বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর
বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত একটি স্থল বন্দর। এটি বাংলাদেশের একমাত্র স্থল বন্দর যার মাধ্যমে চারটি দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান) মধ্যে পণ্য আদান-প্রদানের সুবিধা রয়েছে।[১]
বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
অবস্থান | তেঁতুলিয়া উপজেলা, পঞ্চগড় জেলা |
স্থানাঙ্ক | ২৬°৩৭′৪৬″ উত্তর ৮৮°২৪′৪৫″ পূর্ব / ২৬.৬২৯৫° উত্তর ৮৮.৪১২৬° পূর্ব |
বিস্তারিত | |
নির্মাণ | ১৯৯৭ |
চালু | ২০১১ |
পরিচালনা করে | বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ |
মালিক | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
আকার | ১০ একর |
রেললাইন | নির্মাণাধীন |
আমদানি দ্রব্য | পাথর, রাসায়নিক দ্রব্য, খনিজ তেল, চাল, ডাল প্রভৃতি |
রপ্তানি দ্রব্য | পাট, ইলিশ মাছ প্রভৃতি |
পরিসংখ্যান | |
যাত্রী গমনাগমন | ১০০-১৫০ (দৈনিক) |
বার্ষিক আয় | ৳১১,১৮,৭২,৭৬৪ (২০১২-১৩ অর্থবছর) |
অবস্থান
সম্পাদনাবাংলাদেশের সর্ব-উত্তরের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে জিরো (0) পয়েন্ট এ বন্দরটি অবস্থিত। এখান থেকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ১ নং আসন শুরু। বাংলাদেশের সাথে ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন প্রায় ১০ একর জায়গার উপর স্থলবন্দরটি অবস্থিত।
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৯৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর স্থল বন্দরটি প্রথম খুলে দেওয়া হয়।[২] নেপালের সাথে বাংলাদেশের এক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় পণ্য আমদানি-রপ্তানির মাধ্যমে বন্দরটি প্রথম যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ভারতের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ভারতের সাথেও বাংলাদেশের এ বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। এ বন্দর ব্যবহার করে নেপালে বাংলাদেশ থেকে ব্যাটারী, সীসা, পাট, ফলের রস, ওয়েস্ট কটন, কাপড়, কাঠ ও প্লাস্টিকের আসবাপপত্র রপ্তানি করা হয়। এছাড়াও ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ১,০০০ মেট্রিক টন পাথর ও নেপাল থেকে গড়ে প্রতিদিন ১০০ মেট্রিক টন ডাল আমদানি করা হয়।
বাংলাদেশের রাজস্ব বিভাগের তথ্যানুসারে, এ বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ২০১১-১২ অর্থ বছরে, ১১ কোটি ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৭৬৪ টাকা ও ২০১২-১৩ অর্থ বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আয় হয়েছিল।[২]
গুরুত্ব
সম্পাদনাবাংলাদেশের ও ভারতের মধ্যে যতগুলো স্থলবন্দর চালু রয়েছে তার মধ্যে বাংলাবান্ধা সবচেয়ে সুবিধাজনক স্থানে অবস্থানে রয়েছে। এখান থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি ১৬ কিলোমিটার। তাছাড়াও ভারতের যে কোনো স্থানে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া, ভারতের শৈল্য শহর দার্জিলিং ৭৭ কিলোমিটার, নেপাল সীমান্ত ৫৪ কিলোমিটার, ভুটান সীমান্ত ১৩০ কিলোমিটার ও চীন সীমান্ত ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের পার্শ্ববর্তী ভারতের শিলিগুড়ির মতো সমৃদ্ধ এতো বড় শহর অন্যান্য স্থলবন্দরের কাছে নেই। ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোতে যাওয়ার সবচেয়ে সুবিধাজনক করিডোর হচ্ছে দার্জিলিং জেলার বাগডোগরা বিমানবন্দর যা বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে মাএ ১৬ কিলোমিটার দূরে। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার ফলে ভারতের ফুলবাড়ি স্থল বন্দরের দ্বারা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার পাওয়াসহ পঞ্চগড় জেলা উন্নয়নের পাশাপাশি বদলে যাবে বাংলাদেশের উওরবঙ্গের চিত্র। বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরের বিপরীতে ভারতের ফুলবাড়ি স্থল বন্দর অবস্থান।
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ২০১৯
-
বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর সড়ক। দূরে ভারতের স্থাপনা ২০১৯
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ"। www.bsbk.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৫-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৫।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩০ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।