুলনামূলক সুস্পষ্ট ও শক্ত সাইফনোফোর। এই কারণে এই প্রজাতি সম্পর্কে বিস্তৃত লেখালেখি হয়েছে; এমনকি এদের ফাঁপা অংশের রাসায়নিক উপাদান, বিষ (বিশেষ করে বিষক্রিয়া), প্রকৃতিতে সহজপ্রাপ্যতা, ভৌগোলিক বিস্তৃতি ইত্যাদি নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।[১৩][২১][২২][২৩][২৪][২৫][২৬][২৭][২৮][২৯][৩০][৩১] তবে ভাসমান সন্ত্রাসের বিস্তারিত গঠন, প্রধান প্রধান জুয়োয়েড কোষের সংস্থানিক বর্ণনা, কলোনি গঠনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে গবেষণা হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম।[৩২][৩৩][৩৪][৩৫] এই গবেষণাগুলো নিউস্টন জীবসম্প্রদায়ের অঙ্গসংস্থান, কোষীয় কাঠামো ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রতিষ্ঠা করে। ভাসমান সন্ত্রাসের কলোনি অন্যান্য সাইফনোফোরের তুলনায় কিছুটা ভিন্নভাবে বিকশিত হয় এবং এতে তিন মাত্রার শাখা কাঠামো গঠিত হয়। ফলে সাইফনোফোরের অঙ্গসংস্থান দিয়ে ভাসমান সন্ত্রাস কলোনির অঙ্গসংস্থান, গঠন ও পরিবর্ধন ব্যাখ্যা করা কিছুটা কঠিন হয়।[৯]

ভাসমান সন্ত্রাস দেখতে জেলিফিশের মতো হলেও এটি আদতে একটি সাইফনোফোর। এরা জুয়োয়েড নামের বিভিন্ন ধরনের স্বতন্ত্র আণুবীক্ষণিক সত্তার সমন্বয়ে গঠিত একটি কলোনি[৩৬] এতে পরস্পর-নির্ভরশীল চার ধরনের জুয়োয়েড থাকে, যারা বেঁচে থাকতে ও বিভিন্ন ধরনের জৈবিক কার্যকলাপ সংবহন করতে একে অপরের উপর নির্ভরশীল থাকে। যেমন: গ্যাস্ট্রোজুয়োয়েড (পরিপাক), গনোজুয়োয়েড (জনন) ও ডাকটাইলোজুয়োয়েড (শিকার) ইত্যাদি। সর্বশেষ জুয়োয়েড, তথা নিউম্যাটোফোর, গ্যাসপূর্ণ একটি ভাসমান থলি গঠন করে অন্য জুয়োয়েডের অবলম্বন হিসেবে কাজ করে এবং ভাসমান সন্ত্রাস কলোনিকে ভেসে থাকতে ও চলাচলে সাহায্য করে। বস্তুত, থলিটি একটি পালের মতো কাজ করে, যার ফলে সামুদ্রিক বায়ুপ্রবাহ ও স্রোতের মাধ্যমে এরা ভেসে যেতে পারে। এদের দীর্ঘ টেন্টাকল পানিতে নিমজ্জিত থেকে খাবার শিকার করে এবং পরিপাককারী জুয়োয়েডের কাছে মৃত শিকারকে টেনে নিয়ে আসে।[৩৬][৩৭]

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভাসমান সন্ত্রাস (Physalia physalis) বা নীল বোতল (Physalia utriculus) জাপান, ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলীয় সমুদ্রসৈকতগুলোতে পাওয়া যায়, যাদের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় দশ হাজার পর্যটক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন।[৩৮] এই প্রজাতি ক্রান্তীয়, উপক্রান্তীয় এবং কখনো কখনো নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলসহ পৃথিবীর সমস্ত সামুদ্রিক এলাকায় পাওয়া যায়।[৯][৩৭]

শারীরতত্ত্ব ও অঙ্গসংস্থান সম্পাদনা

অন্য সকল সাইফনোফোরের মতো ভাসমান সন্ত্রাস কলোনি আকারে বসবাস করে। প্রতিটি ভাসমান সন্ত্রাসের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একক (জুয়োয়েড) গুচ্ছাকারে বায়ুপূর্ণ নিউম্যাটোফোরের নিচের দিকে অবস্থা করে।[৩৯] মুকুলোদ্গমের মাধ্যমে নতুন জুয়োয়েড সৃষ্টি হয় এবং কলোনি বৃদ্ধি পায়। ভাসমান সন্ত্রাসে অন্তত সাত ধরনের জুয়োয়েড বর্ণনা করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মেডুসয়েড ধরনের (গনোফোর, নেক্টোফোর ও ভেস্টিজিয়াল নেক্টোফোর) এবং চারটি পলিপয়েড ধরনের (মুক্ত গ্যাস্ট্রোজুয়োয়েড, টেন্টাকলবাহক জুয়োয়েড, গনোজুয়োয়েড ও গনোপ্যালপন)।[৪০] তবে গ্রন্থভেদে এই জুয়োয়েডগুলোর নাম ও শ্রেণিবিন্যাস ভিন্ন হয়ে থাকে। এগুলোর অধিকাংশের ভ্রূণতাত্ত্বিক ও বিবর্তনঘটিত সম্পর্ক এখনও অস্পষ্ট।[৯]

নিউম্যাটোফোর বা বায়ুথলি ভাসমান সন্ত্রাসের সবচেয়ে সুস্পষ্ট ও বৈশিষ্ট্যময় অংশ। এটি স্বচ্ছ ও ঈষৎ নীলচে, বেগুনি, গোলাপি বা রক্তবেগুনি রঙের হয়ে থাকে। এটি ৯ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার (+ থেকে ১২ ইঞ্চি) লম্বা এবং ১৫ সেমি (৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত পানির ওপরে ভাসমান থাকতে পারে। নিউম্যাটোফোর বা বায়ুথলি ভাসন ব্যবস্থা এবং চলাচল উভয়টিই নিয়ন্ত্রণ করে; যার কারণে বায়ুপ্রবাহের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ জৈব ব্যবস্থাটি স্থান পরিবর্তন করে।[৯][৩৯] বায়ুথলির গ্যাসের কিছু অংশ কার্বন মনোঅক্সাইড (০.৫–১৩%) যা প্রাণীর দেহে সক্রিয়ভাবে উৎপন্ন হয়। অবশিষ্ট অংশ অন্যান্য বায়বীয় গ্যাস (নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ও অন্যান্য নিষ্ক্রিয় গ্যাস), যা পরিবেষ্টিত বায়ু থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় প্রাণীদেহে প্রবেশ করে।[৪১] সমুদ্রপৃষ্ঠে কোনো প্রকার আক্রমণের শিকার হলে বায়ুথলি চুপসে যেতে পারে, যার মাধ্যমে পুরো কলোনি অস্থায়ীভাবে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বিপদ থেকে রক্ষা পায়।[৪২]

দুই ধরনের জুয়োয়েডের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভাসমান সন্ত্রাসের কলোনি শিকার করে ও খাদ্যের সংস্থান করে। দুই ধরনের জুয়োয়েড হলো: গ্যাস্ট্রোজুয়োয়েড ও টেন্টাকলবাহী জুয়োয়েড, যা ডাক্টাইলোজুয়োয়েড[৯] বা টেন্টাকুলার প্যালপন নামে পরিচিত। ডাক্টাইলোজুয়োয়েডে টেন্টাকল থাকে, যা সাধারণত ১০ মি (৩০ ফু) লম্বা হলেও, প্রায় ৩০ মি (১০০ ফু) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।[৪৩][৪৪] প্রতিটি টেন্টাকলে ক্ষুদ্র, প্যাঁচানো সুতার মতো কাঠামো থাকে, যাকে নেমাটোসিস্ট বলে। নেমাটোসিস্ট বিভিন্ন মাছ ও স্কুইডের লার্ভার সংস্পর্শে এসে খুলে যায় এবং দংশন করে বিষ ঢেলে দেয়। ফলে সেগুলো পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয় এবং অনেক সময় মারা যায়। প্রায় ১,০০০ সংখ্যার ভাসমান সন্ত্রাসের একটি বৃহৎ দলের কারণে মৎস্যসম্পদের ক্ষতি করে।[৪০][৪২] টেন্টাকলের সংকোচনের ফলে শিকার উপরে উঠে আসে এবং পরিপাককারী গ্যাস্ট্রোজুয়োয়েডের সংস্পর্শে আসে। গ্যাস্ট্রোজুয়োয়েড শিকারকে পরিবেষ্টন করে ও বিভিন্ন উৎসেচক নিঃসরণের মাধ্যমে খাদ্যকে পরিপাক করে।

এদের প্রধান জনন জুয়োয়েড গনোফোর, যা গনোড্রিয়া নামক কাঠামোয় অবস্থান করে। গনোফোর পুং ও স্ত্রীজননকোষ উৎপন্ন করে (জীবনচক্র দ্রষ্টব্য)। গনোফোরের পাশাপাশি প্রতিটি গনোডেন্ড্রনে অসংখ্য বিশেষায়িত জুয়োয়েড থাকে। যেমন: গনোজুয়োয়েড (আনুষঙ্গিক জুয়োয়েড), নেক্টোফোর (পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, এরা বিচ্ছিন্ন গনোডেন্ড্রনকে সাঁতার কাটতে সহায়তা করে) ও ভেস্টিজিয়াল নেক্টোফোর (জেলি পলিপও বলা হয়; এদের কাজ সম্পর্কে বেশি জানা যায় না)।[৯]

কলোনি সম্পাদনা

ভাসমান সন্ত্রাসকে কলোনিয়াল জীবিসত্তা হিসেবে বর্ণনা করা হয়। একটি কলোনির প্রতিটি জুয়োয়েড বিবর্তনমূলকভাবে হয় পলিপ অথবা মেডুসা, তথা নিডারিয়ানদের দেহের গঠনগত দুইটি মৌলিক তল থেকে উদ্ভূত হয়েছে।[৪৫][৪৬] উভয় কাঠামোই কলোনিবিহীন নিডারীয় প্রজাতিতে সম্পূর্ণ দেহ ধারণ করে (যেমন: একটি জেলিফিশ হলো একটিমাত্র মেডুসা; একটি সি অ্যানিমোন হলো একটিমাত্র পলিপ)। ভাসমান সন্ত্রাসের প্রতিটি জুয়োয়েড একটিমাত্র নিষিক্ত ডিম্বাণু থেকে সৃষ্টি হয়, যার কারণে সম্পূর্ণ কলোনি জিনগতভাবে একক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। এরা আজীবন দৈহিকভাবে পরস্পর সংলগ্ন থাকে এবং একটি দেহের অঙ্গসমূহের মতো কাজ করে। এইভাবে বাস্তুগত কারণে ভাসমান সন্ত্রাস একক জীবসত্তা হিসেবে কাজ করে। কিন্তু ভ্রূণতাত্ত্বিকভাবে এরা একাধিক স্বতন্ত্র জীবসত্তার সমন্বয়ে গঠিত।[৪৫]

বিস্তৃতি সম্পাদনা

বেশিরভাগ ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের সামুদ্রিক জলভাগে ভাসমান সন্ত্রাস দেখতে পাওয়া যায়।[৪৭][৪৮] ভাসমান সন্ত্রাস সমুদ্রের পৃষ্ঠে বসবাস করে। বায়ুপূর্ণ থলি বা নিউম্যাটোফোর সমুদ্রপৃষ্ঠে ভাসমান থাকে এবং বাকি অংশ পানিতে ডুবে থাকে।[৪৯] ভাসমান সন্ত্রাসের নিজস্ব চলনক্ষমতা নেই; এরা বাতাসের প্রবাহ, সমুদ্রের ঢেউ ও জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে নিষ্ক্রিয়ভাবে স্থানান্তরিত হয়।

বায়ুপ্রবাহের সাথে এরা উপসাগর বা সমুদ্রসৈকতে এসে পৌঁছায়। প্রায়শই দেখা যায়, একটি ভাসমান সন্ত্রাস দৃশ্যমান হওয়ার পর নিকটেই আরও ভাসমান সন্ত্রাস দৃশ্যমান হয়।[৪৩] টেন্টাকলের সংস্পর্শে যন্ত্রণাদায়ক দংশনের কারণে সৈকতগামী পর্যটকদের কাছে ভাসমান সন্ত্রাস খুবই পরিচিত।[৩৭] সৈকতে ভেসে আসা ভাসমান সন্ত্রাসের দংশনের কারণে সৈকত বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।[৫০][৫১]

প্রবাহগতি প্রক্রিয়া সম্পাদনা

খুব সহজে প্রাপ্ত হলেও সৈকতে পৌঁছার আগ পর্যন্ত ভাসমান সন্ত্রাস বা নীল বোতলের উৎস সম্পর্কে জানা যায় না; এমনকি সমুদ্রে এদের প্রবাহগতি প্রক্রিয়া সম্পর্কেও বেশি জানা যায় না।[৩৭]

বাম ও ডানমুখিতা সম্পাদনা

প্রতিটি ভাসমান সন্ত্রাস বা নীল বোতলের চূড়া বাম অথবা ডানমুখী হতে পারে (দ্বিরূপতা)। ধারণা করা হয়, সমগ্র প্রজাতি সৈকতে ভেসে গিয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য এই অভিযোজনমূলক ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে।[৫২][৫৩] বামমুখী ভাসমান সন্ত্রাস বাতাসের দিকের সাথে ডানে এবং পক্ষান্তরে ডানমুখী ভাসমান সন্ত্রাস বামে স্থানান্তরিত হয়। বায়ুপ্রবাহের ফলে দুই ধরনের ভাসমান সন্ত্রাস দুইটি ভিন্ন দিকে পরিচালিত হয়। ফলে নিদেনপক্ষে দলের অর্ধেক জনগোষ্ঠী সৈকতে পৌঁছে এবং মারা যায়।[৫২][৫৩] আটলান্টিক ভাসমান সন্ত্রাস ও নীল বোতলকে একই প্রজাতির সদস্য বলে গণ্য করা হয়। তবে আটলান্টিক ভাসমান সন্ত্রাসের আকার তুলনামূলক বড় এবং এদের শিকারের জন্য টেন্টাকলগুলোও লম্বা হয়। নীল বোতলের চূড়া বা পাল কদাচিৎ ১০ সেন্টিমিটারের বেশি লম্বা হয়; শিকারের টেন্টাকলগুলোর দৈর্ঘ্য ৩ মিটারের বেশি হয় না। সেই তুলনায় আটলান্টিক ভাসমান সন্ত্রাসের চূড়া বা পাল ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়, এমনকি ৩০ সেন্টিমিটার পালের ভাসমান সন্ত্রাসের নজিরও রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কলোনিতে একাধিক টেন্টাকল থাকে, যেগুলো পূর্ণ প্রসারিত অবস্থায় ৩০ মিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে।[৯][৩৭]

ভাসমান সন্ত্রাস কিছুটা অপ্রতিসম আকৃতির হয়ে থাকে। কলোনির জুয়োয়েডগুলো নিউম্যাটোফোর বা বায়ুথলির ঠিক মধ্য বরাবর অবস্থান করে ঝুলে না। কিন্তু মধ্যরেখার দুই পাশে অবস্থান করে। অনুগামী টেন্টাকলগুলো সি অ্যাংকরের মতো কাজ করে কলোনিকে ডানমুখিতা ও বামমুখিতার ওপর নির্ভর করে উভয় দিকেই বায়ুপ্রবাহের সাথে ৪৫° কোণে প্রবাহিত করে।[৫৪][৫৫] কলোনির দিকমুখিতাকে অভিপ্রয়াণের অংশ হিসেবে মনে করা হয়, যার ফলে এরা নির্দিষ্ট পথ অনুযায়ী গমন করে।[৫৪] পূর্বে ধারণা করা হতো কলোনি যখন যাতায়াত করে, তখন বায়ুপ্রবাহের দিকের ওপর ভিত্তি করে চূড়া গঠিত হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভাসমান সন্ত্রাসের জীবদ্দশার যে অংশে এরা সমুদ্রের নিচে নিমজ্জমান থাকে, তখন এদের চূড়া গঠিত হয়।[৯]

গাণিতিক মডেলিং সম্পাদনা

ভাসমান সন্ত্রাস বা নীল বোতলের সাঁতার কাটার অক্ষমতার কারণে এদের ওপরে ক্রিয়াশীল বলের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে অথবা মহাসাগরীয়বায়ুমণ্ডলীয় প্রবাহে কণার স্থানান্তর মডেল ব্যবহার করে গাণিতিকভাবে এদের গতিপথের মডেলিং করা যায়। এর পূর্বে সমুদ্রসৈকতে এদের অবস্থানের প্রধান প্রধান ঘটনা ব্যাখ্যার জন্য ল্যাংরাঞ্জিয়ান কণিকা অনুসরণ মডেল ব্যবহার করা হয়। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ফেরার ও পাস্তর বাস্ক উপকূলে ভাসমান সন্ত্রাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমাগমের উৎস সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম হন।[৫৬] তারা সময়ের বিপরীত দিকে বায়ুপ্রবাহের গতি ব্যবহার করে একটি ল্যাংরাঞ্জিয়ান মডেল পরিচালনা করেন, যাতে ভাসমান সন্ত্রাসের গতির জন্য একটি বায়ুর টান সহগ ব্যবহার করেন। তারা দেখতে পান এদের উৎস ছিল উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের উপক্রান্তীয় ঘূর্ণি অঞ্চল[৫৬] ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রিয়েটো ও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের সৈকতে ভাসমান সন্ত্রাস অবস্থানের প্রধান ঘটনা ব্যাখ্যায় সমুদ্রপৃষ্ঠীয় স্রোত উভয়টিই গ্রহণ করেন।[৫৭] এই মডেল তারা ধারণা করেন যে ভাসমান সন্ত্রাসেরা পৃষ্ঠীয় স্রোতের প্রভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যার সাথে প্রায় ১০ শতাংশের মতো উচ্চমাত্রার বায়ুর টান সহগ ক্রিয়া করে। একইভাবে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে হেডল্যাম ও অন্যান্য কয়েকজন বিজ্ঞানী ১৫০ বছরের মধ্যে আয়ারল্যান্ডের তটরেখায় ভাসমান সন্ত্রাসের সর্বোচ্চ সমাবেশ থেকে পৃষ্ঠীয় স্রোত ও বায়ুর টানের সাহায্যে এদের উৎস নির্ণয় করেন।[৫৮][৩৭] এই সমস্ত গবেষণায় জীবসত্তার গতিপথ নির্ণয়ে সাধারণ অনুমাননির্ভর পদ্ধতির পাশাপাশি সরল গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে জটিল প্রবাহগতি হিসাবের বাইরে ছিল। ২০২১ সালে লি ও অন্যান্য বিজ্ঞানীরা নীল বোতল ও পালতোলা নৌকাকে সদৃশ ধরে নিয়ে ল্যাংরাঞ্জিয়ান মডেলভিত্তিক একটি পরামিতিক সমীকরণ উপস্থাপন করেন। এর মাধ্যমে তারা নীল বোতলের ওপর ক্রিয়াশীল জলগতীয় ও বায়ুগতীয় বল নির্ণয় করে এবং একটি সাম্যাবস্থা ধরে নিয়ে বায়ু ও সমুদ্রের স্রোতের ওপর ভিত্তি করে জীবসত্তার প্রবাহগতির বেগ ও প্রবাহের দিক নির্ণয় করার সাধারণ মডেল তৈরি করেন।[৩৭]

বাস্তুতন্ত্র সম্পাদনা

শিকারি ও শিকার সম্পাদনা

ভাসমান সন্ত্রাস একটি মাংসাশী জীবসত্তা।[৪৩] বিষাক্ত টেন্টাকল ব্যবহার করে এরা শিকারকে ফাঁদে ফেলে ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে পৌষ্টিক পলিপের কাছে নিয়ে আসে। এরা সাধারণত ছোট ছোট মাছ, প্লাঙ্কটন ও কখনো কখনো চিংড়ির মতো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সামুদ্রিক জীব ভক্ষণ করে থাকে।

 
ভাসমান সন্ত্রাস মাছ

গুটিকয়েক শিকারি এই জীবসত্তাকে শিকার করে থাকে। এদের মধ্যে রয়েছে মুগুরমাথা সাগর কাছিম, যাদের খাদ্যাভ্যাসের একটি বড় অংশই হলো ভাসমান সন্ত্রাস।[৫৯] এই প্রজাতির কাছিমের ত্বক, বিশেষ করে জিহ্বা ও গলার চামড়া এত পুরু যে ভাসমান সন্ত্রাসের হুল এদের চামড়া ভেদ করে ঢুকতে পারে না। এছাড়া নীল রঙের সামুদ্রিক স্লাগ গ্লকাস আটলান্টিকাস[৬০] ও বেগুনি শামুক জ্যান্থিনা জ্যান্থিনা ভাসমান সন্ত্রাসদের ভক্ষণের জন্য বিশেষায়িত।[৬১] পূর্বে ধারণা করা হতো ওশান সানফিশ শুধুমাত্র জেলিফিশ খেয়ে থাকে; কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় এরা বিভিন্ন প্রজাতির জীব ভক্ষণ করে, যার মধ্যে ভাসমান সন্ত্রাস অন্যতম।[৬২][৬৩]

কম্বল অক্টোপাস ভাসমান সন্ত্রাসের বিষের বিরুদ্ধে অনাক্রম্য। শিশু অবস্থায় ভাসমান সন্ত্রাসের ভাঙা টেন্টাকল বহন করতে দেখা যায়,[৬৪] যা পুরুষ ও অপরিণত স্ত্রী প্রাণী আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা কাজে ব্যবহার করে।[৬৫]

বহিঃস্থ ভিডিও
  How Portuguese Man O' War stings and eats prey (ইংরেজি)
ব্লু প্ল্যানেট ২

ভাসমান সন্ত্রাস মাছ (নোমিয়াস গ্রনোভিয়ি) হলো আটলান্টিক, প্রশান্তভারত মহাসাগরের একটি মাছ। ভাসমান সন্ত্রাসের টেন্টাকলের মধ্যে বাস করার জন্য এরা সুপরিচিত। এরা ভাসমান সন্ত্রাসের টেন্টাকল ও গোনাড ভক্ষণ করে থাকে। সাগর কুসুমের মধ্যে বসবাসকারী ক্লাউনফিশের মতো পিচ্ছিল মিউকাস ক্ষরণ না করে দক্ষতার সাথে সাঁতরে নেমাটোসিস্ট থেকে সুরক্ষিত থাকে।[৬৬][৬৭] এই মাছের মেরুদণ্ডে কশেরুকার সংখ্যা বেশি (৪১), যা এদের সাঁতারের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রভাব রাখে।[৬৭] প্রাথমিকভাবে এরা বক্ষপাখনা দিয়ে সাঁতরায়; এই বিশেষায়িত বৈশিষ্ট্যের ফলে এরা সংকুচিত জায়গায় সহজে সাঁতরাতে পারে। এদের ত্বকের গঠন জটিল প্রকৃতির এবং এদের দেহে ভাসমান সন্ত্রাসের বিষের জন্য অন্তত একটি হলেও অ্যান্টিজেন থাকে।[৬৭] অন্যান্য মাছের তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি বিষ সহনশীল মনে হয় ডাক্টাইলোজুয়োয়েড (বৃহৎ টেন্টাকল) কর্তৃক এরা আক্রান্ত হয়। তাই এরা এই ধরনের টেন্টাকলগুলো এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করে।[৬৬] ক্ষুদ্র গনোজুয়োয়েড সম্ভবত এদের দংশন করে না; এমনকি এই প্রজাতির মাছেদের প্রায়শই ছোট ছোট টেন্টাকলে ঠোকরাতে দেখা যায়।[৬৬]

কমেনসেলিজম ও মিথোজীবিতা সম্পাদনা

ভাসমান সন্ত্রাসকে আরও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের সাথে পাওয়া যায়; বিশেষত ইয়েলো জ্যাক নামক মাছের সাথে। এরা ভাসমান সন্ত্রাসের দংশন টেন্টাকলের মাধ্যমে আত্মরক্ষা লাভ করে এবং এই ধরনের মাছের উপস্থিতির কারণে ভাসমান সন্ত্রাস শিকারের জন্য অন্য মাছকে আকৃষ্ট করতে পারে।[৬৮]

জীবনচক্র সম্পাদনা

প্রতিটি ভাসমান সন্ত্রাস সত্তা যৌন দ্বিরূপ, অর্থাৎ পুরুষ ও স্ত্রী কলোনি আলাদা।[৩৯][৯] কলোনির লিঙ্গভেদে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু উৎপাদনকারী গনোফোর গনোডেন্ড্রন নামক কাঠামোর ওপরে অবস্থান করে, যা জননকালে কলোনি থেকে পৃথক হয়ে যায়।[৯] সাধারণত শরৎকালে গনোফোর থেকে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু মুক্ত হয় এবং যৌন মিলন সম্পন্ন হয়।[৩৯] এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে নিষেক ও প্রাথমিক গঠন পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব না হওয়ায়, সমুদ্রের কোন গভীরতায় এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন হয়, তা জানা যায় না।[৯]

ভাসমান সন্ত্রাসের নিষিক্ত ডিম লার্ভায় পরিণত হয়, যা থেকে আরও জুয়োয়েড উৎপন্ন হয় এবং কলোনি গঠন করে। এই প্রক্রিয়া সাধারণত পানির গভীরে সংঘটিত হয়। সমুদ্র থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন দশায় বিভিন্ন লার্ভা বিশ্লেষণ করে ধাপগুলো অনুমান করা হয়েছে।[৯] কলোনির সর্বপ্রথম আবির্ভূত হওয়া অংশ দুইটি হচ্ছে এদের ভাসন পাল বা চূড়া (নিউম্যাটোফোর) এবং প্রোটোজুয়োয়েড নামক কিছু প্রাথমিক পৌষ্টিক জুয়োয়েড। পরবর্তীতে গ্যাস্ট্রোজুয়োয়েড ও টেন্টাকলবাহী জুয়োয়েডের আবির্ভাব হয়। ধীরে ধীরে নিউম্যাটোফোর সমগ্র অপরিপক্ব কলোনিকে ভাসিয়ে রাখার মতো সক্ষম হলে এরা সমুদ্রপৃষ্ঠে উঠে আসে।[৯]

বিষাক্ততা সম্পাদনা

 
ইলাস্ট্রেশন অব ফাইসেলিয়া ফাইসেলিস, ১৮০৭

বিষপূর্ণ নেমাটোসিস্টে সমৃদ্ধ টেন্টাকলের সংস্পর্শে এলে ছোট মাছ ও অন্যান্য শিকারের দেহে নেমাটোসিস্ট বিদ্ধ হয় এবং বিষের প্রভাবে শিকার পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে।[৬৯] সৈকতে ভেসে আসা মৃত জীব বা বিচ্ছিন্ন টেন্টাকলের দংশন পানিতে থাকা পূর্ণাঙ্গ কলোনির টেন্টাকলের দংশনের মতোই বেদনাদায়ক। মৃত্যু বা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর পর্যন্ত এদের বিষ কার্যকর থাকে।[৭০]

ভাসমান সন্ত্রাসের টেন্টাকলের সংস্পর্শে এলে দংশনের ফলে বিষক্রিয়ায় প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং চাবুকের আঘাতের মতো লাল দাগ পড়ে, যা প্রাথমিক সংস্পর্শের দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। দংশনের ফলে ব্যথা ব্যক্তিভেদে এক থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে উপশম হয়ে যায়। তবে, ভাসমান সন্ত্রাসের বিষ লসিকা গ্রন্থি পর্যন্ত সংবাহিত হয়ে অ্যালার্জির অনুরূপ লক্ষণ দেখা যেতে পারে; যেমন: স্বরযন্ত্রের স্ফীতি, শ্বাসতন্ত্রের অবরুদ্ধভাব, হৃদযন্ত্রের অস্থিরতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুবিধা প্রভৃতি। এছাড়া অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর ও শক, এমনকি সবচেয়ে খারাপ ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটতে পারে।[৭১] তবে, ভাসমান সন্ত্রাসের টেন্টাকলের দংশনে মৃত্যুর ঘটনা খুবই বিরল। বিপুল সংখ্যক টেন্টাকলের সংস্পর্শে এলে তিন ঘণ্টার বেশি স্থায়ী তীব্র ব্যথা উপশমের জন্য ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা উপশমের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হতে পারে। ছোট শিশুর ক্ষেত্রে টেন্টাকল সম্পূর্ণ পা পেঁচিয়ে ধরলে মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে।[৭২]

এই প্রজাতি জীবের থেকে প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ১০,০০০ মানুষকে দংশনের ঘটনা ঘটে। এগুলোর বেশিরভাগই অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে ঘটে থাকে; পাশাপাশি দক্ষিণপশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় কিছু কিছু দংশনের ঘটনা ঘটে থাকে।[৭৩]

দংশনের চিকিৎসা সম্পাদনা

ভাসমান সন্ত্রাসের দংশনের ফলে মানবদেহে তীব্র ডার্মাটাইটিস দেখা দেয়, যা চাবুকের আঘাতের মতো লম্বা, সরু ও উন্মুক্ত ক্ষত হিসেবে দেখা যায়।[৭৪] টেন্টাকলের সংস্পর্শের প্রভাব বা কেটে যাওয়ার কারণে এই লক্ষণ দেখা যায় না, বরং টেন্টাকলের ছুলিজাতীয় চুলকানি সৃষ্টিকারী পদার্থের কারণে দেখা দেয়।[৭৫][৭৬] ক্ষতস্থানে পর্যাপ্ত পরিমাণ সমুদ্রের পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে গায়ে লেগে থাকে অবশিষ্ট টেন্টাকলগুলো সরে যায়।[৭২][৭৭][৭৮][৭৯]

অ্যাসিটিক অ্যাসিড (ভিনেগার) ব্যবহারে নেমাটোসিস্ট নিষ্ক্রিয় হয় এবং ব্যথা কিছুটা প্রশমিত হয়।[৭২] কিন্তু বিচ্ছিন্নভাবে কিছু গবেষণায় দেখা যায়, কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ভিনেগার নেমাটোসিস্টের বিষপ্রয়োগের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং লক্ষণগুলো আরও তীব্র হয়।[৭৭][৮০] ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রজাতির নিডোসাইটের দংশনের পর ভিনেগারের ব্যবহার রক্তক্ষরণ বৃদ্ধি করে বলেও জানা যায়।[৮১]

২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে একটি গবেষণায় ভাসমান সন্ত্রাসের দংশনের পর লঘুকরণহীন ভিনেগার বা দংশনের বিশেষায়িত স্প্রে “স্টিং নো মোর স্প্রে” ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।[৮২] ভিনেগার বা স্প্রে প্রয়োগের পরপরই ৪৫ °সে (১১৩ °ফা) তাপমাত্রার পানিতে ক্ষতস্থান চুবাতে হবে কিংবা ৪৫ মিনিটের জন্য হট প্যাক প্রয়োগ করতে হবে।[৮২][৮৩]

চিত্রশালা সম্পাদনা

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ল্যামার্ক, জে. বি. (১৮০১)। Système des animaux sans vertèbres, ou tableau général des classes, des ordres et des genres de ces animaux; Présentant leurs caractères essentiels et leur distribution, d'apres la considération de leurs rapports naturels et de leur organisation, et suivant l'arrangement établi dans les galeries du Muséum d'Histoire Naturelle, parmi leurs dépouilles conservées; Précédé du discours d'ouverture du Cours de Zoologie, donné dans le Muséum National d'Histoire Naturelle l'an 8 de la République (গবেষণাপত্র) (ফরাসি ভাষায়)। লেখক ও ডিটারভিলে (প্যারিস) কর্তৃক প্রকাশিত: পৃষ্ঠা viii + ৪৩২। পৃষ্ঠা ৩৫৫। ২৭ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. ব্রান্ট, ইয়োহান ফ্রিডরিশ (১৮৩৪–১৮৩৫)। "Prodromus descriptionis animalium ab H. Mertensio in orbis terrarum circumnavigatione observatorum. Fascic. I., Polypos, Acalephas Discophoras et Siphonophoras, nec non Echinodermata continens"Recueil Actes des séances publiques de l'Acadadémie impériale des Science de St. Pétersbourg 1834: ২৩৬। ১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. শুশার্ট, পি. (২০১৯)। "World Hydrozoa Database. Physaliidae Brandt, 1835"ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অব মেরিন স্পিসিজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৯ 
  4. শুশার্ট, পি. (২০১৯)। "World Hydrozoa Database. Physalia Lamarck, 1801"ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অব মেরিন স্পিসিজ (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৯ 
  5. শুশার্ট, পি. (২০১৯)। "Physalia physalis (Linnaeus, 1758)"ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অব মেরিন স্পিসিজ (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়ার্ল্ড হাইড্রোজোয়া ডাটাবেজ। ২৭ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৯ 
  6. "Portuguese man-of-war" অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনারি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস।  (Sসাবস্ক্রিপশন বা পার্টিশিপেটিং ইনস্টিটিউট মেম্বারশিপ প্রয়োজনীয়.)
  7. "Blue bottle jellyfish back on Mumbai's Juhu beach, experts warn visitors to avoid contact"দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ আগস্ট ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২১ 
  8. "Physalia Lamarck, 1801"ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার অব মেরিন স্পিসিজ। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২১ 
  9. মুনরো, ক্যাটরিওনা; ভ্যু, জের; বেহরিঙ্গার, রিচার্ড আর; ডুন, ক্যাসি ডব্লিউ (২৯ অক্টোবর ২০১৯)। "Morphology and development of the Portuguese man of war, Physalia physalis"সায়েন্টিফিক রিপোর্টস (ইংরেজি ভাষায়)। স্প্রিঙ্গার সায়েন্স অ্যান্ড বিজনেস মিডিয়া এলএলসি। (১): ১৫৫৫২২। আইএসএসএন 2045-2322ডিওআই:10.1038/s41598-019-51842-1পিএমআইডি 31664071পিএমসি 6820529 বিবকোড:2019NatSR...915522M    উপাদানটি এই উৎস থেকে অনুলিপি করা হয়েছে, যা ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন ৪.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সের অধীনে উপলব্ধ।
  10. গ্রিন, থমাস এফ। মেরিন সায়েন্স টেক্সটবুক 
  11. মিলওয়ার্ড, ডেভিড (৮ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Surge in number of men o'war being washed up on beaches"দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  12. জাইৎসেভ ওয়াই, লিস পি (১৯৯৭)। "Neuston of seas and oceans"। ডিউস আর। দ্য সি সারফেস অ্যান্ড গ্লোবাল চ্যাঞ্জ (ইংরেজি ভাষায়)। ক্যামব্রিজ নিউ ইয়র্ক: ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। আইএসবিএন 978-0-521-01745-9ওসিএলসি 847978750 
  13. প্রাইটো, এল; ম্যাকআইয়াস, ডি; পেলিজ, এ; রুইজ, জে (২০১৫)। "Portuguese Man-of-War (Physalia physalis) in the Mediterranean: A permanent invasion or a casual appearance?"সায়েন্টিফিক রিপোর্টস (ইংরেজি ভাষায়)। : ১১৫৪৫। ডিওআই:10.1038/srep11545পিএমআইডি 26108978পিএমসি 4480229 বিবকোড:2015NatSR...511545P 
  14. ক্লার্ক, এফ ই; লেন, সি ই (১৯৬১)। "Composition of Float Gases of Physalia physalis"। এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি অ্যান্ড মেডিসিন (ইংরেজি ভাষায়)। ১০৭ (৩): ৬৭৩–৬৭৪। এসটুসিআইডি 2687386ডিওআই:10.3181/00379727-107-26724পিএমআইডি 13693830 
  15. আইয়োসিলেভস্কি, জি; ওয়েইহস, ডি (২০০৯)। "Hydrodynamics of sailing of the Portuguese man-of-war Physalia physalis"জার্নাল অব দ্য রয়েল সোসাইটি ইন্টারফেস (ইংরেজি ভাষায়)। (৩৬): ৬১৩–৬২৬। ডিওআই:10.1098/rsif.2008.0457পিএমআইডি 19091687পিএমসি 2696138  
  16. ম্যাপস্টোন, গিলিয়ান এম (২০১৪)। "Global Diversity and Review of Siphonophorae (Cnidaria: Hydrozoa)"প্লস ওয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। (২): ই৮৭৭৩৭। ডিওআই:10.1371/journal.pone.0087737 পিএমআইডি 24516560পিএমসি 3916360 বিবকোড:2014PLoSO...987737M 
  17. মুনরো, ক্যাটরিওনা; সাইবার্ট, স্টিফ্যান; জাপাতা, ফেলিপে; হাউইসন, মার্ক; ডেমিয়ান-সেরানো, আলেইয়ান্দ্রো; চার্চ, স্যামুয়েল এইচ; গোয়েৎস, ফ্রেয়া ই; পাঘ, ফিলিপ আর; হ্যাডক, স্টিভেন এইচ ডি; ডুন, ক্যাসি ডব্লিউ (২০১৮)। "Improved phylogenetic resolution within Siphonophora (Cnidaria) with implications for trait evolution"মলিকিউলার ফাইলোজেনেটিক্স অ্যান্ড ইভোলিউশন (ইংরেজি ভাষায়)। ১২৭: ৮২৩–৮৩৩। ডিওআই:10.1016/j.ympev.2018.06.030পিএমআইডি 29940256পিএমসি 6064665  
  18. পাঘ, পি আর (১৯৮৪)। "The diel migrations and distributions within a mesopelagic community in the North East Atlantic. 7. Siphonophores"। প্রগ্রেস ইন ওশানোগ্রাফি১৩ (৩–৪): ৪৬১–৪৮৯। ডিওআই:10.1016/0079-6611(84)90016-8বিবকোড:1984PrOce..13..461P 
  19. ডুন, ক্যাসি ডব্লিউ; পাঘ, ফিলিপ আর; হ্যাডক, স্টিভেন এইচ ডি (২০০৫)। "Molecular Phylogenetics of the Siphonophora (Cnidaria), with Implications for the Evolution of Functional Specialization"। সিস্টেমেটিক বায়োলজি (ইংরেজি ভাষায়)। ৫৪ (৬): ৯১৬–৯৩৫। ডিওআই:10.1080/10635150500354837পিএমআইডি 16338764 
  20. ম্যাককি, জি ও; পাঘ, পি আর; পারসেল, জে ই (১৯৮৮)। সাইফনোফোর বায়োলজি। অ্যাডভান্সেস ইন মেরিন বায়োলজি। ২৪। পৃষ্ঠা ৯৭–২৬২। আইএসবিএন 9780120261246ডিওআই:10.1016/S0065-2881(08)60074-7 
  21. আরায়া, জুয়ান ফ্রান্সিসকো; আলিয়াগা, জুয়ান অ্যান্টনিও; আরায়া, মার্টা এস্থার (২০১৬)। "On the distribution of Physalia physalis (Hydrozoa: Physaliidae) in Chile"। মেরিন বায়োডাইভার্সিটি (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৬ (৩): ৭৩১–৭৩৫। এসটুসিআইডি 2646975ডিওআই:10.1007/s12526-015-0417-6 
  22. কোপল্যান্ড, ডি ইউজিন (১৯৬৮)। "Fine Structures of the Carbon Monoxide Secreting Tissue in the Float of Portuguese Man-of-War (Physalia physalis L.)"বায়োলজিক্যাল বুলেটিন (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩৫ (৩): ৪৮৬–৫০০। জেস্টোর 1539711ডিওআই:10.2307/1539711 
  23. হেরিং, পিটার জে (১৯৭১)। "Biliprotein coloration of Physalia physalis"। কমপ্যারাটিভ বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড ফিজিওলজি পার্ট বি: কমপ্যারাটিভ বায়োকেমিস্ট্রি (ইংরেজি ভাষায়)। ৩৯ (৪): ৭৩৯–৭৪৬। ডিওআই:10.1016/0305-0491(71)90099-X 
  24. লেন, চার্লস ই (২০০৬)। "The Toxin of Physalia Nematocysts"। অ্যানালস অব দ্য নিউ ইয়র্ক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস (ইংরেজি ভাষায়)। ৯০ (৩): ৭৪২–৭৫০। এসটুসিআইডি 44654850ডিওআই:10.1111/j.1749-6632.1960.tb26418.xপিএমআইডি 13758711 
  25. ল্যারিমার, জেমস এল; অ্যাশবি, ইবার্ট এ (১৯৬২)। "Float gases, gas secretion and tissue respiration in the Portuguese man-of-war,Physalia"। জার্নাল অব সেলুলার অ্যান্ড কমপ্যারাটিভ ফিজিওলজি (ইংরেজি ভাষায়)। ৬০: ৪১–৪৭। ডিওআই:10.1002/jcp.1030600106 
  26. টটন, এ কে; ম্যাককি, জি ও (১৯৫৬)। "Dimorphism in the Portuguese Man-of-War"। নেচার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭৭ (৪৫০২): ২৯০। এসটুসিআইডি 4296257ডিওআই:10.1038/177290b0বিবকোড:1956Natur.177..290T 
  27. উইলসন, ডগলাস পি (১৯৪৭)। "The Portuguese Man-of-War, Physalia Physalis L., in British and Adjacent Seas" (পিডিএফ)জার্নাল অব দ্য মেরিন বায়োলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অব দি ইউনাইটেড কিংডম (ইংরেজি ভাষায়)। ২৭ (১): ১৩৯–১৭২। ডিওআই:10.1017/s0025315400014156পিএমআইডি 18919646 
  28. উইটেনবার্গ, জোনাথন বি (১৯৬০)। "The Source of Carbon Monoxide in the Float of the Portuguese Man-of-War, Physalia Physalis L"। জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি (ইংরেজি ভাষায়)। ৩৭ (৪): ৬৯৮–৭০৫। ডিওআই:10.1242/jeb.37.4.698 
  29. উইটেনবার্গ, জে বি; নরোনহা, জে এম; সিলভারম্যান, এম (১৯৬২)। "Folic acid derivatives in the gas gland of Physalia physalis L"বায়োকেমিক্যাল জার্নাল (ইংরেজি ভাষায়)। ৮৫: ৯–১৫। ডিওআই:10.1042/bj0850009পিএমআইডি 14001411পিএমসি 1243904  
  30. উডকক, এ এইচ (১৯৫৬)। "Dimorphism in the Portuguese Man-of-War"। নেচার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭৮ (৪৫২৭): ২৫৩–২৫৫। এসটুসিআইডি 4297968ডিওআই:10.1038/178253a0বিবকোড:1956Natur.178..253W 
  31. ইয়ানাগিহারা, অ্যাঞ্জেল এ (২০০২)। "The ultrastructure of nematocysts from the fishing tentacle of the Hawaiian bluebottle, Physalia utriculus (Cnidaria, Hydrozoa, Siphonophora)"। হাইড্রোবায়োলজিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৮৯: ১৩৯–১৫০। এসটুসিআইডি 603421ডিওআই:10.1023/A:1023272519668 
  32. বার্ডি, জে; মার্কেস, এ সি (২০০৭)। "Taxonomic redescription of the Portuguese man-of-war, Physalia physalis (Cnidaria, Hydrozoa, Siphonophorae, Cystonectae) from Brazil"। Iheringia Ser. Zool (ইংরেজি ভাষায়)। ৯৭: ৪২৫–৪৩৩। 
  33. ম্যাককি, জি ও (১৯৬০)। "Studies on Physalia physalis (L.). Part 2. Behavior and histology"। ডিস্কভারি রিপোর্টস (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০: ৩৭১–৪০৭। 
  34. ওকাদা, ওয়াই কে (১৯৩২)। "Développement post-embryonnaire de la Physalie Pacifique"। Mem. Coll. Sci. Kyoto Imp. Univ., Ser. B, Biol: ১–২৭। 
  35. টটন, এ কে (১৯৬০)। "Studies on Physalia physalis (L.). Part 1. Natural history and morphology"। ডিস্কভারি রিপোর্টস (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০: ৩০১–৩৬৮। 
  36. টটন, এ; ম্যাককি, জি (১৯৬০)। "Studies on Physalia physalis"। ডিস্কভারি রিপোর্টস (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০: ৩০১–৪০৭। 
  37. লি, ডেনিয়েল; শ্যাফার, আমানডাইন; গ্রিসকাম্প, সিয়ির্ড (১ অক্টোবর ২০২১)। ওশান সায়েন্স (ইংরেজি ভাষায়)। কোপার্নিকাস জিএমবিএইচ। ১৭ (৫): ১৩৪১–১৩৫১। আইএসএসএন 1812-0792ডিওআই:10.5194/os-17-1341-2021  অজানা প্যারামিটার |শিরোনামtitle= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  38. ড, এস; লেউইস, জে; কুনি, এন; এলিস, এ; স্ত্রাসিওত্তো, এল (২০২০)। "National Coastal Safety Report"। Technical report: Surf Life Saving Australia (ইংরেজি ভাষায়)। 
  39. "Physalia physalis, Portuguese man-of-war"অ্যানিমেল ডাইভার্সিটি ওয়েব (ইংরেজি ভাষায়)। মিউজিয়াম অব জুয়োলজি, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  40. বার্ডি, জুলিয়ানা; মার্কুয়িস, অ্যান্টোনিয়ো সি (২০০৭)। "Taxonomic redescription of the Portuguese man-of-war, Physalia physalis (Cnidaria, Hydrozoa, Siphonophorae, Cystonectae) from Brazil" (পিডিএফ)ইহেরিঙ্গিয়া সেরি জুলোজিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রাজিল: ফুন্দাসাঁও জুবোতানিকা দো রিয়ো গ্রান্দি দো সুল। ৯৭ (৪): ৪২৫–৪৩৩। আইএসএসএন 1678-4766ডিওআই:10.1590/S0073-47212007000400011 । ২৯ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  41. উইটেনবার্গ, জোনাথান বি (১২ জানুয়ারি ১৯৬০)। "The Source of Carbon Monoxide in the Float of the Portuguese Man-of-War, Physalia physalis L" (পিডিএফ)জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি (ইংরেজি ভাষায়)। ৩৭ (৪): ৬৯৮–৭০৫। আইএসএসএন 0022-0949ডিওআই:10.1242/jeb.37.4.698। ৪ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ 
  42. "Portuguese Man-of-War"ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক অ্যানিম্যালসন্যাশনাল জিওগ্রাফিক। ১১ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২১ 
  43. "Portuguese Man-of-War" (ইংরেজি ভাষায়)। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি। ২৩ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০০৮ 
  44. এনওএএ (২৭ জুলাই ২০১৫)। "What is a Portuguese Man o' War?"ন্যাশনাল ওশান সার্ভিস (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬Updated 10 October 2017 
  45. ডুন, ক্যাসি। "Colonial organization"সাইফনোফোরস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  46. "Polyp and medusa body shapes"তে আরা, দি এনসাইক্লোপিডিয়া অব নিউজিল্যান্ড (ইংরেজি ভাষায়)। মানাতু টাওঙ্গা/সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য মন্ত্রণালয়, ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ 
  47. "What is a Portuguese Man o' War?" (ইংরেজি ভাষায়)। এনওএএ। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২০ 
  48. "Portuguese Man-O'-War" (ইংরেজি ভাষায়)। ব্রিটিশ সি ফিশিং। ২৪ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২০ 
  49. ক্লার্ক, এফ ই (১৯৬১)। "Composition of float gases of Physalia physalis"। প্রসিডিংস অব দ্য সোসাইটি ফর এক্সপেরিমেন্টাল বায়োলজি অ্যান্ড মেডিসিন (ইংরেজি ভাষায়)। ১০৭ (৩): ৬৭৩–৬৭৪। এসটুসিআইডি 2687386ডিওআই:10.3181/00379727-107-26724পিএমআইডি 13693830  একের অধিক |লেখক1= এবং |শেষাংশ= উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
  50. "Dangerous jellyfish wash up"বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ আগস্ট ২০০৮। ২০১১-০৫-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ /
  51. "Man-of-war spotted along coast in Cornwall and Wales" (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ৫ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৮ 
  52. টটন, এ.; ম্যাকি, জি. (১৯৬০)। "Studies on Physalia physalis"। ডিসকভারি রিপোর্টস (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০: ৩০১–৪০। 
  53. উডকক, এ. এইচ. (১৯৪৪)। "A theory of surface water motion deduced from the wind-induced motion of the Physalia"। জার্নাল অব মেরিন রিসার্চ (ইংরেজি ভাষায়)। : ১৯৬–২০৫। 
  54. উডকক, এ. এইচ. (১৯৫৬)। "Dimorphism in the Portuguese man-of-war"নেচার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭৮ (৪৫২৭): ২৫৩–২৫৫। এসটুসিআইডি 4297968ডিওআই:10.1038/178253a0বিবকোড:1956Natur.178..253W 
  55. আয়োসিলেবস্কি, জি.; ওয়েইস, ডি. (২০০৯)। "Hydrodynamics of sailing of the Portuguese man-of-war Physalia physalis"জার্নাল অব দ্য রয়েল সোসাইটি ইন্টারফেস (ইংরেজি ভাষায়)। (৩৬): ৬১৩–৬২৬। ডিওআই:10.1098/rsif.2008.0457পিএমআইডি 19091687পিএমসি 2696138  
  56. ফেরার, লুই; পাস্তর, অ্যান (২০১৭)। "The Portuguese man-of-war: Gone with the wind"। রিজিওনাল স্টাডিজ ইন মেরিন সায়েন্স১৪: ৫৩–৬২। ডিওআই:10.1016/j.rsma.2017.05.004 
  57. প্রিয়েটো, এল; মাচিয়াস, ডি; পেলিজ, এ; রুইজ, জে (২৫ জুন ২০১৫)। "Portuguese Man-of-War (Physalia physalis) in the Mediterranean: A permanent invasion or a casual appearance?"। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস (ইংরেজি ভাষায়)। স্প্রিঙ্গার সায়েন্স অ্যান্ড বিজনেস মিডিয়া এলএলসি। (১)। আইএসএসএন 2045-2322ডিওআই:10.1038/srep11545 
  58. হেডল্যাম, জেসমিন এল; লায়নস, কাইরান; কেনি, জন; লেনিহান, ইমন এস; কুইগলি, ডেকলান টি জি; হেল্পস, উইলিয়াম; ডুগন, মাইকেল এম; ডয়েল, থমাস কে (২০২০)। "Insights on the origin and drift trajectories of Portuguese man of war (Physalia physalis) over the Celtic Sea shelf area"। এস্টুয়ারাইন, কোস্টাল অ্যান্ড শেলফ সায়েন্স (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪৬: ১০৭০৩৩। এসটুসিআইডি 224908448ডিওআই:10.1016/j.ecss.2020.107033বিবকোড:2020ECSS..24607033H 
  59. ব্রডি (১৯৮৯)। ভেনমাস অ্যানিমালস। ওয়েস্টার্ন পাবলিশিং কোম্পানি। 
  60. স্কচ্চি, কার্লা; উড, জেমস বি। "Glaucus atlanticus, Blue Ocean Slug" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য সেফালোপড পেজ। ২০১৭-১০-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  61. মরিসন, স্যু; স্টোরি, আন (১৯৯৯)। ওয়ান্ডার্স অব ওয়েস্টার্ন ওয়াটার্স: দ্য মেরিন লাইফ অব সাউথ-ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াসংরক্ষণ ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া সরকার। পৃষ্ঠা ৬৮। আইএসবিএন 978-0-7309-6894-8 
  62. সুসা, লারা এল; হাভিয়ের, রাকেল; কস্তা, ভানিয়া; হামফ্রিস, নিকোলাস ই.; ট্রুম্যান, ক্লাইভ; রোজা, রুই; সিমস, ডেভিড ডব্লিউ.; কুয়েইরোজ, নুনো (৪ জুলাই ২০১৬)। "DNA barcoding identifies a cosmopolitan diet in the ocean sunfish"সায়েন্টিফিক রিপোর্টস (১): ২৮৭৬২। ডিওআই:10.1038/srep28762পিএমআইডি 27373803পিএমসি 4931451 বিবকোড:2016NatSR...628762S 
  63. "Portuguese Man o' War", ওশিয়ানা.অর্গ (ইংরেজি ভাষায়), ওশিয়ানা, ৩ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৭ 
  64. "ট্রেমোক্টোপাস"। টোলওয়েব.অর্গ। ২৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০০৯ 
  65. জোন্স, ই.সি. (১৯৬৩)। "Tremoctopus violaceus uses Physalia tentacles as weapons"। সায়েন্স (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩৯ (৩৫৫৬): ৭৬৪–৭৬৬। এসটুসিআইডি 40186769ডিওআই:10.1126/science.139.3556.764পিএমআইডি 17829125বিবকোড:1963Sci...139..764J 
  66. জেনকিন্স, আর. এল. (১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩)। "Observations on the Commensal Relationship of Nomeus gronovii with Physalia physalis"। কোপিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৮৩ (১): ২৫০-২৫২। 
  67. পার্সেল, জে. ই. ও এম. এন. আরাই (২০০১): Interactions of pelagic cnidarians and ctenophores with fish: a review.[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (ইংরেজি) হাইড্রোবায়োলজিয়া, মে ২০০১, খণ্ড ৪৫১, সংখ্যা নং ১-৩, পৃষ্ঠা ২৭-৪৪
  68. পাইপার, রস (২০০৭)। এক্সট্রাঅর্ডিনারি অ্যানিম্যালস: অ্যান এনসাইক্লোপিডিয়া অব কিউরিয়াস অ্যান্ড আনইউজুয়াল অ্যানিম্যালস (ইংরেজি ভাষায়)। গ্রিনউড প্রেস 
  69. ইয়ানাগিহারা, অ্যাঞ্জেল এ.; কুরোইওয়া, জ্যানেল এম.ওয়াই.; ওলিভার, লুইস এম.; কুনকেল, ডেনিস ডি. (ডিসেম্বর ২০০২)। "The ultrastructure of nematocysts from the fishing tentacle of the Hawaiian bluebottle, Physalia utriculus (Cnidaria, Hydrozoa, Siphonophora)" (পিডিএফ)হাইড্রোবায়োলজিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ৪৮৯ (১–৩): ১৩৯–১৫০। এসটুসিআইডি 603421ডিওআই:10.1023/A:1023272519668। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  70. অরবাশ, পল এস. (ডিসেম্বর ১৯৯৭)। "Envenomations from jellyfish and related species"। জার্নাল অব ইমার্জেন্সি নার্সিং (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ (৬): ৫৫৫–৫৬৫। ডিওআই:10.1016/S0099-1767(97)90269-5পিএমআইডি 9460392 
  71. স্টাইন, মার্ক আর.; মাররাচ্চিনি, জন ভি.; রথসচাইল্ড, নিয়াল ই.; বার্নেট, জোসেফ ডব্লিউ. (মার্চ ১৯৮৯)। "Fatal Portuguese man-o'-war (Physalia physalis) envenomation"। অ্যানালস অব ইমার্জেন্সি মেডিসিন (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ (৩): ৩১২–৩১৫। ডিওআই:10.1016/S0196-0644(89)80421-4পিএমআইডি 2564268 
  72. রিচার্ড এ. ক্লিঞ্চি (১৯৯৬)। ডাইভ ফাস্ট রেসপন্ডার। জোন্স অ্যান্ড বার্টলেট লার্নিং। পৃষ্ঠা ১৯। আইএসবিএন 978-0-8016-7525-6। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৬ 
  73. ফেনার, পিটার জে.; উইলিয়ামসন, জন এ. (ডিসেম্বর ১৯৯৬)। "Worldwide deaths and severe envenomation from jellyfish stings"। মেডিকেল জার্নাল অব অস্ট্রেলিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬৫ (১১–১২): ৬৫৮–৬৬১। আইএসএসএন 0025-729Xএসটুসিআইডি 45032896ডিওআই:10.5694/j.1326-5377.1996.tb138679.xপিএমআইডি 8985452In Australia, particularly on the east coast, up to 10 000 stings occur each summer from the bluebottle (Physalia spp.) alone, with others also from the "hair jellyfish" (Cyanea) and "blubber" (Catostylus). Common stingers in South Australia and Western Australia, include bluebottle, as well the four-tentacled cubozoa or box jellyfish, the "jimble" (Carybdea rastoni) 
  74. "Image Collection: Bites and Infestations: 26. Picture of Portuguese Man of War Sting"মেডিসিননেট (ইংরেজি ভাষায়)। মেডিসিননেট ইনক। ৩ জুন ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৪The sting of the Portuguese man-of-war. One of the most painful effects on skin is the consequence of attack by oceanic hydrozoans known as Portuguese men-of-war, which are amazing for their size, brilliant color, and power to induce whealing. They have a small float that buoys them up and from which hang long tentacles. The wrap of these tentacles results in linear stripes, which look like whiplashes, caused not by the force of their sting but from deposition of proteolytic venom toxins, urticariogenic and irritant substances. 
  75. জেমস, উইলিয়াম ডি.; বার্জার, টিমোথি জি.; এলস্টন, ডার্ক এম.; ওডম, রিচার্ড বি. (২০০৬)। অ্যান্ড্রুস’ ডিজিজেস অব দ্য স্কিন: ক্লিনিক্যাল ডার্মাটোলজি । সন্ডার্স এলসভায়ার। পৃষ্ঠা ৪২৯আইএসবিএন 978-0-7216-2921-6 
  76. রাপিনি, রোনাল্ড পি.; বলোইয়া, জ্যঁ এল.; জরিজ্জো, জোসেফ এল. (২০০৭)। ডার্মাটোলজি: ২-ভলিউম সেট। সেন্ট লুইস: মসবাই। আইএসবিএন 978-1-4160-2999-1 
  77. স্লটার, আর.জে.; বিসলি, ডি.এম.; ল্যাম্বি, বি.এস.; শেপ, এল.জে. (২০০৯)। "নিউজিল্যান্ড'স ভেনোমাস ক্রিয়েচার্স"দ্য নিউজিল্যান্ড মেডিকেল জার্নাল১২২ (১২৯০): ৮৩–৯৭। পিএমআইডি 19319171। ৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৯ 
  78. ইয়োশিমোতো, সি.এম.; ইয়ানাগিহারা, এ.এ. (মে–জুন ২০০২)। "Cnidarian (coelenterate) envenomations in Hawai'i improve following heat application"ট্রানসেকশনস অব দ্য রয়েল সোসাইটি অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন৯৬ (৩): ৩০০–৩০৩। ডিওআই:10.1016/s0035-9203(02)90105-7পিএমআইডি 12174784। ৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৯ 
  79. লোটেন, কনরাড; স্টোকস, ব্যারি; ওর্সলি, ডেভিড; সিমুর, জ্যামি ই.; জিয়াং, সাইমন; ইসবিস্টার, জিয়োফ্রে কে. (৩ এপ্রিল ২০০৬)। "A randomised controlled trial of hot water (45 °C) immersion versus ice packs for pain relief in bluebottle stings" (পিডিএফ)মেডিকেল জার্নাল অব অস্ট্রেলিয়া১৮৪ (৭): ৩২৯–৩৩৩। এসটুসিআইডি 14684627ডিওআই:10.5694/j.1326-5377.2006.tb00265.xপিএমআইডি 16584366। ৩ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  80. "Ambulance Fact Sheet: Bluebottle Stings" (পিডিএফ)www.ambulance.nsw.gov.au (অস্ট্রেলীয় ইংরেজি ভাষায়)। অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস অব নিউ সাউথ ওয়েলস। জুলাই ২০০৯। ১৪ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৮ 
  81. এক্সটন, ডি.আর. (১৯৮৮)। মেডিকেল জার্নাল অব অস্ট্রেলিয়া১৪৯ (১): ৫৪। এসটুসিআইডি 20299200ডিওআই:10.5694/j.1326-5377.1988.tb120494.xপিএমআইডি 2898725  অজানা প্যারামিটার |শিরোনান= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  82. উইলকক্স, ক্রিস্টি এল.; হেডল্যাম, জেসমিন এল.; ডয়েল, থমাস কে.; ইয়ানাগিহারা, অ্যাঞ্জেল এ. (২২ মে ২০১৭)। "Assessing the Efficacy of First-Aid Measures in Physalia sp. Envenomation, Using Solution- and Blood Agarose-Based Models"টক্সিনস (৫): ১৪৯। ডিওআই:10.3390/toxins9050149 পিএমআইডি 28445412পিএমসি 5450697  
  83. "SOEST scientists scrutinize first aid for man o' war stings" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  84. "IPMA - Detalhe noticia"www.ipma.pt (পর্তুগিজ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২১ 

আরও পড়ুন সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা