একজিমা (ইংরেজি: Eczema ) এক প্রকাম চর্ম রোগ যা বাংলাদেশে পামা, বিখাউজ, কাউর ঘা ইত্যাদি স্থানীয় নামে পরিচিত।[১] চিকিৎসা শাস্ত্রে এটিকে সচরাচর এটপিক ডার্মাটাইটিস (ইং: atopic dermatitis) হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে, কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে একজিমার অন্যতম উৎস বংশগত বলে ধারণা করা হয়। এই রোগে ত্বকের বিশেষ কোন কোন স্থানে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত স্থান লালাভ দেখায়, এখানে পুঁজবটী জন্মে, চুলকায়, রস ক্ষরণ হতে পারে এবং মামড়ি পড়ে। এটি কোন সংক্রামক রোগ নয়। তবে এ রোগ থেকে হাঁপানি এবং হে ফিভার হয়ে থাকে।[২][৩] এটি দীর্ঘ মেয়াদী সমস্যা যাতে অতি শুষ্ক ত্বক ফেটে যায়, পুরু হয়ে ওঠে, চুলকানির সৃষ্টি হয় এবং ফুস্কুড়ি হতে পারে। ঠিক কী কারণে একজিমা হয়ে থাকে তা এখনো জানা যায় নি। বলা হয়েছে অন্তর্ভূত কারণের (যেমনঃ এলার্জি) বহি:প্রকাশ একজিমা।[৪] শরীরের যে কোন স্থানেই একজিমা হতে পারে, তবে হাত, পা, বাহু, হাঁটুর বিপরীত পৃষ্ঠা, গোড়ালী, হাতের কব্জি, ঘাড় ও ঊর্ধ বক্ষস্থল ইত্যাদি অংশ বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। একজিমার ঔষধ অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয় নি, তবে এমোলিয়েণ্টস (Emollients) এবং স্টেরেয়ড মলম (steroid ointments) একজিমার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। [৫]

একজিমা
বিশেষত্বfamily medicine উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. ’’চর্মরোগ চিকিৎসা’’, ডা: জগদীশচন্দ্র ভট্টাচার্য, ইকনমিক হোমিও ফার্মেসী, কলিকাতা। ১৯৬৫ খ্রি:
  2. Skin Conditions and Eczema
  3. "Eczema-The Dry Skin Disease"। ২ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  4. What Causes Eczema?
  5. "Atopic Eczema"। ২২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৪ 

বহি:সংযোগ সম্পাদনা

শ্রেণীবিন্যাস