কিশমিশ

শুকানো আঙ্গুর

কিশমিশ বা কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর। এটিকে ইংরেজিতে রেইসিনও বলা হয়।[১] কিশমিশ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।[২][৩]

বর্ণনা সম্পাদনা

এটি তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনের সাহায্যে। তাপের ফ্রুক্টোজগুলো জমাট বেঁধে পরিণত হয় কিশমিশে।[২] আর এভাবেই আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস।[৪] এতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা হার্টকে ভাল রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। রয়েছে আয়রন যা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে কার্বোহাইট্রেট, যা এনার্জি জোগায়।[৫] মহিলারাই বিশেষত রক্তাল্পতায় ভোগেন, তাই চিকিৎসকরা বলেন কিসমিস খাওয়া মহিলাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ উপকারি।[৬]

বিস্তৃতি সম্পাদনা

সাধারণত ইরাক, ইরান, পাকিস্তানভারতে জন্মে থাকে।

পুষ্টি সম্পাদনা

Raisins, seedless
প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স)-এ পুষ্টিমান
শক্তি১,২৫২ কিজু (২৯৯ kcal)
৭৯.১৮ g
চিনি৫৯.১৯ g
খাদ্য আঁশ৩.৭ g
০.৪৬ g
৩.০৭ g
ভিটামিনপরিমাণ দৈপ%
থায়ামিন (বি)
৯%
০.১০৬ মিগ্রা
রিবোফ্লাভিন (বি)
১০%
০.১২৫ মিগ্রা
নায়াসিন (বি)
৫%
০.৭৬৬ মিগ্রা
প্যানটোথেনিক
অ্যাসিড (বি)
২%
০.০৯৫ মিগ্রা
ভিটামিন বি
১৩%
০.১৭৪ মিগ্রা
ফোলেট (বি)
১%
৫ μg
কোলিন
২%
১১.১ মিগ্রা
ভিটামিন সি
৩%
২.৩ মিগ্রা
ভিটামিন ই
১%
০.১২ মিগ্রা
ভিটামিন কে
৩%
৩.৫ μg
খনিজপরিমাণ দৈপ%
ক্যালসিয়াম
৫%
৫০ মিগ্রা
লৌহ
১৪%
১.৮৮ মিগ্রা
ম্যাগনেসিয়াম
৯%
৩২ মিগ্রা
ম্যাঙ্গানিজ
১৪%
০.২৯৯ মিগ্রা
ফসফরাস
১৪%
১০১ মিগ্রা
পটাশিয়াম
১৬%
৭৪৯ মিগ্রা
সোডিয়াম
১%
১১ মিগ্রা
জিংক
২%
০.২২ মিগ্রা
অন্যান্য উপাদানপরিমাণ
Fluoride233.9 µg

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মার্কিন সুপারিশ ব্যবহার করে শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
উৎস: ইউএসডিএ ফুডডাটা সেন্ট্রাল

কিশমিশে ওজন অনুসারে ৭২% শর্করা থাকতে পারে[৭] যার বেশিরভাগ ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ।  এগুলিতে প্রায় ৩% প্রোটিন এবং ৩.৭% –৬.৮% ডায়েটার ফাইবারও রয়েছে।[৮]

আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজির ৬১ তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক অধিবেশন ২০১২-তে উপস্থাপিত উপাত্ত থেকে জানা যায় যে রক্তচাপের হালকা পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কিসমিসের নিয়মিত সেবন (দিনে তিনবার) রক্তচাপকে অন্যান্য সাধারণ স্ন্যাকস খাওয়ার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে।[৯]

ব্যবহার সম্পাদনা

যেকোন মিষ্টি খাবারের স্বাদ এবং সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য কিসমিস ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পোলাও, কোরমা এবং অন্যান্য অনেক খাবারে কিসমিস ব্যবহার কর হয়।[১০] কিসমিসকে শুকনো ফলের রাজাও বলা হয়। সোনালী-বাদামী রংয়ের চুপসানো ভাঁজ হওয়া ফলটি খুবই শক্তিদায়ক।

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. https://www.britannica.com/topic/raisin
  2. Dom Costello। "Kew Gardens explanation"। রয়েল বোটানিক গার্ডেন্স, কেউ। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৩ 
  3. "শক্তির উৎস কিশমিশ"দৈনিক প্রথম আলো। ২২ জানুয়ারি ২০১৪। ২৭ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯ 
  4. Chiou, Antonia; Panagopoulou, Eirini A.; Gatzali, Fotini; De Marchi, Stephania; Karathanos, Vaios T. (২০১৪)। "Anthocyanins content and antioxidant capacity of Corinthian currants (Vitis vinifera L., var. Apyrena)"। 146: 157–65। ডিওআই:10.1016/j.foodchem.2013.09.062পিএমআইডি 24176327 
  5. Harper, Douglas। "raisin"Online Etymology Dictionary 
  6. "Types of Raisins: Currants, Golden Seedless, and More"Berkeley Wellness। Remedy Health Media। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  7. Winkler, A. J. (Albert Julius), 1894-1989. (১৯৭৪)। General viticulture (Rev. and enl. ed সংস্করণ)। Berkeley: University of California Press। আইএসবিএন 0-520-02591-1ওসিএলসি 1712714 
  8. "Foods List"web.archive.org। ২০১৫-০৬-১০। Archived from the original on ২০১৫-০৬-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৬ 
  9. Bays, Harold E.; Schmitz, Kathy; Christian, Amber; Ritchey, Michelle; Anderson, James (২০১২)। "RAISINS AND BLOOD PRESSURE: A RANDOMIZED, CONTROLLED TRIAL"Journal of the American College of Cardiology (ইংরেজি ভাষায়)। 59 (13): E1721। ডিওআই:10.1016/S0735-1097(12)61722-7  
  10. "কিসমিসের এই গুণগুলো জানলে অবাক হবেন !"নিউজ ১৮ বাংলা। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ২৭ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুন ২০১৯