বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন বা পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার একটি স্টেশন। এটি জেলা শহরের কাছেই অবস্থিত এবং উত্তরবঙ্গের সর্বশেষ রেলওয়ে স্টেশন। ২০১৯ সালে স্টেশনটির নাম পরিবর্তন করে নতুন করে “বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন” রাখা হয়।[১]
বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন | |
---|---|
![]() প্রবেশ পথ। | |
অবস্থান | পঞ্চগড়, রংপুর![]() |
মালিকানাধীন | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
পরিচালিত | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
লাইন | পঞ্চগড়-পার্বতীপুর লাইন |
প্ল্যাটফর্ম | ১টি |
ট্রেন পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
নির্মাণ | |
পার্কিং | আছে |
সাইকেলের সুবিধা | আছে |
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | আছে |
ইতিহাস | |
চালু | ১৯৬৭ |
অবস্থান | |
![]() |
ইতিহাসসম্পাদনা
ব্রিটিশ সময়কালে পার্বতীপুর-রুহিয়া এবং পাকিস্তান সময়কালে ১৯৬৭ সালে রুহিয়া-পঞ্চগড় রেললাইনটি তৈরি করা হয়[২]। এরপর থেকে আর সংস্কার না করায় রেলগাড়ি চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়। ২০১৩ সালে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চগড় থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত আধুনিক রেল যোগাযোগের উদ্ভোধন করেন। সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে ৯৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে পঞ্চগড় - ঠাকুরগাঁও - দিনাজপুর - পার্বতীপুর পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার রেললাইনকে ডুয়েলগেজে রুপান্তর করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের আওতায় ২০১৬ সালে উন্নয়ন কাজ শেষ করা হয়।
বর্তমানে পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ চলমান।[৩]
পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রেলপথসম্পাদনা
বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে। তাই সম্ভাবনার এই বন্দরে রেল যোগাযোগ স্থাপন করছে সরকার। বাস্তবায়িত হলে ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যতম সমুদ্রবন্দর মংলার সাথেও সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।[৪] পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা ৫৭ কিলোমিটার রেলপথে পাঁচটি স্টেশন, চারটি নদীতে বড় সেতু, ১৪টি কালভার্ট নির্মাণ হবে ও চারটি সড়ক স্থানে মহাসড়ক অতিক্রম করবে।[৫] নতুন পাঁচটি বি-ক্লাস স্টেশনগুলো হলো- এই স্টেশন থেকে,
পরিষেবাসম্পাদনা
পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন (বী.মু.সি.ই.) থেকে বর্তমানে ৮ টি ট্রেন চলাচল (আসা-যাওয়া) করে।
আন্ত:নগর ট্রেনসম্পাদনা
- দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস। পঞ্চগড় ছাড়ে সকাল ৬টায়। পঞ্চগড়-সান্তাহার-পঞ্চগড়।
- দ্রুতযান এক্সপ্রেস। পঞ্চগড় ছাড়ে সকাল ৮:১০ মিনিটে। পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড়।
- বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস। পঞ্চগড় ছাড়ে সকাল ৮:৩০ মিনিটে। পঞ্চগড়-রাজশাহী-পঞ্চগড়।
- পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। পঞ্চগড় ছাড়ে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে। পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড়।
- একতা এক্সপ্রেস। পঞ্চগড় ছাড়ে রাত ৯:১০ মিনিটে। পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড়।
মেইল ট্রেনসম্পাদনা
- উত্তরবঙ্গ মেইল। পঞ্চগড়-সান্তাহার
- কাঞ্চন কমিউটার। পঞ্চগড়-পার্বতীপুর
- পঞ্চগড় কমিউটার (ডেমু)। পঞ্চগড়-পার্বতীপুর
চিত্রশালাসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ "'পঞ্চগড় এক্সপ্রেস' উদ্বোধন, স্টেশনের নতুন নামকরণ"। banglanews24.com। ২৫ মে ২০১৯।
- ↑ "রেলওয়ে - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭।
- ↑ "বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণের সুফল পাওয়া যাবে আগামী বছর"। banglanews24.com। ২০২১-১২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৩।
- ↑ রিপোর্টার, স্টাফ। "অচিরেই বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ তেঁতুলিয়ায় রেলমন্ত্রী"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৭।
- ↑ "পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা রেললাইন সম্প্রসারণ কাজ শুরু শিগগিরই"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৭।
- ↑ "রেলপথেই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাবে নেপাল-ভুটান-চীন"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৫-২৭।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
লুয়া ত্রুটি মডিউল:পার্শ্ববর্তী_স্ এর 238 নং লাইনে: অজানা লাইন "পঞ্চগড়-পার্বতীপুর"।