বৃন্দাবনচন্দ্র মন্দির

বৃন্দাবনচন্দ্রের মন্দির মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দী থানার গোবরহাটির গ্রামের প্রায় মাঝখানে অবস্থিত। এটি একটি বিখ্যাত মন্দির। মন্দিরটি "পঞ্চরত্ন" মন্দির - স্থাপত্যশিল্পের একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন।

বৃন্দাবনচন্দ্র মন্দির
বৃন্দাবনচন্দ্র মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলামুর্শিদাবাদ জেলা
অবস্থান
অবস্থানগোবরহাটি, কান্দী থানা
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
স্থাপত্য
স্থাপত্য শৈলীপঞ্চরত্ন
সৃষ্টিকারীব্রজমোহন দাস
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দ

বর্ণনা সম্পাদনা

মন্দিরটি বর্গাকার যার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ৮ মিটার ও উচ্চতা ১২ মিটার।[১] চূড়াগুলি বহু কার্নিশযুক্ত দেউল রীতিতে তৈরি। অলিন্দের ছাদ ভল্টের ওপর এবং গর্ভগৃহের ছাদ ইসলামি স্থাপত্যরীতি অনুসারে পাশ খিলান ও লহরার বিন্যাসে নির্মিত ও গম্বুজের ওপর স্থাপিত। মন্দিরটির সম্মুখে অর্থাৎ পশ্চিম দিকে তিনটি খিলান সমন্বিত তিনটি প্রবেশ দ্বার, খিলানের ওপরে দেওয়ালে পোড়ামাটির ফুল ও লতাপাতার অলংকরণ যা বাংলার প্রাচীন টেরাকোটার নিদর্শন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বৃন্দাবনচন্দ্র মন্দিরে যে বিগ্রহটি আছে সেটি কষ্টি পাথরের মদনমোহন বিগ্রহ। মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বারের ওপর একটি প্রতিষ্ঠালিপি এবং একটি সংস্কারলিপি গ্রথিত আছে। প্রতিষ্ঠালিপি অনুযায়ী মন্দিরটি গোবরহাটির তৎকালীন বিশিষ্ট ধনী ব্রজমোহন দাসের দ্বারা ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তিনি নাকি মুর্শিদাবাদের নবাব দরবারে পদস্হ কর্মচারী ছিলেন। ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের প্রলয়ঙ্কর ভূমিকম্পে মন্দিরের সামনের দেওয়ালে ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত দীর্ঘ ফাটল ধরে, মন্দিরের সংস্কারের সময় সেটি মেরামত করা হলেও বর্তমানে আবার ফাটল দেখা গেছে।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "মন্দিরে ফুটে উঠছে প্রাচীন চিত্র"আনন্দবাজার অনলাইন 
  2. দীননাথ মণ্ডল। পর্যটনে মুর্শিদাবাদকলকাতা: অণিমা প্রকাশনী। 

গ্রন্থপঞ্জি সম্পাদনা

  1. পর্যটনে মুর্শিদাবাদ : দীননাথ মণ্ডল, অণিমা প্রকাশনী, কলকাতা।
  2. মুর্শিদাবাদ যুগে যুগে : বিজয় কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা